শহিদ মিনারে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে শেষ শ্রদ্ধা আগামীকাল
সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে আগামীকাল (বুধবার) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে। আজ তার মরদেহ রাখা হবে বারডেম হিমঘরে।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আজ মঙ্গলবার ( ২২ জানুয়ারি) মারা যান। সকালে পরিবারের সদস্যরা বুলবুলের মরদেহ নিয়ে যান আফতাবনগরের বাসায়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলে সামির আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, আব্বাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত স্থানে দাফন করার অনুমতি দিন।
তিনি জানান, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল অনেক দিন থেকেই অসুস্থ। তার হার্টের ধমনিতে আটটা ব্লক ছিল। গত বছর মে মাসে রিং পরানো হয়। ইদানীং তার শরীরটা খুব ভালো যাচ্ছিল না।
হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় গতবছর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তার অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।
১৯৭০ দশকের শেষ লগ্ন থেকে অমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে `মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপাসহ বাংলাদেশি প্রায় সকল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করে একুশেপদক, দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এগারো বার বাচসাস পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার পান।
আরো পড়ুন:
জেএইচ
মন্তব্য করুন