• ঢাকা সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১
logo
আগের সরকারের ভয়ে এখনও অনেকেই কাজে ডাকেন না: নওশাবা
বছরের শুরুতেই ‘মনের মাঝে তুমি’ দিয়ে আলোচনায় ফারিন
বেশ জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে দেশের একটি নামিদামি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের হাত ধরেই কয়েক বছর আগে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল ফারিন খানের। জাজের ‘ধ্যাততেরিকি’ ছবির নায়িকা ছিলেন তিনি, তখন দশম শ্রেণিতে পড়তেন ফারিন! ছবি মুক্তির পর তিনি বুঝতে পারলেন নিজের অভিনয়ে দুর্বলতা আছে। এরপর বিরতি নেন কিছু দিনের। অনুধাবন করেন পর্দায় অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে হলে তাকে অভিনয় শিখতে হবে, নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। এ কারণে সিনেমা ছেড়ে নাটকে অভিনয় শুরু করেছেন ফারিন খান।  বিরতি কাটিয়ে কাজ শুরু করেন নাটকে। নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির ‘ফিমেল’ নাটকের মাধ্যমে দর্শকের নজর কাড়েন তিনি। বর্তমানে নাটকের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। মাঝে মধ্যে আবার উকি দিচ্ছেন ওটিটির পর্দায়ও। নাটকের ক্যারিয়ারয়ে ফারিন কাজ করেছেন আলোচিত অভিনেতাদের সঙ্গে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার এই অভিনেত্রীকে দেখা গেল দেশ বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে।  নতুন বছরের শুরুতেই ‘মনের মাঝে তুমি’ নাটক দিয়ে বাজিমাত করলেন ফারিন। গেল ২৬ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মুক্তি পায় নাটকটি। আব্রাম তামিমের চিত্রনাট্য ও সংলাপে ‘মনের মাঝে তুমি’ শিরোনামের নাটকটি পরিচালনা করেছেন রুবেল আনুশ। মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের মনে ঝড় তুলেছে ফারিন-ফারহানের ‘মনের মাঝে তুমি’। তাদের অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নাটকপ্রেমীরা। গত ১৭ জানুয়ারি ইউটিউবে নাটকটি মুক্তির পর মাত্র ২১ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে। শুধু তাই নয় দুই দিনে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ দেখেছে নাটকটি। প্রকাশের একদিনের মাথায় প্রায় দুই মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করেছে। শুধু তাই নয়, এ নাটকে ভালোই মজেছেন দর্শক। ইতিবাচক হাজারো মন্তব্যে ছেয়ে গেছে ইউটিউবের কমেন্ট বক্স। নতুন এই নাটকটি নিয়ে অভিনেত্রী ফারিণ খান বলেন, সাধারণ গল্পটাকেই অসাধারণভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। আমরা সবাই চেষ্টা করেছি নিজেদের শতভাগ দেয়ার। খুব ভালো লাগছে দর্শকদের এমন সাড়া পেয়ে।  আরটিভি/এএ-টি   
দুর্ঘটনার কবলে মেহের আফরোজ শাওন
বছরের শুরুতেই কোটিপতি ফারহান
নতুন দায়িত্ব পেলেন সোহানা সাবা
তৌহিদ হকের নির্দেশনায় তিশা-আরশ
নাট্যজন মমতাজউদদীন আহমদের ৯১তম জয়ন্তী উপলক্ষে যত আয়োজন
সব্যসাচী নাট্যজন মমতাজউদদীন আহমদের ৯১তম জয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী নাট্যসংগঠন ‘থিয়েটার’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে সন্ধ্যা ৬.০০ মিনিটে অনুষ্ঠানটি শুরু হবে।  ‘থিয়েটার’ আয়োজিত মমতাজউদদীন আহমদ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় থাকছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। অনুষ্ঠানে মমতাজউদদীন আহমদের নাটকে মুক্তিযুদ্ধ এবং 'স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা' প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করা হবে। আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করবেন জনাব প্রদীপ বণিক, জ্যেষ্ঠ সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, থিয়েটার। আয়োজনের বিভিন্ন পর্বে পরিবেশিত হবে সঙ্গীত, আবৃত্তি, পাঠ-অভিনয়। ভাষাসৈনিক, বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নবনাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ তিনি। মঞ্চ, টেলিভিশন, বেতার ও চলচ্চিত্র সব মাধ্যমেই তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। এ দেশের মঞ্চনাটকে পরিপূর্ণতা আনয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার রচিত ও নির্দেশিত নাটক ‘সাতঘাটের কানাকড়ি, এদেশের নাট্যাঙ্গনে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। থিয়েটার প্রযোজিত তুমুল জনপ্রিয় এই নাটকটি তৎকালীন সৈরশাসকের ভীত পর্যন্ত কাঁপিয়ে দিয়েছিলো সেসময়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বর্ণচোর’ ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’, ‘জমিদার দর্পণ’, বটবৃক্ষের ধরমকরম, রাজা অনুস্বারের পালা, ফলাফল নিচাপ, যামিনীর শেষ সংলাপ, দুই বোন , ওহে তঞ্চক, খামাখা খামাখা, স্বাধীনতার সংগ্রাম, নাট্যত্রয়ী’, ‘হৃদয়ঘটিত ব্যাপার স্যাপার’ ইত্যাদি।  তার লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ ও ‘রাজা অনুস্বারের পালা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তার নিজহাতে গড়া নাট্যসংগঠন ‘থিয়েটার’ দেশের অন্যতম প্রধান নাট্যদল। তার লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত’, ‘বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত’, ‘নীলদর্পণ’ (সম্পাদনা) ও ‘সিরাজ উদ দৌলা’ (সম্পাদনা) ইত্যাদি। ২০১৯ সালে জানুয়ারিতে তার জীবদ্দশায় ৮৫তম জন্মদিনে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নাট্যচর্চায় অবদানের জন্য মমতাজউদদীন আহমদ একুশে পদক পান ১৯৯৭ সালে। এছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি- পেয়েছেন নাট্যকর্মী থেকে শুরু করে দেশের অগণিত মানুষের ভালোবাসা। আরটিভি/এএ/এআর
চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি: শবনম ফারিয়া
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। আগের চেয়ে এখন অনেকটাই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়শৈলী দেখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। এই অভিনেত্রীর সিনেমায় অভিষেক ঘটে ২০১৮ সালে ‘দেবী’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। আগের চেয়ে এখন অনেকটাই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন শবনম ফারিয়া। তবে পর্দায় আগের মতো সরব না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সক্রিয় এই অভিনেত্রী। প্রায় সময়ই বিভিন্ন স্ট্যাটাসে নিজের অনুভূতি বা মতামত শেয়ার করেন ফারিয়া। এবার ফের অভিনেত্রীর এক স্ট্যাটাসে উত্তাল নেটদুনিয়া। সম্প্রতি শবনম ফারিয়া পরিবারের সঙ্গে তোলা একটি পুরোনো ছবি শেয়ার করে বাবাকে নিয়ে এক আবেগঘন ক্যাপশন লিখেছেন। যেখানে উল্লেখ করেছেন, হলিউড সিনেমা লায়ন কিং দেখার সময় বাবাকে নিয়ে এক উক্তি যখন বলে ঠিক সে সময় তিনি তার চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।  অভিনেত্রী লিখেন, সেদিন স্বস্তিকা চ্যাটার্জির একটা পোস্ট পড়ছিলাম, একটা কথা মনে গিয়ে বিঁধলো, কথাটা খানিকটা এমন, জীবনটা দুই রকমের । বাবা থাকতে একটা, বাবা না থাকতে আরেকটা। চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি উল্লেখ করে শবনম লিখেন, কখনো কি মনে হয়, এমন একটা জীবন থাকতে পারে যেখানে বাবা নাই, কিন্তু সব জায়গায় তার অস্তিত্ব, এমনকি নিজের মধ্যেও। লায়ন কিং সিনেমায় যখন সিম্বাকে বলে, “you’re the reflection of your father” আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নাই। এই অভিনেত্রী আরও লিখনে, ফেসবুকে মেমোরিতে সময় সময়ে ছবি আসে বাবার, কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভুলে যাই, বাবা নাই, ওই সময়টায় ফিরে যাই! মাঝে মাঝে বাবা স্বপ্নে আসে বাবার সাথে কথা হয় কিন্তু ঘুম ভাঙলে মনে থাকে না বাবা কি বলে। কিন্তু তাও ভাল লাগে। বাবা আসে তাই। ওই নেনো সেকেন্ডই বাবাকে বাবা ডাকার সাধ একটু মনে হয় মেটে। প্রসঙ্গত, ফারিয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ মোবারকনামায়। যেখানে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় দু’জনের কাজ বেশ প্রশংসিত হয়েছে দর্শকের কাছে। আরটিভি/এএ   
সেলিম আল দীন স্মরণে নানা আয়োজন
নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ১৮তম প্রয়াণ দিবস মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি)। দিনটি উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, নাট্য সংগঠন ঢাকা থিয়েটার, স্বপ্নদল নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ‘তোমার অসীম মুখশ্রীর পূর্ণিমা শূন্যে আভাময়’ স্লোগান নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে স্মরণ শোভাযাত্রা ও সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। বেলা সাড়ে ১১টায় রয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ১১টা ৪০ মিনিটে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘এসো আলোক তীর্থে’। পরে রয়েছে ‘তাঁহার কথামালা’। নির্দেশনায় ড. সোমা মুমতাজ। বেলা সাড়ে ১২টায় রয়েছে স্বপ্নীল সোহেলের পরিবেশনায় ‘ভেনট্রিলোকুইজম’। দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎমঞ্চে থাকছে নাট্যস্লাতকগনের পরিবেশনায় ‘যেমন খুশি তেমন করো’। বিকেল ৩টায় বিভাগের সেটল্যাবে ‘সেলিম আল দীনের নাটক: প্রসঙ্গ ভাষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ৪৯তম আবর্তনের পরিবেশনায় মঞ্চায়ন হবে নাটক ‘ধাবমান’। এটি নির্দেশনা দিয়েছেন আনন জামান। ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার যৌথভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে মঙ্গলবার সকাল ১০টায়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তারা আগামী ১৭ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘নিমজ্জন’। ১৮ জানুয়ারি বিকেলে থাকছে সেমিনার ‘যুগচলতি রীতিবিরোধী কথাকারুকার:সেলিম আল দীন’। শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে আয়োজিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন স্বকৃত নোমান। ১৯ জানুয়ারি রাত ১০টায় ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ফেসবুক পেজে ভিডিও মাধ্যমে দেখানো হবে সেলিম আল দীনের কীর্তি-কর্মের উপস্থাপনা ‘বহুমাত্রিক সেলিম আল দীন’। স্বপ্নদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৭-১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করেছে ‘নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন স্মরণোৎসব ২০২৫’। ‘চিত্রাঙ্গদা’র দুটি এবং নাট্যচার্য সেলিম আল দীনকে উৎসর্গ করে নির্মিত বাঙলা মূকাভিনয়রীতির মূকনাট্য ‘ম্যাকবেথ’-এর দুটি প্রদর্শনী হবে। এ ছাড়াও থাকছে স্মরণ-শোভাযাত্রা, সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, নাট্যাচার্যের প্রতিকৃতি সহকারে শিল্পকলা চত্বর সজ্জা, নাট্যাচার্যের জীবন-কর্ম-দর্শন নিয়ে আলোচনা প্রভৃতি। ‘চিত্রাঙ্গদা’ ও ‘ম্যাকবেথ’ দুটি প্রযোজনারই নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৮ জানুয়ারি মারা যান সেলিম আল দীন। নাটকের আঙ্গিক ও ভাষার ওপর গবেষণা করেছেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা তার হাত ধরেই। এই শিকড়সন্ধানী ১৯৮১-৮২ সালে নাট্যনির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফকে সঙ্গী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার। শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্যবিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্যকোষ সংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেছেন এই গুণী।
অভিমান আর ঘৃণা না পেলে জীবনটা আরও মধুর হতো: জয়
ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয়ে, নির্মাণে, উপস্থাপনায়-নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন আড়াই  দশক ধরে। তবে সব ছাপিয়ে তার বড় গুণটি হচ্ছে, তিনি নিজেকে কখনও লুকান না। নিজের ও অন্যের সম্পর্কে যা ভাবেন সেটি প্রকাশ করে দেন অকপটে। প্রয়োজনে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও তিনি দ্বিধা করেন না। শোবিজে ২৫ বছর পথচলা উপলক্ষে সামাজিকমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জয়। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, অভিনয় ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পার করলাম। নানান উত্থান-পতন সাফল্য এবং ব্যর্থতায় যা অর্জিত হয়েছে তা হচ্ছে অভিজ্ঞতা। এরপর লিখেছেন, ‘মাঝে আলোচিত উপস্থাপক হওয়ার কারণে প্রচুর দর্শক পরিচিতির পাশাপাশি পেয়েছি আপনাদের অজস্র অভিমান। যদি শুধু অভিনেতাই হতে পারতাম! তাহলে হয়তো শুধু ভালোবাসাটাই পেতাম। সবশেষে তিনি লিখেছেন, অভিমান আর ঘৃণা না পেলে জীবনটা আরও মধুর হতো। এক জীবনে শত জীবনের বৈচিত্র্য নেওয়ার সুযোগ অভিনয় ছাড়া আর কোনো কাজে নেই। আমি এখন জিম্মি। বলেন তো জিম্মি কি?  আরটিভি/এএ /এস
দৌলতদিয়া পল্লীতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যা বললেন রুনা খান
দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। দিন যতই যাচ্ছে বয়স যেন কমছে। ৪১ বছর বয়সে এসেও রূপের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন এই অভিনেত্রী। মাঝে মধ্যেই ভক্তদের তাক লাগিয়ে দেন রুনা। কখনও অভিনয়ে, কখনও বা ফেসবুকে ছবি দিয়ে। এদিকে, রুনা খান অভিনীত নতুন সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। ছবিটি এবারের ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরে ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা’ জায়গা পেয়েছে। এ সিনেমায় একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই চরিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। জানা গেছে, ‘নীলপদ্ম’ ছবিটির শুটিং হয়েছে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতেই। সেখানে শুটিংয়ের কাজে প্রথমবারের মতো গিয়েছেন তিনি। সেখানে যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক অবস্থান অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন। কাজের ফাঁকে তাদের সময় পেয়েছেন, মিশেছেন একটু কাছ থেকেই। সেখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে রুনা খান বলেন, প্রথম গেলাম তো, মানুষ হিসেবে তাদেরকে খুব কাছাকাছিই দেখলাম। এই যে শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে যে সময়টা তাদের থেকে পেয়েছি, তারা এসে আমার সাথে গল্প করেছে। আমিও ঘরে বসে ওদের সঙ্গে গল্প করছি, ওরা আমার সঙ্গে সিসিমপুর নিয়ে গল্প করছে, ফ্যামিলি ক্রাইসিস নিয়ে গল্প করছে, ইউটিউবিং নিয়ে আলোচনা করেছে, শাকিব খানের সিনেমার কথা বলছে- মানে, আমি তুমি যা করি, ওরাও তাই করে। এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ওরা যৌনকর্মী, এটা ওদের পেশা। ওরা ওই কাজটা করেই জীবিকা নির্বাহ করে। আমাদের কাপড়টা ধোয়া হলেও যেমন অসুবিধা নেই, ওদের কাপরটা ধোয়া হলেও পরতে অসুবিধা নেই। এছাড়া আমি, তুমি আর ওদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই, আমরা শুধু মানুষ।’ প্রসঙ্গত, নাটক, বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটি মাধ্যমের বেশ কয়েকটি কাজ যেমন, কষ্টনীড়, অসময়-এর মতো দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন রুনা খান। আরটিভি/এএ 
অবশেষে জানা গেল ‘ইত্যাদি’র শুটিংয়ে ভাঙচুরের আসল কারণ
ঠাকুরগাঁওয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে মারামারি ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচালক হানিফ সংকেত অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন। তবে মধ্যরাতে স্বল্পসংখ্যক দর্শক নিয়ে আবারও শুটিং শুরু হয়।  এ প্রসঙ্গে ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পক, নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত একটি গণমাধ্যমকে বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এখানে কোনো ঝগড়া নেই, মারামারি নেই, হামলা নেই। সবাই পরে খুব দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, ‘আপনাদের ভালোবাসে, এটা তো অন্যায় না। ভালোবাসি বলেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ এখানে কেউই মারামারি করতে আসেনি, হামলাও করতে আসেনি। এখানে এসেছিল উৎসুক জনতা। তারা এসেছে ‘ইত্যাদি’ দেখবে, আমাদের দেখবে, ‘ইত্যাদি’র শুটিং দেখবে বলে। ঘটনার সূত্রপাতের বিষয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠান শুরু করি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সাড়ে ৬টা কি ৮টার সময় ঘটনার সূত্রপাত, যখন আমি মঞ্চে উঠলাম। ওঠার পর যখন কথা বললাম, তখনই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এরপর একটা নাচ করলাম। তারপর রবি চৌধুরী ও লিজার গানের অর্ধেকটা করলাম, তখন সেকেন্ড বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ রেখে রাত সাড়ে ৯টা কি ১০টার দিকে আবার শুরু করেছি। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শুটিং করেছি। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রাজবাড়িতে শুটিংয়ের কারণ জানিয়ে হানিফ সংকেত বলেন, আমরা কোনো মাঠে এই অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং করি না। সাধারণত যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা দেশের কোনো ঐতিহ্যবাহী স্থানে আমরা অনুষ্ঠানটা করি। ঠাকুরগাঁওয়ে এ রকম কিছু নেই। তারপরও আমরা জানতে পেরেছি, রানীশংকৈল উপজেলায় টংকনাথের রাজবাড়ি নামে একটি জমিদারবাড়ি আছে, যেটা খুবই বিখ্যাত, প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনও। এরপর আমরা ওখানকার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললাম। তারা বললেন, ‘এটা তো গ্রামীণ এলাকা, এখানে অত লোক পাবেন? অন্য জায়গায় করা যায় কি না, ঠাকুরগাঁওয়ে।’ আমি তখন বলেছি, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে করব না। আমরা তো মাঠে করি না।’ তখন তারাও বলছিলেন, ‘দর্শক না এলে হবে?’ আমি তখন বলেছি, ‘আমাদের দুই থেকে তিন হাজার দর্শক হলেই চলবে। আমরা তো স্থাপনার বাইরে যেতে পারব না।’ পাঁচ লাখের বেশি লোক হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানের আগে আমরা আট হাজার প্রবেশ পাস দিয়েছি। যেই আমি মঞ্চে এলাম, শুনলাম, চারদিক থেকে তিন কিলোমিটারের মতো রাস্তা প্যাকড। পাঁচ লাখের অধিক লোক। এত মানুষকে আমি কোথায় বসতে দেব। লোকজন বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন তো ম্যাচাকার অবস্থা। ওখানে নারী আছেন, শিশু আছে, আছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এরপর হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করছে, আমিও করছি। অস্থির অবস্থা। কেউ চেয়ার–ছোড়াছুড়ি করছে। হানিফ সংকেত বলেন, আসলে সেখানে সমস্যাটা হয়েছে কি, আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছি। আমরাও বুঝিনি যে এত লোক হবে। কর্তৃপক্ষও বোঝেনি যে এত লোক হবে। আমাদের জায়গাটা আসলে আরও বড় হওয়া উচিত ছিল। অতীতেও এ ধরণের বিচ্ছিন্ন ঘটনা আরও হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঘটেছে, ওখানেও কয়েক লাখ লোক হয়েছিল। এরপর তো ছাদ ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। তেঁতুলিয়ায়ও যখন শুটিং করেছি, তখন ছাদ ভেঙে পড়ে গিয়েছিল। এমন ঘটনা আমার জীবনে নতুন নয়। তবে আমরা এত কিছুর মধ্যে অনুষ্ঠান একেবারের জন্যও বন্ধ করিনি। এবার যে এক থেকে দেড় ঘণ্টা স্থগিত করেছি, এ রকম হয়নি। এদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ে ইত্যাদির শুটিংয়ে রবি চৌধুরীও ছিলেন।  ইত্যাদির সেটে ভাঙচুরের বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ফেসবুকে ইত্যাদির সেটের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ইত্যাদির পুরো টিম আমাদের কিছু হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। ১০ হাজার লোকের জায়গায় ২ লক্ষ লোক হয়ে গেছে। আর্মি এবং পুলিশের সহযোগিতায় শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। চারদিকে ভুয়া নিউজ। হায়রে ভিউ-পাগল কিছু মিডিয়া! আবারও প্রমাণিত হলো ইত্যাদির কোনো বিকল্প নেই। ইত্যাদি নাম্বার ওয়ান। সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজাও ভুয়া খবর না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনিও অংশ নিয়েছিলেন ইত্যাদির শুটিংয়ে। ফেসবুকে লিজা লিখেছন, গতকাল খুব সুন্দরভাবে আমরা “ইত্যাদি’’র নতুন একটি পর্ব ঠাকুরগাঁওয়ে শেষ করলাম। ইত্যাদি ঘিরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসা সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করলাম। এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা! অযথাই এসব ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ রইল সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি। অন্যদিকে, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলাজুড়ে প্রায় ৩ হাজার প্রবেশ (গেট) পাশের ব্যবস্থা করেছিল ইত্যাদি কর্তৃপক্ষ। তবে অনুষ্ঠানে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। একপর্যায়ে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ একাধিকবার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। উপায় না পেয়ে অনুষ্ঠানের মাঝপথে এসে তা স্থগিত করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। আরটিভি/এএ/এআর
‘সবার চোখে মুখে আমাকে হারানোর ভয় দেখতে পাচ্ছিলাম’
অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ছোট পর্দার বর্তমান সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। বেশ কয়েকদিন হাসপাতলে থাকার পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে বাসায় ফিরেছেন।  এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক পোস্ট দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুশফিক আর ফারহান। সেখানে তিনি লিখেন, আমাকে দেখতে আসছে অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রযোজক, পরিচালক, সহকর্মী, প্রিয় দর্শকেরা। আমি সবাইকে দেখে মুচকি হাসছি, কি বলব বুঝতে পারছি না, হাসি দিয়ে বুঝাতে চাইলাম চিন্তা করোনা, বেঁচে আছি ভাই। এই অভিনেতা আরও লিখেন, আমি শুধু সবার চোখে মুখে আমাকে হারানোর ভয় দেখতে পাচ্ছিলাম। আমি ভীষণ আবেগ প্রবন মানুষ, অনেক কষ্টে আবেগকে ধরে রাখছিলাম। আর ভাবছি যারা এত ভালোবাসে তাদের জন্য হলেও আমাকে নতুন ভাবে বাঁচতে হবে। এবারের যাত্রায় বাসায় ফিরছি উল্লেখ করে তিনি লিখেন, আমার প্রিয় দর্শক, সাংবাদিক, সহকর্মী, কলাকুশলী যারাই আমার খোঁজ খবর নিয়মিত নিয়েছেন এই ক’দিন আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভালোবাসাতেই আমি ফারহান হয়েছি, ইনশাল্লাহ আপনাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসাই ফারহানকে বাঁচিয়ে রাখবে ভালবাসা সবার জন্য। আরটিভি/এএ