ভারতে প্রাচ্যনাটের ‘পলাশবাড়ি ট্র্যাজেডি’ মঞ্চস্থ
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি)র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব’। এই মহোৎসবের ২১ বছর উপলক্ষে প্রতিবারের মতোই ভারতের বিভিন্ন ভাষার নাটকের পাশাপাশি পরিবেশিত হচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত নাটক।
২১তম ভারত রঙ্গ মহোৎসবে গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ থেকে প্রাচ্যনাট মঞ্চস্থ করেছে ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’। প্রদর্শনী শেষে নাটকটি নিয়ে আলোচনাও হয়। আলোচনায় এছাড়াও ১০ ফেব্রুয়ারি ‘ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি’র দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয় উত্তরখণ্ডের দেরাদুনে ডিপার্টমেন্ট অব আর্ট অ্যান্ড কালচার মিলনায়তনে।
নাটকের গল্প ২০০৫ সালের ১১ এপ্রিল সাভারের পলাশবাড়িতে গভীর রাতে ধ্বসে পড়া স্পেকট্রাম সোয়েটার অ্যান্ড নিটিং ফ্যাক্টরি নিয়ে। সে সময় ফ্যাক্টরিতে রাতের শিফটে কাজ করছিলেন শতাধিক কর্মী। সেই ঘটনায় নিহত হয় প্রায় ৬৪ জন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে জানা যায়, কোনও রকম ঝুঁকি মোকাবিলার ব্যবস্থা ছাড়াই ঘটনার তিন বছর আগে ফ্যাক্টরিটি তৈরি হয়েছিলো একটি জলাভূমির ওপর।
ট্র্যাজেডি পলাশবাড়ি নাটকটি সেই ঘটনাকেই কেন্দ্রীভূত করে লেখা যেখানে একক চরিত্র তারাভান। সেদিনের নাইট শিফটে কাজ করতে আসা কর্মীদেরই প্রতিচ্ছবি। নাটকটি গ্রন্থিত হয় তার স্মৃতিচক্র, স্বপ্নচক্র আর জীবনচক্রের রোমন্থনে। যেকোনো সময় মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে পিষে দেবে তার জীবন, এমনকি তার নড়ার উপায়টুকুও নেই। এরকম অবস্থায় সে যেন একপ্রকার তার সমগ্র জীবনের পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব মিলিয়ে নেয়। সেই হিসেব প্রতিনিধিত্ব করে তারই মতো শত শত তারাভানের, যাদের অনেকেই এভাবে মরে যায়। এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন আজাদ আবুল কালাম। অভিনয়ে মোহাম্মদ রফিক, পারভীন সুলতানা কলি, পারভীন পারু,ফরহাদ আহমেদ শামীম, প্রদ্যৎু কুমার ঘোষ, শাহরিয়ার রানা জুয়েল, তানজি কুন।
জিএ
মন্তব্য করুন