বড় বোনের চিঠি পেয়ে আপ্লুত ববিতা-চম্পা
বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুচন্দা। গত ফেব্রয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন ছেলে অপু রায়হানকে নিয়ে। এই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই তার দেশে ফেরার কথা ছিল।
চলমান করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে শেষ পর্যন্ত আর দেশে ফিরতে পারেননি সুচন্দা। মেজ ভাইয়ের হাইড পার্কের বাসায় আটকে রয়েছেন তিনি।
এমন অবস্থায় ছোট দুই বোন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ববিতা ও চম্পার কাছে একটি আবেগঘন চিঠি লিখেছেন সুচন্দা। মোবাইলের এই সময়ে এখন আর চিঠি লিখতে খুব একটা দেখা যায় না। মনের ভাবটা প্রকাশের জন্য মোবাইলের খুদে বার্তা আদান প্রদান করা হয়। কিন্তু সুচন্দা তার ছোট দুই বোনের খবর নিতে চিঠিরই আশ্রয় নিলেন।
হাতে লেখা সেই চিঠির ছবি তুলে ভাইবারে পাঠিয়ে দিয়েছেন দুই বোনের কাছে। বড় বোনের কাছ থেকে হাতে লেখা চিঠি পেয়ে আবেগ আপ্লুত ববিতা ও চম্পা।
চিঠিতে সুচন্দা লিখেছেন, গোটা পৃথিবীটাই যেন করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গেছে। যদি কখনেও কোনোদিন হঠাৎ করে দু-এক টুকরো সাদা মেঘ ভেসে আসে, তখন মনে হয়, ওরা যেন বাংলাদেশের বার্তা নিয়ে এসেছে। মেঘ যেন বলছে, আমরা ভালো নেই, চিকিৎসা নেই, ঘরে খাবার নেই, আমরা বড্ড অসহায়, তখন অঝোরে কাঁদি। ২২ এপ্রিল হাইড পার্কের বাড়িতে বসে দুই বোনের কাছে এই চিঠি লেখেন সুচন্দা।
তিনি আরও লেখেন, ভাবছ, বুজির (সুচন্দাকে বুজি বলে ডাকেন ববিতা ও চম্পা) সঙ্গে ফোনে কথা হয়, এরপর আবার চিঠি কেন? আসলে অনেক দিন কাউকে চিঠি লেখা হয় না। হাতের কাছে কাগজ–কলম পেলাম। মনে হলো দু-কলম লিখি, বলা যায় না, এই লেখাটুকুই হয়তো স্মৃতি হয়ে থাকবে।
চিঠিতে সুচন্দা আরও লেখেন, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দরজার পর্দা সরিয়ে সোফায় বসে সামনের গাছগুলোর দিকে আর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি, মনে হয় প্রকৃতি যেন তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। স্তব্ধ মেঘ যেন মুখ কালো করে থমকে আছে। মেঘের চঞ্চলতা নেই। রাস্তায় গাড়ি চলার
শব্দ নেই। বাচ্চাদের খেলাধুলা, হইচই নেই। গোটা পৃথিবীটাই যেন করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গেছে।
এম
মন্তব্য করুন