‘বেঁচে থাকা অঞ্জনাদের প্রতিদিন মৃত্যু হয়, মরার পর খবর হয়’
প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসি ও চ্যানেল আইয়ে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সোনালি দিনের নন্দিত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
অঞ্জনা রহমান টানা ১০ দিন ধরে অচেতন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই কদিন তিনি সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৫ মিনিটে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ নায়িকাকে হারিয়ে তারকারা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করছেন। সেই কাতারে আছেন অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠু।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে মনিরা মিঠু তার ফেসবুকে লিখেন, বেঁচে থাকা অঞ্জনাদের প্রতিদিন মৃত্যু হয়। মরার পর খবর হয়। শেষ প্রাপ্তি হয় ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
প্রসঙ্গত, নায়িকা অঞ্জনা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।
‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেন। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। পাশাপাশি তিনবার পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার।
আরটিভি/এএ/এআর
মন্তব্য করুন