আজীবন সম্মাননা পেলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান
আমাদের এই বাংলাদেশের আকাশ থেকে মানবতার সূর্য উদিত হবে। আমরা একদিন পূর্ব আকাশে ধ্রুব তারা হয়ে জ্বল জ্বল করে জ্বলব। বলেছেন বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আরটিভির নবম স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ অনুষ্ঠান। এবারের আয়োজনে আজীবন সম্মননা পেয়েছেন তিনি। সম্মননা নিয়ে অনুভূতির কথা জানান বিশিষ্ট এই অভিনেতা।
তিনি বলেন, জীবনটাই উদযাপন। আমি সব সময় বলি জন্মে উদযাপন, মৃত্যুতেও উদযাপন। আমরা উদযাপনই করে চলছি। আরটিভির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা বহুদিনের, বেশ পুরোনো। আমি খুশি হয়েছি যে তারা আমার পদকটি দিয়েছে। নিজের কানে শুনে যেতে পারলাম। আমি প্রয়াত কোনও পদকে বিশ্বাস করি না। যেদিন আমি একুশে পদক পেয়েছিলাম, সেদিন ঘুমের মধ্যে শূন্যে উড়েছি। তখনই রবীন্দ্রনাথের কবিতা মনে পড়েছিল 'নিজেরে করিতে গৌরব দান, নিজেরে কেবলি করি অপমান'। তখনই মনে হয়েছিল মোহমুক্তির সাধনায় নিজেকে লিপ্ত করতে পারলে ভালো হতো। সবই আছে আবার সব যেন ছেড়ে যেতে পারি এই মনের জোর থাকুক। আরটিভি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত, বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি অনুরক্ত।
আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, রবীন্দ্রনাথ 'ক্রাইসিস অব সিভিলাইজেশন' সভ্যতার সংকটে বলেছেন, 'যত ঝড় ঝঞ্ঝাই হোক মানবতার সূর্য, সম্প্রীতর সূর্য, সৌহার্দের সূর্য পূর্ব আকাশ থেকে উদিত হবে'। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই বাংলাদেশের আকাশ থেকে মানবতার সূর্য উদিত হবে। আমরা একদিন পূব আকাশে ধ্রুব তারা হয়ে জ্বল জ্বল করে জ্বলব।
অনুষ্ঠানে আতাউর রহমানের হাতে সম্মাননা তুলে দেন আরটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি, আরটিভির পরিচালক বেগম বিলকিস নাহার ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। আতাউর রহমানকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু।
আতাউর রহমানের জন্ম ১৯৪১ সালে নোয়াখালীতে। স্কুলজীবন থেকেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার পথচলা। ষাটের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে প্রথম মঞ্চ নাটক করেন। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন তিনি। পর্যায়ক্রমে নাট্যাঙ্গনে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন তিনি। মঞ্চ নাটকের নির্দেশনার পাশাপাশি আতাউর রহমান রেডিও, টেলিভিশনেও অভিনয় করেছেন। লিখেছেন নাট্য বিষয়ক বই। নাট্যসমালোচক, উপস্থাপক, শিক্ষক, নাট্যকার, প্রবন্ধকার ও বক্তা হিসেবেও তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
জিএ/এম
মন্তব্য করুন