শাহরুখ যুদ্ধে করোনার বিরুদ্ধে
বলিউড অভিনেতা কিংখান শাহরুখের মানবতা বিষয়ে ভক্তদের কমবেশি জানা আছে। বিভিন্ন সময় মানবতার কল্যাণে এগিয়ে গিয়েছেন শাহরুখ। বিশ্বজুড়ে যে করোনাভাইরাসের থাবা ছড়িয়েছে, মানুষ গৃহবন্দী হয়ে অভুক্ত থাকছে, বিষয়টি উপলব্ধি করে এগিয়ে এলেন শাহরুখ খান। করোনার থাবার থেকে মানুষকে রক্ষা করতে মহামারির সঙ্গে যুদ্ধে এবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। তার কোম্পানি রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট, রেড চিলিজ বিএফএক্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মীর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সাহায্য করবেন তিনি।
কী ধরনের সাহায্য শাহরুখ করবেন, তা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট টুইট করে জানিয়েছে। ২ পাতার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসআরকে ও তার কোম্পানিগুলো আপাতত কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বাইতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।
তারা যা করবেন-
- শাহরুখ, তার স্ত্রী গৌরী, জুহি চাওলা ও তার স্বামী জয় মেহতার আইপিএল টিম কলকাতা নাইট রাইডার্স পিএম-কেয়ার্স ফান্ডে অনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাহায্য করবে।
- শাহরুখ ও গৌরীর সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে অর্থ সহায়তা করবে।
- মীর ফাউন্ডেশন ও কেকেআর পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে ও ৫০,০০০ পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই দেবে।
- মীর ফাউন্ডেশন দ্য আর্থ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুম্বাইয়ে ৫ হাজার ৫০০’র বেশি পরিবারকে অন্তত ১ মাসের জন্য খাদ্য সামগ্রী দেবে। একটি রান্নাঘরও চালু করেছে তারা, এখানে প্রতিদিন তৈরি টাটকা খাবার দুই হাজার প্যাকেট খাবার চলে যাবে সাহায্যপ্রার্থী পরিবার ও হাসপাতালগুলোতে।
- মীর ফাউন্ডেশন রোটি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মিলে করোনার জেরে আর্থিক সমস্যায় পড়া নিঃসহায় মানুষ ও বিহারী দিনমজুরদের পাশে দাড়াবে। তিন লাখ খাবারের প্যাকেটের ব্যবস্থা করবে তারা, যার মাধ্যমে দশ হাজার মানুষের প্রায় এক মাসের খাবার হয়ে যাবে।
- ওয়ার্কিং পিপলস চার্টারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মীর ফাউন্ডেশন দিল্লির পঁচিশ হাজার বিহারি দিনমজুরকে অন্তত এক মাসের জন্য দরকারি জিনিসপত্র ও রেশন দেবে।
- পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও উত্তরাখণ্ডের ১০০’র বেশি অ্যাসিড আক্রান্তকে ১ মাসের জন্য করা হবে প্রয়োজনীয় সাহায্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাহরুখ লিখেছেন, আমরা যখন ঘরে সুরক্ষিত, তখন বহু কর্মী আমাদের এই সুরক্ষার জন্য কাজ করছেন। আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা তাদের সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য। আলাদা হয়েও একসঙ্গে আমরা এই বাধা কাটিয়ে উঠবই।
জিএ
মন্তব্য করুন