• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
সাইফ আলী খানের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে যা জানা গেল
সাইফের ওপর হামলাকারী যুবক গ্রেপ্তার
সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। ভারতের বান্দ্রা রেলস্টেশনে অভিযান পরিচালনার সময় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইম অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফকে হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমনে সাত সদস্যের দল গঠন করে চিরুনি অভিযান শুরু করেন। পরে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বান্দ্রা রেলস্টেশনে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায় অভিযুক্তকে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে মুম্বাই পুলিশের নজরে আসে এবং গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, অনুপ্রবেশকারী খান পরিবারের কোনো গৃহকর্মীর সঙ্গে পরিচিত ছিল। সম্ভবত সে কারণেই লবির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা না পড়েই বাড়িতে প্রবেশ করে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে সাইফের বান্দ্রার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ঢুকে পড়ে। ওই সময় অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর জখম অবস্থায় মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেতাকে। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাইফের শরীর থেকে ২-৩ ইঞ্চি একটি ধারালো বস্তু বের করেছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অভিনেতা। আরটিভি/এইচএসকে
সাইফকে ছুরিকাঘাত / জবানবন্দিতে রোমহর্ষক বর্ণনা, ১ কোটি রুপি দাবি করেছিল দুর্বৃত্ত
সাইফকে ছুরিকাঘাত, প্রাথমিক তদন্তে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
সাইফকে ছুরিকাঘাত, সিসি টিভির ফুটেজ ঘিরে রহস্য
আইসিইউতে সাইফ আলী খান
রাতে বাড়িতে ঢুকে সাইফকে ছুরিকাঘাত, যা বললেন কারিনা
মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাইফ। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কারিনা কাপুর খান।  এ ঘটনায় কারিনার টিমের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, হাতে আঘাত পেয়েছেন সাইফ। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ও চিকিৎসা চলছে। আমাদের পরিবার নিরাপদে রয়েছে।  কারিনার পক্ষ থেকে ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গণমাধ্যম ও ভক্তদের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আপনারা ধৈর্য ধরুন। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। সাইফের প্রতি আপনাদের উদ্বেগ, ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।  জানা গেছে, সাইফের শরীর থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছুরির অংশ বের করেছেন চিকিৎসকেরা। একইসঙ্গে শেষ হয়েছে সাইফের স্নায়ুর অস্ত্রোপচার এবং কসমেটিক সার্জারিও। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে সাইফের বাড়িতে হানা দেয় দুর্বৃত্তকারীরা। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ডাকাতির উদ্দেশেই এই হানা। দুর্বৃত্তকারীরা সাইফকে ছুরি দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, সাইফের পাশাপাশি তার বাড়িতে কর্মরত এক গৃহকর্মীকেও ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে। তবে এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বান্দ্রার সৎগুরু শরণ ভবনে স্ত্রী কারিনা কাপুর খান এবং দুই ছেলে তৈমুর ও জাহাঙ্গীরকে নিয়ে থাকেন সাইফ।    আরটিভি/এইচএসকে/এস  
সাইফের শরীরে ছুরির অংশ পেল চিকিৎসক, তিনজন আটক
নিজ বাড়িতেই গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে আহত সাইফ আলী খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে অভিনেতার শরীরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছুরির অংশ বের করেছেন চিকিৎসকেরা। একইসঙ্গে শেষ হয়েছে সাইফের স্নায়ুর অস্ত্রোপচার এবং কসমেটিক সার্জারিও। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাইফের শরীর থেকে প্রায় ২-৩ ইঞ্চির একটি ধারালো বস্তু বের করা হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, ওটা ছুরিরই ভাঙা অংশ।   লীলাবতী হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিনেতার শরীরে ছয়টি আঘাত রয়েছে। যার মধ্যে দুটি বেশ গভীর। একটি আঘাত তার মেরুদণ্ডের কাছাকাছি। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে সাইফের বাড়িতে হানা দেয় দুর্বৃত্তকারীরা। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ডাকাতির উদ্দেশেই এই হানা। দুর্বৃত্তকারীরা সাইফকে ছুরি দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, সাইফের পাশাপাশি তার বাড়িতে কর্মরত এক গৃহকর্মীকেও ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে। তবে এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বান্দ্রার সৎগুরু শরণ ভবনে স্ত্রী কারিনা কাপুর খান এবং দুই ছেলে তৈমুর ও জাহাঙ্গীরকে নিয়ে থাকেন সাইফ। কড়া নিরাপত্তা থাকার পরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা অবাক করেছে সবাইকে। আরটিভি/এইচএসকে  
গভীর রাতে নিজ বাড়িতে সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত
গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে সাইফের বান্দ্রার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ঢুকে পড়ে। ওই সময় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্বৃত্তরা সাইফের বাড়ি  ঢুকে পড়ে। ওই সময় দুর্বৃত্তদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে জখম হন অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে বান্দ্রা ডিভিশনের ডিসিপি বলেন, সাইফের বাড়িতে রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা ঢুকে পড়ে। এই মুহূর্তে আহত হয়ে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাইফ।  লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, সাইফ আলী খানকে ছুরিকাহত অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অভিনেতার শরীরে ছয়টি আঘাত রয়েছে। যার মধ্যে দুটি বেশ গভীর। একটি আঘাত তার মেরুদণ্ডের কাছাকাছি। বিষয়টি নিয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সাইফ লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। একইসঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বান্দ্রার সৎগুরু শরণ ভবনে স্ত্রী কারিনা কাপুর খান এবং দুই ছেলে তৈমুর ও জাহাঙ্গীরকে নিয়ে থাকেন সাইফ। কড়া নিরাপত্তা থাকার পরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা অবাক করেছে সবাইকে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।  আরটিভি/এইচএসকে/এস  
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন অভিনেতার স্ত্রী
বর্তমানে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে দূরে রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাহিল খান। তবে অভিনয় দিয়ে আলোচনায় না থাকলেও গেল বছর ২৬ বছরের ছোট বেলারুশের নাগরিক মেলিনাকে বিয়ে করে শোরগোল ফেলে দেন অভিনেতা। এবার সাহিল জানালেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তার স্ত্রী।   সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘খুবই গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমার স্ত্রী মেলেনা আলেকজান্দ্রা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। চমৎকার এই জার্নির জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের দোয়া কবুল করুন। আমিন।’ এ দিকে অভিনেতার স্ত্রী মেলিনার ধর্মান্তরিত হওয়ার খবরটি ভালোভাবে গ্রহণ করেননি নেটিজেনরা। অনেকে যেমন অভিবাদন জানিয়েছেন, অনেকে আবার কটাক্ষও করেছেন। এর আগে, ভারতীয় গণমাধ্যমের একটি সাক্ষাৎকার স্ত্রীর বিষয়ে সাহিল বলেন, ‘মেলিনার বয়স এখন ২১ বছর। সে বেলারুশের নাগরিক। সম্প্রতি পড়াশোনা শেষ করেছে। বিয়ের পর খুবই ইতিবাচক অনুভূতি হচ্ছে। এখন বুঝতে পারছি, মানুষ কেন বিয়ে করে। আমি এখন খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।’ বয়সের ব্যবধান বাধা হয়নি সাহিল-মেলিনার সম্পর্কে। অভিনেতার ভাষ্যমতে— মেলিনা খুবই বুদ্ধিমতী আর সংবেদনশীল। ওর বয়স বেশ কম। আমাদের বয়সের পার্থক্য অনেক। তার বয়স ২১ হলেও অনেক তরুণীর চেয়ে মানসিকভাবে বেশি পরিণত এবং খুব শান্ত। প্রসঙ্গত, এটি সাহিলের দ্বিতীয় বিয়ে। ২০০৩ সালে ইরানি বংশোদ্ভূত নরওয়েজিয়ান অভিনেত্রী নেগার খানকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে ২০০৫ সালে ভেঙে যায় তাদের এই সংসার।   আরটিভি/এইচএসকে  
নিঃস্ব হয়ে পেট্রলপাম্পে কাজ নেন ঐশ্বরিয়ার সেই নায়ক
তামিল চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়টা ছিল। রজনীকান্ত ও কমল হাসানের মত জনপ্রিয় নায়কদের বয়স তখন চল্লিশের কোঠায়, রোমান্টিক সিনেমা বা বলা যায়, 'তরুণ' হার্টথ্রব নায়কের চরিত্রে তাদের গ্রহণযোগ্য কম ছিল।  এর ফলে বিজয়, অজিত কুমার, অরবিন্দ স্বামী এবং আর মাধবনসহ নতুন প্রজন্মের তারকাদের উত্থান ঘটে। সকলেই পরবর্তী তিন দশক ধরে রুপালি পর্দায় ম্যাজিক দেখিয়ে চলেছেন। কিন্তু এই তারকাদের ভিড়ে আরও একজন ছিলেন, যিনি ক্যারিয়ারের শুরুতে কামাল করলেও ভাগ্যের ফেরে হারিয়ে যান লাইমলাইট থেকে। তার নাম মির্জা আব্বাস আলি। পশ্চিমবঙ্গে জন্ম হয়েছিল আলির। কলেজে পড়ার সময়, ১৯৯৪ সাল নাগাদ মডেলিং শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি তামিল চলচ্চিত্র কাধাল দেশম দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, যা বাণিজ্যিক সাফল্য পায়, একইসঙ্গে ফিল্মিবোদ্ধদেরও মন জিতে নেয়।  মিডিয়া তাৎক্ষণিকভাবে আব্বাসকে 'হার্টথ্রব' বলে অভিহিত করে, রাতারাতি স্টার হয়ে যান তিনি। তার কাছে আসতে থাকে একের পর এক ছবির অফার।  এরপর তেলুগু ভাষায় প্রিয়া ও প্রিয়া, রাজা এবং তামিল ভাষায় কান্নেঝুথি পোট্টুম থোট্টু, পাদায়াপ্পা এবং সুয়াম্বরমের মতো ছবিতে অভিনয় করেন। রাহুল রায়ের মতো ‘ওয়ান ফিল্ম ওয়ান্ডার’ ছিলেন না বঙ্গভূমে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতা।  এই সব ছবিই দক্ষিণের বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল। কমল হাসান ও শাহরুখ খান অভিনীত 'হে রাম'-এ ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করার পর আব্বাস কান্ডুকোন্ডেইন কান্ডুকোন্ডেইনের সঙ্গে তার সবচেয়ে বড় ব্রেক পান। এই রোমান্টিক ছবিতে তিনি ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন এবং মামুট্টি, অজিত কুমার এবং টাবুও ছিলেন ছবির অন্যতম চরিত্র। পরের বছর, তার আরও একটি ছবি, মিনালে বক্স অফিসে হিটের তকমা পায়। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'অংশ' ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি, কিন্তু সেটি বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আব্বাসকে তামিল চলচ্চিত্রের অন্যতম ভরসাযোগ্য অভিনেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে ২০০৬ সালের দিকে আব্বাসের ক্যারিয়ার থমকে যায়। হিন্দি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি তামিল চলচ্চিত্র ছেড়েছিলেন। কিন্তু তার দুটি হিন্দি ছবি 'অংশ' ও অউর ফির ব্যর্থ হয়। তিনি যে অন্যান্য ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সেগুলিও শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। ফলস্বরূপ আচমকাই যেন আব্বাসের সোনালি ক্যারিয়ার থমকে যায়। কাছের মানুষের পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে আব্বাস তামিল এবং তেলুগু চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রের কাজের অফর লুফে নেন,  তার চেয়ে কম জনপ্রিয় অভিনেতাদের পাশে দ্বিতীয় হিরোর রোলও করেছেন সেই সময়। পরবর্তী কয়েক বছর ধরে, আব্বাসকে তেলুগু চলচ্চিত্রে ক্যামিও এবং সহায়ক অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আর সেই স্টারডম ফিরে পাননি।  ২০১১ সালের পর ফিল্মি ক্যারিয়ারের পতনের বোঝা নিয়েই টেলিভিশন শোতে কাজ করেন। কয়েক বছর পর, ইউটিউব চ্যানেল রেডনুলের সাথে কথা বলার সময়, তিনি জানান, ওই সময় অভিনয় নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং তাই সব ছেড়ে নিউজিল্যান্ডে চলে যান। ২০১৫ সাল নাগাদ আব্বাস নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেছিলেন নতুন জীবন গড়ার আশা নিয়ে। তবে সমস্ত অর্থ নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পর ছোটখাটো চাকরি করতে হয় একসময় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি কাঁপানো এই তারকাকে।  রেডনুলিন ২০২২-এর সাথে একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করা থেকে মেকানিক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেওয়া এবং এমনকি বছরের পর বছর সেখানে একটি পেট্রোল পাম্পেও কাজ করেছেন তিনি। অবশেষে মোটিভেশনাল স্পিকার হয়ে ওঠেন আব্বাস। ২০২৩ সালে ভারতে ফিরে আবার অভিনয়ে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে এখনও নতুন কোনো প্রজেক্টে চুক্তিবদ্ধ হননি তিনি। পরিবারের সঙ্গে চেন্নাইয়ে থাকেন এই অভিনেতা।  আরটিভি /এএ  
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে নায়িকার সঙ্গে কুমার শানুর লিভ টুগেদার
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার শানু। অসংখ্য হিট গানে শ্রোতা-দর্শক মাতিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা হচ্ছে। অভিনেত্রী কুনিকা সদানন্দ দাবি করেছেন প্রথম স্ত্রী থাকাকালীন তার সঙ্গে একত্রবাস করেছেন গায়ক। পাশাপাশি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দেন ডিভোর্স।  এর আগে, কুমার শানুর ছেলে জানকেও এমন বলতে শোনা গিয়েছিল বিগ বসের আসরে। তিনি বলেছিলেন, আমার জন্য, আমার মা-ই বাবা এবং মা উভয়ের ভূমিকা পালন করেছে। আমার মা যখন আমাকে নিয়ে ৬ মাসের গর্ভবতী ছিলেন, তখন আমার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান, তাই আমি শৈশব থেকেই কেবল মায়ের সঙ্গেই বড় হয়েছি। ছেলের পাশাপাশি কুমার শানুর সেক্রেটারিও গায়কের বহুগামিতার কথা স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কুমারের অনেক ‘গার্লফ্রেন্ড’ আছে এবং আপাতত, তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেশাদ্রির সঙ্গে ডেট করছেন। মূলত এই মীনাক্ষীই কুমার শানুর প্রথম সংসার ভাঙার নেপথ্য কারিগর। মহেশ ভাটের জুর্মের প্রিমিয়ার শোতে প্রথম দেখা হয় তাদের। এরপর প্রেম। প্রথম স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে কুমার শানুর বিয়ে হয়েছিল আশির দশকের মাঝামাঝিতে। তাদের তিন সন্তান। তারা হলেন জেসি, জিকো ও জান। এদিকে কুমারের সঙ্গে নিজের প্রেমের ফিরিস্তি টেনে তিনি জানান, স্ত্রী রীতার সঙ্গে ঝামেলা চলছিল সেসময়। একদিন কিছু বন্ধুর সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন শানু। হঠাৎ কাঁদতে শুরু করেন। হোটেলের ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দেওয়ারও চেষ্টা করেন। সেসময় গায়ককে সামলাতে সামলাতে ভালোবেসে ফেলেন কুনিকা। তারা দীর্ঘ ৫ বছর লিভ ইন করেন। প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে রীতাকে বিয়ে করেন কুমার শানু। এ সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। ১৯৯৪ সালে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। পরবর্তীতে ২০০১ সালে সালোনি ভট্টাচার্যকে বিয়ে করেন কুমার শানু। তাদের ঘরেও রয়েছে দুই সন্তান। আরটিভি/এএ/এস
‘ডাক্তার জানান আমার আয়ু আর ২ সপ্তাহ’
‘বরফি’, ‘গ্যাংস্টার’-এর মতো সুপারহিট ছবির নির্মাতা অনুরাগ বসু। সেই অনুরাগকেই চিকিৎসক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তার আয়ু আর মাত্র দুই সপ্তাহ! যে সময়ে পরিচালকের স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অনুরাগের জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বছর। সালটা ছিল ২০০৪। তার প্রথম বড় পর্দার ছবি ‘গ্যাংস্টার’-এর শুটিং সবে শুরু হয়েছে। মুখ্য চরিত্রে কঙ্গনা রানাওয়াত, শাহিনি আহুজা ও ইমরান হাসমি। কঙ্গনার অভিষেক ছবি, প্রযোজনায় ভাট পরিবার। হঠাৎ করেই একদিন মুখে ঘা হয়েছে দেখেন অনুরাগ। আকারে বেশ বড়, তাতে দানা দানা। চিকিৎসকের কাছে যেতেই চিকিৎসক উল্টো ভয় পেয়ে যান। রক্তপরীক্ষা করতে দেন। রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, ব্লাড ক্যানসার হয়েছে অনুরাগের। তবে ওই যে কমিটমেন্ট। এতটাই পেশাদার অনুরাগ পাত্তা না দিয়ে ছুটে যান শুটিং সেটে।  পরিচালক বলেন, আমি বুঝিনি রোগটা এতটা মারাত্মক আকার নিয়েছে। খুব যে অসুস্থবোধ করছিলাম এমনটা তো নয়। আমাকে দেখতে মহেশ ভাট সেটেই আসেন। কপালে হাত দেন। হঠাৎ দেখি তার দুই হাত কাঁপছে। শান্ত মানুষটার কী হলো! তখনই অনুভব করলাম, আমি বোধহয় সত্যিই ভালো নেই। দুদিন যেতে না যেতেই অবস্থার চরম অবনতি হতে শুরু করে অনুরাগের। চারদিকে রক্ত আর রক্ত। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক এক করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অসাড় হতে শুরু করে তার। স্ত্রী জানতেন না কিছুই। তবে সত্যি কি আর চাপা থাকে? কালবিলম্ব দেরি না করে পরিচালককে ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল ক্যানসার হাসপাতালে। অনুরাগের কথায়, চিকিৎসক জানিয়ে দিলেন, ‘বড় জোর দুই সপ্তাহ বাঁচতে পারব’। ওদিকে আমার স্ত্রী কাছে আসার চেষ্টা করছে। পারছে না। ভগবানকে বলতাম, সাত মাস তো হয়ে গেল। আর দুটো মাস আমাকে বাঁচিয়ে রাখো, যাতে সন্তানের মুখটা দেখতে পারি। শুরু হলো কেমোথেরাপি। অবিশ্বাস্যভাবে চিকিৎসায় দারুণ সাড়া দিতে লাগলেন অনুরাগ। কিছুটা সুস্থ হতেই ব্যাক টু প্যাভেলিয়ন। হাজির হলেন শুটিং ফ্লোরে, তৈরি হলো গ্যাংস্টার। কোল আলো করে এলো ফুটফুটে কন্যাসন্তান। চিকিৎসকেরাও তাকে ঘোষণা করলেন ‘ক্যানসার ফ্রি’। তাই ক্যানসার মানেই ‘নো-অ্যানসার’ নয়।