ইরফানের জন্য কষ্ট পাচ্ছেন ‘দ্য লাঞ্চ বক্স’র অভিনেত্রী
বলিউডের শক্তিমান অভিনেতা ইরফান খান পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এই অভিনেতাকে হারানোর শোক কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তার সহকর্মীরা। নিমরাত কৌরের জীবনে বড় কাজ ‘দ্য লাঞ্চ বক্স’ সিনেমাটি। সেখানে ইরফানের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
যদিও পর্দায় তাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা যায়নি। তবে সেই লাঞ্চ বক্সের আবেগঘন চিঠিগুলো দর্শকদের এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, সিনেমায় কোনও থিওরি বা স্ট্যাটিসটিকস নেই। যেটা ছিল সেটা হলো অনুভূতি। এই অনুভূতির সঙ্গে আবেগের ফোড়ন দিয়ে ভালোবাসার আঁচে খানিক ফুটিয়ে, টিফিন বাক্সবন্দি করে চালান করতেন তিনি। পাঠাতেন এমন একজনকে যাকে তিনি কখনও দেখেননি। সে ব্যক্তিও বড় যত্ন করে হালকা হাতে খুলতেন বাক্সের ঢাকনা। খাবারের চেয়ে চিঠির জন্য অপেক্ষা করতেন মাঝবয়সী ভদ্রলোক। ‘দ্য লাঞ্চ বক্স’ র সেই গল্প আরাম দিয়েছিল মনে। শিখিয়েছিল প্রেমের এক অন্য ধরন। আজো দর্শকের মনে লেগে রয়েছে সেই ছবি।
প্রথমে নিমরাত বেশ ভয় পেয়েছিলেন। তবে কাজ করতে গিয়ে দেখছিলেন অযথা চিন্তা করেছেন তিনি। ইরফান দারুণ অভিনেতা। তার চেয়েও অনেক বেশি ভালো মানুষ। ইরফানের মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন নিমরাত। তিনি ভাবতেই পারছেন না যে, ইরফান আর নেই।
নিমরাতের ভাষ্য, ‘খবরটায় আমি প্রচন্ড অবাক হয়েছি। আমার কতটা খারাপ লেগেছে, সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার বেশি চিন্তা হচ্ছে ইরফানের পরিবারের সকলের জন্য। অনেকদিন ধরেই যুদ্ধ করছেন তারা। অবশেষে হেরে গেলেন। এই সময় নিজেদের সামলানো কঠিন।
ছবিতে ইরফানের সঙ্গে তেমনভাবে স্ক্রিন শেয়ার করেননি নিমরাত। তবে ছবির প্রচারের সময় অনেকটা সময় কাটিয়েছেন তারা। নিমরাত বলেন, ‘এটা আমার দুর্ভাগ্য, একটি মাত্র ছবিতেই কাজ করেছি। এত সুন্দর ছবি। তবুও স্ক্রিন শেয়ার শেয়ার করতে পারিনি। কিন্তু প্রচারের সময়, আমাদের মধ্যে প্রচুর কথা হয়েছে। সিনেমা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক সময় কাটিয়েছি একসঙ্গে। ইরফান ভীষণ ভালো মানুষ মানুষ। বড় মাপের মানুষ।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ইরফান এত বড় অভিনেতা। বলিউড-হলিউডে সমানভাবে কাজ করেছেন। কিন্তু নিজের মধ্যবিত্ত মানসিকতা সবসময় বজায় রেখেছেন। নিজের শিকড় ভোলেননি কখনও। তাই বোধহয় তার মধ্যে কোনও অহংকার জন্মায়নি। আমি এটা ইরফানের কাছ থেকে শিখেছি। সারাজীবন বজায় রাখার চেষ্টা করবো। শুধু একটাই আফসোস, তিনি যখন এত অসুস্থ ছিলেন, একবার দেখা করতে গেলাম না কেন। আর তো কখনও দেখা হবে না। এই দুঃখটা রয়ে যাবে।
এম
মন্তব্য করুন