নিজের সিনেমা দেখি না: সুচরিতা
নিজের অভিনীত সিনেমা দেখা হয় না। ইচ্ছে করেই দেখি না বলা যায়। অনেক আগে অবশ্য দু’ একবার সিনেমা হলে গিয়েছি। টেলিভিশন বা এখন তো ইউটিউব এসেছে সেখানেও দেখি না। নিজের অভিনীত সিনেমা দেখতে গেলে শুটিং এর সময় কোন জায়গা থেকে ক্যামেরা শট নেয়া হয়েছিল। ট্রলি, ক্রেন শর্ট বা লাইট কেমন ছিল। আবার মনে হয় অভিনয়টা ভালো হয়নি। আরও হয়তো ভালো করতে পারতাম। এসব কারণে নিজের অভিনীত চলচ্চিত্র দেখি না। বলছিলেন এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়িকা সুচরিতা।
বিদেশে ঘুরতে গেলে পরিবারের সবাই যখন কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকে। ঠিক সেই সময় সিনেমা হলে ছবি দেখেন তিনি। থ্রিডি প্রযুক্তিতে ছবি দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন এই অভিনেত্রী।
দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্প খারাপ সময় পার করছে। শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে কাজ নেই। সংকট নিরসনের পথ কী? জানতে চাইলে ‘এখনো অনেক রাত’র নায়িকা বলেন, সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও এই উদ্যোগ নিতে পারে। আমরা নিজেদের অর্থায়নে ছবি বানাবো। কোনও শিল্পীকেই পারিশ্রমিক দেয়া হবে না। ছবি মুক্তির পর যে অর্থ আসবে তা সবাইকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া হবে। এভাবেও কিছুটা উন্নয়ন সম্ভব।
এ সময়ের নায়কদের মধ্যে শাকিব খানকেই এগিয়ে রাখছেন সুচরিতা। শাকিব-অপু জুটিও তার পছন্দের। শাকিবের সাথে শুধু মাত্র অপু বিশ্বাসকেই মানায় বললেন তিনি।
সুচরিতা বলেন, শাকিবের মায়ের চরিত্রে অনেক ছবিতেই কাজ করেছি সে খুব বিনয়ী। শাকিব-অপুর রসায়নটা দারুণ। ওরা দুজন আবারও এক হলে ভালো লাগতো।
শাকিবের পর নায়কদের মধ্যে আরিফিন শুভ, বাপ্পি চৌধুরী ও সাইমন সাদিককে এগিয়ে রেখেছেন সুচরিতা। আর নায়িকাদের মধ্যে আঁচল আঁখি বেশ ভালো অভিনয় করে বলে জানান তিনি। আঁচলের ব্যবহার ও অভিনয় দুটোতেই মুগ্ধ এই অভিনেত্রী।
চলচ্চিত্রে আগের মতো ব্যস্ততা নেই। বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই থাকেন সুচরিতা। জানালেন, খুব সাদামাটাভাবেই কাটছে সময়।
১৯৬৯ সালে শিশু শিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে সুচরিতার প্রথম অভিনয়। তখন তার নাম ছিল বেবী হেলেন। নায়িকা হিসেবে সুচরিতা প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭২ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘স্বীকৃতি’ ছবিতে।
১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশি’ ছবির মাধ্যমে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা পান। মায়াবী চেহারা ও অভিনয় দক্ষতায় আশির দশক পর্যন্ত প্রথম সারির নায়িকাদের একজন ছিলেন সুচরিতা।
সুচরিতা অভিনীত ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘দি ফাদার’, ‘বদলা’, ‘জীবন নৌকা’, ‘আসামী’, ‘এখনো অনেক রাত’, ‘নদের চাঁদ’ ‘কথা দিলাম’, ‘গাদ্দার’, ‘জনি’, ‘নাগরদোলা’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’।
এম/এমকে
মন্তব্য করুন