• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘শেষমেশ’-এ কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিলো : পারসা ইভানা
সামিরা খান মাহির এ কী হাল!
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। সামাজিকমাধ্যমে বেশ সরব তিনি। পেশাগত ও ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো সেখানে প্রকাশ করেন। এবার এমন এক ছবি প্রকাশ করলেন যাতে যারপরনাই অবাক হতে হয়।   মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) নিজের ফেসবুকে যে ছবি প্রকাশ করেছেন মাহি সেখানে দেখা গেছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছেন অভিনেত্রী। পরনে পুরোনো সাদা শাড়ি, হাতে ভিক্ষার থালা। ক্যাপশনে লিখেছেন, আজ আমাকে ভিক্ষা দে, মানবতা আর কিছু চাই না আমি, পেটের ক্ষুধা তৃষ্ণায় ভাত চাই না, আমাকে মানবতা ভিক্ষা দে। ছবিটি দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। কেননা এটি একটি নাটকের দৃশ্য। নাম ‘ফকির থেকে কোটিপতি’। রচনা ও পরিচালনায় প্রীতি দত্ত। নাটকটিতে মাহির বিপরীতে রয়েছেন নিলয় আলমগীর। নাটকটি নিয়ে মাহি বলেন, এটা আসলে ঈদের একটি নাটক। আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি। নানা চরিত্র ও গেটআপ নিতেও আমার ভালো লাগে। একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। এখানে আসলে গল্পের প্রয়োজনেই ভিক্ষুকের লুক নিয়েছি। তবে ছবিটি পোস্ট করার পর দেখলাম আমি এমন লুকে কেন, এটা জানার আগ্রহ সবার। আসলে এমন বেশ কিছু চরিত্রেই আমি এবারের ঈদে হাজির হচ্ছি। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই সামিরা খান মাহির। এক লহমায় দর্শক বন্দি হন তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়াজালে। ছোটপর্দায় এরইমধ্যে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ওটিটিতেও প্রশংসিত হয়েছেন।
ঈদে সিয়ামকে নিয়ে ‘ইত্যাদি’র মঞ্চ মাতাবেন মেহজাবীন
ছবি নিয়ে নানা প্রশ্ন, মুখ খুললেন সেই শরিফুল
বাংলাদেশ আর আমি একসঙ্গে বড় হচ্ছি : বিপাশা হায়াত
প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয়ে আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে
বিয়ে ভাঙার কাজ করেন তৌসিফ-নিহা
বিখ্যাত ঘটক শাকিল ভাইয়ের মেয়ে মুনতাহা। বাবার লিগ্যাসি ধরে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘ম্যাচমেকার’ নামে ম্যারেজ অ্যাপস খুলেছে সে। যার মাধ্যমে বিয়ে প্রত্যাশী দুটি হৃদয়ের মেলবন্ধন ঘটানো হয়। অন্যদিকে ইফতেখারের একটি ইনভেস্টিগেশন ফার্ম আছে। যেখানে বিয়ের আগে কেউ চাইলে হবু বউ বা হবু জামাইয়ের অতীত সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারে। ইফতেখার আর তার টিম খুবই দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করে নিখুঁত রিপোর্ট দেয়। এমন দুটি পেশা ও চরিত্র নিয়ে দারুণ একটি নাটক নির্মাণ করেছেন ইমরাউল রাফাত। নাম দিয়েছেন ‘ম্যাচমেকার’। এই নাটকে মুনতাহা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজনীন নিহা এবং ইফতেখার চরিত্রে আছেন তৌসিফ মাহবুব। বিভিন্ন চরিত্রে আরও আছেন- শেহজাদ ওমর, শাহবাজ সানী, রিসা চৌধুরী, শহীদুল্লাহ সবুজ, যাকি আহমেদ যারিফ প্রমুখ। নির্মাতা ইমরাউল রাফাত জানান, রোমান্টিক ঘরানার এই গল্পে তিনি তুলে এনেছেন ভিন্ন ধারার দুই পেশার দুজন মানুষের মেলবন্ধন। যাদের কাজের ধরণ আলাদা হলেও বিয়ে ভাঙা ও গড়ার ক্ষেত্রে দুজনের প্রতিষ্ঠানেরই প্রভাব রয়েছে। নাটকে দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে একটি বিয়ে ভাঙার মধ্যদিয়ে। নিহার একটি ক্লায়েন্ট হাতছাড়া হয়ে যায় তৌসিফের নেতিবাচক রিপোর্টের কারণে! এরপর ঘটতে থাকে দুটি প্রতিষ্ঠান, দুজন ব্যক্তি ও একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে দারুণ সব ঘটনা। নাটকটির প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘ম্যাচমেকার’ আসছে ঈদে তাদের অন্যতম বিশেষ চমক। যা ঈদ আয়োজনে প্রকাশ হবে।
এবার স্বাগতাকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীর বিস্ফোরক মন্তব্য
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। চলতি বছর শুরুর দিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রাক্তন ও বর্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব কথা কানে না নিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। ব্যস্ত ছিলেন পরিবার ও কাজ নিয়ে। দুই মাস পর এবার মুখ খুললেন স্বাগতা। তিনি বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সবসময় একরকম চলে? সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬ সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আর তাই  একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে।  স্বাগতার অভিযোগের পর এবার মুখ খুললেন তার প্রাক্তন স্বামী রাশেদ জামান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, স্বাগতার এসব বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তার জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে আমার দিক থেকে সবসময় শুভ কামনা থাকবে। স্বাগতা অনেক যোগ্য একজন মানুষ। গুণী মানুষ এবং গুণী শিল্পী। আমার পক্ষ থেকে অনেক শুভ কামনা। এরপর বলেন, অভিযোগ ছাড়া কোনো মানুষ নেই। কিন্তু আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি মানুষের কাছ থেকে অনেক সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি। আমি খুব হ্যাপি। তবে এসব নিয়ে যত বেশি কথা হবে তত বেশি মানুষের কাছে মিডিয়া নিয়ে বাজে ধারণা যাবে। আমি সেটা করতে চাই না। আমাদের একটা পরিবার আছে। আত্নীয় স্বজন আছে। তাই এসব নিয়ে যত কথা বলব ততবেশি মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে। শুধু তাই না, আমি একটা মেয়েকে জাস্টিফাই করতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি স্বাগতা ভালো মানুষ। সে নতুন একটা সংসার শুরু করেছে। একজন ভালো মানুষের সঙ্গে সংসার শুরু করেছে। তার নতুন জীবনের জন্য শুভ কামনা। স্বাগতার প্রাক্তন আরও বলেন, আমি কোনো সেলিব্রেটি না। সাধারণ মানুষ। সাধারণ পরিবারের মানুষ। শুধু এতটুকু বলতে পারি আমাদের সাধারণ পরিবারের মানুষেরা ডিভোর্স বা নির্যাতন করর জন্য বিয়ে করে না। তবে আমি চাইবো তার নতুন জীবন সুন্দর হোক। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমের পর ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবার বিয়ে করেন স্বাগতা। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বামী রাশেদ জামানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। এরপর চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী ফের গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। 
গাড়িচাপায় মরেছে এক ভাই, আরেক ভাইকে বাসায় আনলেন পিয়া
মডেল ও অভিনেত্রী জান্নাতুল পিয়া। দেশর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কাজ করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। অভিনয়-মডেলিংয়ের পাশাপাশি ব্যারিস্টারি পাস করে কোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিস করছেন তিনি। তবে এসবের চেয়ে আরও একটি পরিচয় আছে তার, তিনি পশু-পাখি ভীষণ ভালোবাসেন। বাসায় কুকুর পোষেন। মাঝেমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসবের ছবি প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তাকে দেখা যায় রাস্তার অসহায় কুকুরদের খাওয়াতেও। তবে এবার তৈরি করলেন দারুণ এক মমতার উদাহরণ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) কোর্ট এলাকায় একটি কুকুরকে তিনি কোলে নেওয়ার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। ক্যাপশন হিসেবে লিখেছেন, আজকে কোর্টে ঢোকার সময় ‘লায়ন’কে দেখলাম। শুনলাম গতকালই ওর ভাই গাড়ি চাপাতে মারা গেছে, তারপর থেকে চুপচাপ। আগামী প্রায় এক মাস হাইকোর্ট বন্ধ থাকবে, ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে, কোর্টে লোক একেবারে কম থাকবে, বেশির ভাগ কুকুর-বিড়ালের খাবার থাকবে না। তাই ভাবলাম লায়নকে আমার বাসার সামনেই নিয়ে যাই, আমার মটু-পাতলুর সঙ্গেই থাকবে এবার থেকে! তিনি গণমাধ্যমেক বলেন,‘কোর্টে ঢোকার সময় ওকে দেখি। একপাশে চুপচাপ বসে ছিল। একজন জানালেন ওর ভাই কাল গাড়িচাপায় মারা গেছে। এ কারণে মন খারাপ। তাই ওকে নিয়ে আমার বাসার পাশে ছেড়ে দিয়েছিলাম। বৃষ্টির সময় দেখি ভিজে কাহিল অবস্থা। পরে গা মুছে খাইয়ে আমার বাসার ভেতরে রেখে দিয়েছি। আমার লায়ন নামে একটা কুকুর ছিল, বছরখানেক আগে ও মারা গেছে। আমার মনে হচ্ছে হারিয়ে ফেলা লায়নকে পেয়েছি। এ কারণে ওর নাম লায়ন রেখেছি। প্রসঙ্গত, কলেজে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস ও ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন পিয়া। আন্তজার্তিক অঙ্গনেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১২ সালে পরিচালক রেদোয়ান রনির ‘চোরাবালি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় জান্নাতুল পিয়ার। এরপর তাকে বেশ কিছু সিনেমা, নাটক ও মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে। শেষ করেছেন আরও একটি সিনেমার কাজ। 
বিচ্ছেদের পর সবাই আমার সঙ্গে প্রেম করতে চায় : স্বাগতা
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। চলতি বছর শুরুর দিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রাক্তন ও বর্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব কথা কানে না নিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। ব্যস্ত ছিলেন পরিবার ও কাজ নিয়ে। দুই মাস পর এবার মুখ খুললেন স্বাগতা। তিনি বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সবসময় একরকম চলে? সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬ সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে। যে কারণে একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। আর অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে প্রায়ই তাকে শুনতে হয় বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা। কথাগুলো এমন- ‘তারকারা সংসার করতে পারে না’, ‘কেন সংসার ভাঙে’, ‘কেন তারকারা একের অধিক বিয়ে করে’ ইত্যাদি। বিভিন্ন সময় এমন প্রশ্ন মুখ বুজে সহ্য করলেও এবার চটেছেন এই অভিনেত্রী। স্বাগতা বলেন, আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন। আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই শুনেছি। তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ, আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি, বলতে চাইনি। আর ডিভোর্স নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করুন। যৌক্তিক কথা বলুন। না জেনে কারও ওপর দোষ চাপাবেন না।
আমাদের বিচ্ছেদ ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন : স্বাগতা
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। চলতি বছর শুরুর দিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রাক্তন ও বার্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব কথা কানে না নিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। ব্যস্ত ছিলেন পরিবার ও কাজ নিয়ে। দুই মাস পর এবার মুখ খুললেন স্বাগতা। তিনি বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সবসময় এক রকম চলে? সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬ সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে। যে কারণে একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। আর অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে প্রায়ই তাকে শুনতে হয় বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা। কথাগুলো এমন- ‘তারকারা সংসার করতে পারে না’, ‘কেন সংসার ভাঙে’, ‘কেন তারকারা একের অধিক বিয়ে করে’ ইত্যাদি। বিভিন্ন সময় এমন প্রশ্ন মুখ বুজে সহ্য করলেও এবার চটেছেন এই অভিনেত্রী। স্বাগতা বলেন, আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন। আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই শুনেছি। তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ, আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি, বলতে চাইনি। আর ডিভোর্স নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করুন। যৌক্তিক কথা বলুন। না জেনে কারও ওপর দোষ চাপাবেন না।
অবশেষে বাগানে ফুল তোলার চাকরি নিলেন তটিনী
হালের অন্যতম প্রিয়মুখ তানজিম সায়রা তটিনী। যার হাসিতে বুঁদ হয় থাকেন সবাই। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কাজ করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে পর্দায় মেলে ধরতে চান তটিনী। শিগগিরই ‘গোলাপ গ্রাম’ নামের একটি নাটকে দেখা যাবে তটিনীকে। যেখানে ফুল শ্রমিকের জীবন ও প্রেমিকার চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। মেজবাহ উদ্দিন সুমনের চিত্রনাট্যে বিশেষ এই নাটকটি নির্মাণ করেছেন রুবেল হাসান। এতে তটিনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান। নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু। নাটকটির প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, এই নাটকের মাধ্যমে মূলত গোলাপ গ্রামের ফুল তোলা শ্রমিকদের জীবন যুদ্ধের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যেখানে ফুল তোলা শ্রমিকের চরিত্রে তটিনী আর ফুল বিক্রেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোহান। তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেম। তবে মহাজন কুতুব মিয়া তাদের জীবনে ধরা দেয় কাঁটা হয়ে। প্রসঙ্গত, আসন্ন ঈদে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে ‘গোলাপ গ্রাম’।  তটিনী-ইয়াশ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন— মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, লামিয়া ল্যাম, পাপিয়া, পিয়াল, শর্মী প্রমুখ।
বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাটক
রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা মনে আছে তো? থাকারই কথা। যে ঘটনা পুড়িয়ে মেরেছে প্রায় ৪৬টি তাজা প্রাণ, তা কি ভোলা যায়! ২৯ ফেব্রুয়ারির সেই ভয়াবহ ঘটনা এবার উঠতে চলেছে টেলিভিশনের পর্দায়। অর্থাৎ, ঘটনাটি নিয়ে নাটক নির্মিত হয়েছে। নাম ‘একটি খোলা চিঠি’। ঈদের জন্য নাটকটি রচনা ও নির্মাণ করেছেন গুণী নির্মাতা রেজানুর রহমান। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশনা হাবিব ভাবনা। তাকে সাংবাদিক চরিত্রে দেখা হবে। তবে সেটা বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত নারী সাংবাদিক অভিশ্রতি শাস্ত্রীর চরিত্র কি না সেটি নিশ্চিত করেননি তিনি। ভাবনা গণমাধ্যমকে বলেন, এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। নাটকটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। তবে ওই্ অগ্নিকাণ্ডে তো অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। স্বজন হারিয়েছেন। তাদের বেদনাই তুলে ধরা হয়েছে। এরইমধ্যে নাটকটির শুটিং শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক রেজানুর রহমান। নাটকটির গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ছোট্ট একটি পরিবার। মধ্যবিত্ত এই পরিবারের প্রধান ব্যক্তি একজন স্কুল শিক্ষক। নীতিবান মানুষ। তার বড় মেয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের স্থানীয় প্রতিনিধি। ঢাকায় বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক মানুষের অসহায় মৃত্যু স্কুল শিক্ষক আলাল উদ্দিনকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে। তার মতে এটি অগ্নিকাণ্ড নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তিনি আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। এমনই এক অস্থির মুহূর্তে এলাকার চেয়ারম্যান আলাল মাস্টারকে তলব করেন। চেয়ারম্যান একজন সংবাদকর্মীকে খুন করেছেন। এই ঘটনার অন্যতম সাক্ষী আলাল মাস্টার। বেইলি রোডের ঘটনায় আলাল মাস্টার মামলা করবেন বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজে যে খুন করেছেন সেই মামলার সাক্ষী না হতে আলাল মাস্টারকে হুমকি দেন চেয়ারম্যান। কিন্তু আলাল মাস্টার অনঢ়। সত্যের পক্ষেই থাকবেন তিনি। চেয়ারম্যান এবার আলাল মাস্টারের মেয়ে সংবাদকর্মী গুলনাহারকে অপহরণ করেন। এভাবেই এগিয়ে যাবে নাটকটির গল্প। ভাবনা ছাড়াও নাটকটিতে অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রওনক বিশাখা শ্যামলী, ফারুক হোসেন, মিন্টু সরদার, সুকর্ন হাসান, মনি কানচনসহ বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের শতাধিক নাট্যকর্মী। নাটকটি ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিট একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে।