অটিজম নিয়ে কাজ করায় বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন সৈয়দা মুনিরা ইসলাম
সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অটিজম নিয়ে কাজ করায় বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন আরটিভির ‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ অনুষ্ঠানের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর সৈয়দা মুনিরা ইসলাম। এসময় তিন ক্যাটাগরিতে আরও ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১২তম বিশ্ব অটিজম দিবসের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনি এ সম্মাননা তুলে দেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ।
‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন সৈয়দা মুনিরা ইসলাম
‘হাত বাড়িয়ে দিলাম’ অনুষ্ঠানটি ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানটির ১৪০তম পর্ব প্রচার হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিনে বিশেষ পর্ব প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা, গ্রন্থনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেন সৈয়দা মুনিরা ইসলাম। দর্শকপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটি প্রচারের প্রথম বছরে ২০১৫ সালে ইউনিসেফের ‘মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে।
অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অটিস্টিক শিশুদের সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের কিভাবে কী ধরনের সেবা প্রদান করে, তা তুলে ধরছে।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত মানুষগুলো কেমন আছে, কিভাবে জীবন-যাপন করছে, তাদের উন্নয়নে কেমন কাজ হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যমান সুযোগ সুবিধাগুলো সম্পর্কে জানানো এবং এদের কথা ও তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবন্ধী শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় সৈয়দা মুনিরা ইসলাম
অটিজমসহ অন্যান্য স্নায়বিক প্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত শিশু ও অভিভাবকদের কল্যাণে এবং শিশুদের সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ‘ব্লেসড চিলড্রেনস হোপ’নামে একটি সংগঠনও পরিচালনা করছেন তিনি।
এই সংগঠনটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারকে বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করছে। এছাড়া তিনি অটিজমসহ অন্যান্য স্নায়বিক প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখে থাকেন।
সম্মাননার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অটিস্টিক শিশু ও অভিভাবকদের সহযোগিতা করার লক্ষ্যে আমি শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে অটিজম ব্যবস্থাপনার উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং তাদের নিয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালের অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ বিষয়ে কাজ করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ী হই এবং সেই লক্ষ্যে অটিজম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হই।
পি/সি
মন্তব্য করুন