একেবারেই গ্রাম্য পরিবেশ। ছায়া সুনিবিড় সুন্দর প্রকৃতির ছোঁয়া। ঘাস-লতাপাতার মিশেলে ইট-পাথরের বাড়িও যে গ্রামীণ হয়ে ওঠে, নিজ চোখে না দেখলে তা বোঝা মুশকিল। রাজধানীর গুলশানে এমনই এক পরিবেশে থাকেন ঢালিউডের এক সময়ের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী ববিতা। নিজ হাতে তিনি আপন মনে সাজিয়েছেন বাড়িটি।
গেল সোমবার দুপুরে এই বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিল ৪৫জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু। তারা এসেছিল নায়িকার অতিথি হিসেবে। শিশুরা উপস্থিত হয়ে কাছে পায় আরও দুজন নায়িকাকে। তাদের উচ্ছ্বাস আরও বেড়ে যায়। অভিনেত্রী সুচন্দা ও চম্পাও ছিলেন একই বাড়ির অতিথি। বোন ববিতার আমন্ত্রণে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা।
শিশুদের সঙ্গে আনন্দ-আড্ডায় তিন অভিনেত্রী পার করে দেন কয়েকঘণ্টা। শিশুরাও বাঁধভাঙা উল্লাসে পার করে পুরোটা সময়। আবৃত্তি, নাচ, গান ও গল্পে মুখর হয় চারপাশ। সবুজ প্রকৃতি যেন আরও সতেজ হয়।
গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে কানাডায় ছেলের কাছে ছিলেন অভিনেত্রী। অনেকদিন শিশুদের থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন। তাইতো দেশে ফিরেই কাছে টেনে নেন শিশুদের। ভাগাভাগি করেন ঈদ আনন্দ।
ববিতা জানান, ‘শিশুরা আমাকে প্রেরণা দেয়। ওরা আমাদের বেঁচে থাকার উৎস। শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। এই শিশুরা বেশ মেধাবী। ওরা আগামীর ভবিষ্যৎ। ঠিকমতো পরিচর্যা করলে একদিন ভালো কিছু করবে।
উল্লেখ্য, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ডিসট্রেসড চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনালের (ডিসিআই) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করেন অভিনেত্রী ববিতা। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে শিশুরা সেদিন অতিথি ছিলেন।
জিএ/পি