জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত করলো ১৮টি সংগঠন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতা জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত করলো চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠন। আজ (১৫ জুলাই) বিএফডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় ১৮ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা আনতে ও নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে কাজের গতি বাড়াতে গত বছরের অক্টোবরে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। এটি বাস্তবায়ন হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে ন্যূনতম ১৫ লাখ টাকা ব্যয় কমে আসবে। কিন্তু সেই উদ্যোগটি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন জায়েদ খান। তার বিরুদ্ধে এ নীতিমালা না মানতে শিল্পীদের ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রযোজক সমিতির সদস্য হয়েও তার এমন কর্মকাণ্ড প্রযোজক সমিতির স্বার্থের পরিপন্থী। গতকাল ১৪ জুলাই বিকাল ৪টায় প্রযোজক সমিতির কার্যালয়ে ১৮ সংগঠনের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জায়েদ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবারের প্রণয়নকৃত নীতিমালা মেনে যারা কাজ করবেন শুধুমাত্র তাদেরকে নিয়েই এখন থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। যারা এই নীতিমালা মেনে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করবেন তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে।
এর আগে ‘সংগঠনের স্বার্থ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত থাকার অভিযোগে প্রযোজক জায়েদ খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জায়েদ খান আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘প্রযোজক সমিতির চিঠি পেয়ে আমি সভাপতির অনুমতি নিয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদ বৈঠক আহ্বান করি। আমাদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত আমরা প্রযোজক সমিতিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। শিল্পীরা আমাকে ভোট দিয়েছেন। তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা আমার গঠনতান্ত্রিক দায়িত্ব। এতে কোথায় আমার অন্যায় বা অপরাধ হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়।
এম
মন্তব্য করুন