বিশ্ব ডাউনস্ সিনড্রোম দিবসে আরটিভির আয়োজন
আজ বিশ্ব ডাউনস্ সিনড্রোম দিবস। এবার পালিত হচ্ছে ১৪তম আন্তর্জাতিক এবং ৬ষ্ঠ জাতীয় ডাউনস্ সিনড্রোম দিবস। ডাউনস্ সিনড্রোম মানুষদের প্রতি একাত্মতা ‘লিভ নো অন বিহাইন্ড- এক সাথে পথ চলা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি নানা আয়োজনে আজ পালিত হচ্ছে এই বিশেষ দিবসটি।
দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভি এই বিশেষ দিবসটিকে ঘিরে আয়োজন করেছে ‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ নামের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে সৈয়দা মুনিরা ইসলামের গ্রন্থনা ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে।
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে থাকবেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ এবং ডা. মেসবাহ।
মানবদেহের প্রতিটি কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা ৪৬টি। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি দেহকোষে ২১তম ক্রোমোজোমে একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোমের থাকে। তাই একে ট্রাইজোম ২১ বলা হয়। আর এভাবে ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির শরীরে প্রতিটি কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭টি। এই অতিরিক্ত ক্রোমোজোমের কারনে বিশেষ কিছু শারীরিক মানসিক ত্রুটি নিয়ে ডাউন সিনড্রোম শিশুর জন্ম হয়। ১৮৮৬ সালে ইংলান্ডে জন ল্যাংডন ডাউন এটি আবিষ্কার করেন। তখন থেকেই এই সমস্যাটি ডাউন সিনড্রোম নামে পরিচিত।
ডাউন সিনড্রোম মানুষগুলো খুবই হাসি খুশি মিশুক প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে অজ্ঞতা ও সচেতনতার অভাব তাদেরকে পিছিয়ে ফেলা জনগোষ্টিতে পরিণত করেছে। সঠিক পরিচর্যা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করা সম্ভব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে প্রতি ৮০০ শিশুর মধ্যে একজন ডাউনস্ সিনড্রোম শিশু জন্মগ্রহণ করে থাকে। পৃথিবীতে প্রায় ৭০ লাখ ডাউনস্ সিনড্রোম মানুষ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৫ জন ডাউনস্ শিশু জন্ম নেয় এবং দেশে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ডাউনস্ সিনড্রোম শিশু জন্ম নেয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩৫৫৭ জন ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তি নিবন্ধিত হলেও দেশে প্রায় দুই লাখ ডাউনস্ সিনড্রোম মানুষ আছে বলে ধারনা করা হয়।
জিএ/ জেএইচ
মন্তব্য করুন