বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত টেলি সামাদ
বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা টেলি সামাদ। আজ রোববার বাদ আসর সবশেষ জানাজা শেষে মুন্সীগঞ্জের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান টেলি সামাদ (৭৪)। খাদ্যনালী, ফুসফুসের সমস্যাসহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। এদিকে এফডিসিতে আজ রোববার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে জানাজা সম্পন্ন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফারুক।
আরও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা উজ্জ্বল, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, আলীরাজ, ড্যানি সিডাক, অমিত হাসান, জায়েদ খান, সম্রাট, অভিনেত্রী অঞ্জনা, নাসরিন, জেসমিন, সঙ্গীতশিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, প্রযোজক নাসির উদ্দিন দিলু, নাদের খান, রশিদুল আমিন হলি, খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, মনতাজুর রহমান আকবর, ইস্পাহানী আরিফ জাহান, নোমান রবিনসহ অনেক।
টেলি সামাদের জন্ম ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি, মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও এলাকায়। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা তার বড় ভাই বিখ্যাত চারুশিল্পী আব্দুল হাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়।
অভিনয়ের বাইরে সঙ্গীতেও তার পারদর্শিতা ছিল। ‘মনা পাগলা’ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ দিয়ে তার চলচ্চিত্রে পা রাখা। তবে তিনি দর্শকদের কাছে যে ছবিটির মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পান সেটি হলো ‘পায়ে চলার পথ’। এরপর অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন।
অভিনয়ের বাইরে ৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে তিনি গানও গেয়েছেন। বিটিভির ক্যামেরাম্যান মোস্তফা মামুন আবদুস সামাদ বাদ দিয়ে টেলি সামাদ নামটি দিয়েছিলেন। সেই থেকেই তাকে সবাই টেলি সামাদ নামেই চেনেন। চার দশকে ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা।
টেলি সামাদ অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে নয়ন মণি, দিলদার আলী, অশিক্ষিত, ফকির মজনু শাহ, মধুমিতা, মিন্টু আমার নাম, নদের চাঁদ, মাটির ঘর, দিন যায় কথা থাকে, নওজোয়ান, ভাত দে, সখিনার যুদ্ধ, সোহাগ, পৃথিবী, কথা দিলাম, শেষ উত্তর, হারানো মানিক, চন্দ্রলেখা, লাভ ইন সিঙ্গাপুর, গোলাপী এখন ট্রেনে, মনা পাগলা, সুজন সখী, লাইলী মজনু ইত্যাদি। বলা যায়, তার অভিনীত প্রত্যেকটি সিনেমাই ছিল ব্যবসা সফল।
এম/পি
মন্তব্য করুন