‘পথের পাঁচালী’র স্ক্রিপ্ট চিরকুটে লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায়
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। পথের পাঁচালী, গুপি গাইন বাঘা বাইন থেকে শেষ ছবি আগুন্তুক। যাত্রাপথটা মোটেই মসৃণ ছিল না।
গোটা জীবনে তিনি ৩৫টির বেশি ছবি পরিচালনা করেছেন। সেই বিশ্ব বরেণ্য পরিচালকের আজ ১০০ তম জন্মদিন আজ। ১৯২১ সালের ২ মে কলকাতায় জন্ম। পৈতৃক বাড়ি বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। সত্যজিতের অমর সৃষ্টি ‘ফেলুদা’ তার সৃষ্টিশীলতার স্বাক্ষর বয়ে চলছে যুগে যুগে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, পথের পাঁচালী’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র জগতের যাত্রা শুরু। এরপর একে একে তার হাতে পরশ পাথর , জলসাঘর, অপুর সংসার, অভিযান, মহানগর, কাপুরুষ ও মহাপুরুষ , নায়ক, গুপি গাইন বাঘা বাইন , অরণ্যের দিন রাত্রি, সীমাবদ্ধ, অশনি সংকেত, সোনার কেল্লা, জন অরণ্য, শতরঞ্জ কি খিলাড়ী, জয় বাবা ফেলুনাথ, হীরক রাজার দেশে, ঘরে বাইরে, গণ শত্রু, শাখা প্রশাখা এবং সর্বশেষ সৃষ্টি আগুন্তুক।
জানেন কি সত্যজিৎ যখন তার প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ পরিচালনা করতে গিয়েছিলেন তখন তিনি জানতেন না ছবির জন্য আলাদা করে স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে হয়। সেটে সবাই প্রস্তুত শুটিংয়ের জন্য। সহ পরিচালক এসে তার কাছে স্ক্রিপ্ট চাইলেন।
তখন পরিচালক বলেন, ‘স্ক্রিপ্টের কী দরকার? আমি যা বলবো, ওরা তাই বলবে। আলাদা করে স্ক্রিপ্টের কী দরকার? একথা শুনে সবাই তো অবাক।
তারপর তিনি বলেন, ‘ঠিক আছে পেন আর কাগজ নিয়ে এসো। আমি লিখে দিচ্ছি।’ সেই মতো তিনি ছোট কাগজের টুকরোতে একটা করে দৃশ্য এঁকে দিয়েছিলেন। সেখানেই লিখে দেন কে কি বলবে অর্থাৎ ডায়লগ। এই সবই হয়েছিল সেতে বসে শুটিং শুরুর ঠিক কিছুক্ষণ আগেই।
আর এই চিরকুটগুলোই ছিল ‘পথের পাঁচালী’র স্ক্রিপ্ট। যা থেকেই স্পষ্ট তিনি ছিলেন কালজয়ী পরিচালক। তার ছবির প্রতিটি বিষয় থাকতো তার নখদর্পণে। মাথায় এমনভাবে গেঁথে থাকতো লেখার দরকার পড়ত না।
এম
মন্তব্য করুন