প্রথমবার...
প্রথমবারের মতো কোনো নাটকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করলেন নোভা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এর আগে কখনো নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেননি তিনি। নাটকের নাম ‘কমলার বনবাস’।
নোভা বলেন, ‘রূপকথার সেই কমলার বনবাসের গল্প নয় এটি। একটি কমলাকে নিয়ে এই নাটকের গল্প! নেতিবাচক হলেও চরিত্রটি খুব মজার। তাই কাজটি করলাম। নাটকটি সবার ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস’। শিগগিরই নাটকটি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হবে বলে জানা গেছে।
সতীর্থ রহমান রুবেলের পরিচালনায় নাটকটিতে নোভা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সাজু খাদেম, শ্যামল মাওলা ও ছন্দা।
বর্তমানে এই অভিনেত্রীর হাতে আলভী আহমেদের ‘জেনারেশন’, রাজিবুল ইসলাম রাজিবের ‘বারো ঘরের এক উঠোন’ ও আশিক মাহমুদ রনির ‘পাগলা হাওয়া’ ধারাবাহিক নাটকের কাজ রয়েছে।
অভিনয়ের বাইরে নোভা উপস্থাপনাও করছেন। বাংলাভিশনে ‘সৌন্দর্যের কথা’ ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে আধুনিক গানের অনুষ্ঠান ‘মালঞ্চ’ উপস্থাপনা করছেন এই গ্ল্যামার অভিনেত্রী।
নোভার মিডিয়াতে আসা অনেকটা সিনেমার গল্পের মতোই। ২০০৫ সালের কথা, ড্রয়িং রুমে রাখার জন্য শখ করে ফটোগ্রাফার চঞ্চল মাহমুদের কাছে কিছু ফটোশ্যুট করান। সেই ছবিগুলো বেশ কিছু বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পাঠান চঞ্চল। সে বছরই ডাক পান ‘প্রাণ ডাল ভাজা’র একটি বিজ্ঞাপনের কাজ করার জন্য। সেসময় তার অভিনীত বিজ্ঞাপনটির ‘মুঠোয় মুঠোয় সময় পার’ডায়ালগটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়।
প্রথম বিজ্ঞাপনের পর চ্যানেল ওয়ানের একটি থিম সং-এ কাজ করেছিলেন তিনি। এরপর ‘ইউগট লুক’ প্রতিযোগিতা শুরু হলে বন্ধুদের সঙ্গে অনেকটা বাজি ধরে সেখানে অংশগ্রহণ করেন। পরের কথা তো সবারই জানা। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবার পাশাপাশি বেস্ট লুক, মোস্ট কুল, বেস্ট স্মাইল তিনটি ক্যাটাগরিতেও সেরা বিবেচিত হন নোভা।
নোভা অভিনীত প্রথম টেলিভিশন নাটক ‘প্রেম ও ঘামের গল্প’। প্রথম নাটকেই জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসানের বিপরীতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। নাটকটির নির্মাতা ছিলেন অনিমেষ আইচ।
এছাড়া তার অভিনীত ‘লীলাবতী’, ‘হাউজ ফুল’, ‘মহানগর’ ও ‘ইতি এবং’ নাটকগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
আরও পড়ুন:
এম/এ
মন্তব্য করুন