• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
কিংবদন্তি সুচিত্রা সেনকে হারানোর ১১ বছর
ঘুম থেকে উঠে ভিডিও’র পুরো অংশ দিয়ে আত্মসমর্পণ করলাম: পরীমণি
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের সেনসেশন পরীমণি। শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীমণির সংসার। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সন্তানদের বড় করে তুলছেন তিনি। এদিকে, প্রথমবারের মতো ওপার বাংলার সিনেমা ‘ফেলুবক্সী’তে নায়িকা হিসেবে পর্দায় আসছেন পরীমণি। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্র ‘ফেলুবক্সী’। দেবরাজ সিনহার পরিচালনায় এতে তার বিপরীতে আছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা-বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। ফেলুবক্সীর মুক্তিকে সামনে রেখে নায়িকা মুখোমুখি হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমের। কথা বলেছেন সিনেমা ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে।  প্রেমের প্রসঙ্গ নিয়ে পরীমণি বললেন, কী করে যে বোঝাই, আমার আর প্রেম আসে না। ওই জোন থেকে বেরিয়ে এসেছি। সবার শুভেচ্ছা পড়তে পড়তে মনে হলো বুঝি বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও’র পুরো অংশ দিয়ে আত্মসমর্পণ করলাম। আরও একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম। তিনি আরও বলেন, ওই যে বলে না—যার বিয়ে তার খরব নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই। আমার যেন সেই দশা। আমার প্রেম নিয়ে আমার যত না মাথাব্যথা, বাকিদের যেন বেশি! আরে আমার প্রেম, নতুন প্রেম—কোথায় আমি রোমাঞ্চে ফুটব। জেগে স্বপ্ন দেখব। আনন্দে মেঘমুলকে ভাসব—তা না, তাদের দেখি কী উৎসাহ-উদ্দীপনা। আমার প্রেম হলে ওদের যে কী সমস্যা? দেখি মন-টন ভেঙে যায়। আমি কারও হব না—তাতে লোকে খুশি। একজন কারও হলেই বিশাল ব্যথা। আমি কারও নই বাবা, তোমরা খুশি থাক। নিজের প্রেম নিয়ে কোনো লুকাছাপা না করে এই নায়িকা বলেন,এত প্রেম করেছি, আমার মতো ফাটিয়ে প্রেম বোধহয় ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ করেনি। তাই আমার প্রেমের কোটা শেষ। ‘ফেলুবক্সী’তে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রসঙ্গে পরী বলেন, সত্যি বলতে কী, অভিনয় করার ভাবনা নিয়ে কলকাতায় আসিনি। মনে মনে কোনো প্রস্তুতি না থাকলে সেটি হলে বা না হলে কোনো অনুভূতি তৈরি হয় না। আমারও তাই। কারণ তখনো আমি পুরোপুরি মাতৃত্বে ডুবে। পদ্ম আরও ছোট। ওকে সামলে কী করে কাজ করব—সেটিই একমাত্র চিন্তা। ওকে ছেড়ে কাজ করার ভাবনাও নেই। কিন্তু ছবিতে আমার অভিনীত চরিত্র শোনার পর সেই আমি কিছুতেই ‘না’ বলতে পারলাম না। এদিকে ছবিটি মুক্তি উপলক্ষে পরীমণি বেশ উচ্ছ্বসিত তবে কিছুটা মনও খারাপ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেন, আগামীকাল ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ এ আমার প্রথম সিনেমা #ফেলুবক্সি রিলিজ হবে! আমার কাছে এই প্রথমটা একটু অন্যরকম স্পেশাল। কারণ, এটা আমার কলকাতার প্রথম ছবি। ছবি রিলিজ তো নিশ্চয়ই অনেক আনন্দের মুহূর্ত কিন্তু মন খারাপ হচ্ছে ভিষণ রকম। ভিসা টা হলো নাহ! খুব মিস করছি আমার ফেলুবক্সি টিমের সবাই কে। @Dev Sinha @Aditi Bose Soham Chakraborty Madhumita কান্না পাচ্ছে কিন্তু আমার।  ডানা কাটা পরী বলেই আজ উরে যেতে পারি না। যাইহোক, কলকাতা আমি যেতে পারি নি কিন্তু ফেলুবক্সির লাবণ্য কে সবাই দেখতে পাবেন আগামীকাল আপনার কাছের সিনেমা হলে। আমি আপনাদের ভালোবাসা পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। প্রিয় কলকাতা ভালোবাসা নিও।  আরটিভি/এএ-টি
পুরুষের পদোন্নতি হলে পরিশ্রমের ফল, নারীর ক্ষেত্রে শরীরের বিনিময়: স্বস্তিকা
যে কারণে আলোচনায় সৃজিত-ঋতাভরী
যে কারণে বনির সঙ্গে সিনেমা না করার সিদ্ধান্ত ঋত্বিকার
‘বাঘা যতীন’ খ্যাত নির্মাতা অরুণ রায় আর নেই
নতুন বছরের শুরুতেই ভক্তদের চমকে দিলেন দেব
পশ্চিমবঙ্গে দেবের সিনেমা মানেই হিট। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক ভিন্নমাত্রার চরিত্রে অভিনয় করে বাজিমাত করছেন এই অভিনেতা। এবার নতুন বছরের শুরুতেই ভক্তদের চমকে দিলেন দেব।     কয়েকদি আগেই মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘খাদান’। সিনেমাটি মুক্তির পরই ঝড় তুলেছে বক্সঅফিসে। সিনেমার এমন সাফল্যের মধ্যেই নতুন বছরে পা রেখে ভক্তদের সুখবর দিলেন দেব। বুধবার (১ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা। যেখানে রক্ত চক্ষু নিয়ে ‘রঘু ডাকাত’র বেশে দেখা দিয়েছেন দেব। নায়কের সেই ভয়ংকর লুক দেখে হতবাক নেটিজেনরা। ওই ছবিতে দেখা যায়, দেবের পুরো মুখ চাদরে ঢাকা। শুধু রক্ত মাখা দুই চোখ বের হয়ে আছে। কপালে তিল। আর এটিই মূলত রঘু ডাকাতের চেহারা। আর হঠাৎ এমন চেহারা দেখলে হতবাক হওয়া স্বাভাবিক। এমন চেহারাতেই ভক্তদের ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেব। ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, ‘শুভ নববর্ষ। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘খাদান’র পর আমার পরবর্তী সিনেমা নিয়ে আসছি।’ দেব পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গেই মন্তব্যের ঘরে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। কেউ নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আবার কেউ নতুন সিনেমার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা টু’ সিনেমাও দমিয়ে রাখতে পারেনি দেবের ‘খাদান’-কে। মুক্তির পর থেকেই দারুণ ব্যবসা করছে টালিউডে। সিনেমায় তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ইধিকা পাল।     আরটিভি/এইচএসকে  
৫ বছর লিভ-ইনের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা
প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কখনোই রাখঢাক ছিল না পশ্চিমবঙ্গের তারকা জুটি অঙ্কুশ হাজরা ও ঐন্দ্রিলা সেনের। দীর্ঘ ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে ভালোবাসার বাঁধনে রয়েছেন তারা। গত পাঁচ বছর ধরে লিভ-ইন করছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। তবে এই জুটির বিয়ে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই টালিপাড়ায়। কবে বিয়ে করছেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা? বহুদিন ধরেই এমন চর্চায় মেতেছেন নেটিজেনরা। এবার সব ধরনের গুঞ্জনকে পেছেনে ফেলে নতুন বছরে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন এই জুটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। ইতোমধ্যে তারা বিয়ের কেনাকাটাও শুরু করেছেন বলে জানান অভিনেত্রী। ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে ঐন্দ্রিলা লেখেন— ‘নতুন বছরে কাছের মানুষদের হাত ধরে জীবনের নতুন পথ চলার পরিকল্পনা। হ্যাঁ, জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পথ; সব থেকে লম্বা পথ।’  কিন্তু ২০২৫ সালের কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন, তা জানাননি ঐন্দ্রিলা কিংবা অঙ্কুশ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন তারা।  ঐন্দ্রিলার পোস্ট করা ভিডিও থেকে জানা যায়, তাদের বিয়ের পোশাকের দায়িত্ব নিয়েছেন পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়। তার পোশাকের দোকান থেকে নায়িকাকে নীল বেনারসি, সোনালি জরিতে বোনা শাড়ি, বিয়ের গয়না বেছে নিতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, বিয়ের দিন সনাতনী ধুতি-পাঞ্জাবিতে দেখা যাবে অঙ্কুশকে।  এদিকে বিয়ের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা-অভিষেকেরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম। তবে ফোনে সাড়া দেননি তাদের কেউই। আরটিভি/এইচএসকে  
কার সঙ্গে প্রেম করছেন ইধিকা পাল
শাকিব খানের সঙ্গে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পাল। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক সিনেমায় কাজ করে চলেছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘খাদান’। নায়িকার এই সিনেমাও ব্লকবাস্টার। এদিকে ইধিকার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এতদিন তেমন একটা কাটাছেঁড়া না হলেও জনপ্রিয়তা পেতেই তাকে নিয়েও নানান কৌতূহল তৈরি হয়েছে ভক্তমহলে। অভিনেত্রীর প্রেম নিয়ে চর্চায় মেতেছেন নেটিজেনরা।    শোনা যাচ্ছে, টালিপাড়ার খ্যাতনামা ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষের সঙ্গেই এখন বেশি সময় কাটাচ্ছেন ইধিকা। সম্প্রতি হিমাচলের ছিটকুলে একসঙ্গে বেড়াতেও গিয়েছিলেন তারা। তবে তাদের কিছু বন্ধু-বান্ধবও ছিলেন।  সেখানে দুজনের পাহাড়ের ওপর কাটানো বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিগুলো দেখে নানান গুঞ্জন শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এরপর থেকেই অধিকাংশ নেটিজেনেরই প্রশ্ন, কার সঙ্গে প্রেম করছেন ইধিকা? এর আগে তথাগত ঘোষের সঙ্গে একাধিক অভিনেত্রীর নাম জড়িয়েছে। কিছুদিন আগে অনুষা বিশ্বনাথনের সঙ্গে জড়িয়েছিল তার নাম। তারও আগে, অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারের সঙ্গেও সম্পর্কের গুঞ্জন উঠেছিল। যদিও এ বিষয়ে কখনও কথা বলেননি তারা কেউই। এবার নতুন প্রেমের গুঞ্জনে তথাগত ঘোষের সঙ্গে নাম জড়ালো ইধিকার। যদিও নিজের প্রেম নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি অভিনেত্রী।  আরটিভি/এইচএসকে/এস  
এবার কি পরিচালনায় আসছেন দেব
টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক দেব। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বহু সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি, যা এখনও চলমান। একের পর এক চরিত্রে কাজ করে নিজের ঝলক দেখাচ্ছেন এই অভিনেতা। এবার শোনা যাচ্ছে, পরিচালনায় আসছেন দেব।   নতুন বছরে ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমা দিয়ে নাকি পরিচালনায় নাম লেখাবেন অভিনেতা। যদিও এখনও বিষয়টি নিয়ে দেব নিজে কোনো কথা বলেননি। তবে এমন গুঞ্জনে ভীষণ উচ্ছ্বসিত অভিনেতার ভক্তরা। প্রিয় তারকাকে পরিচালনায় দেখতে এখন থেকেই যেন মুখিয়ে রয়েছেন তারা।   ‘খাদান’ সিনেমা দিয়ে দেবের মুকুটে যোগ হলো আরও একটি পালক। এই সিনেমার সৃজনশীল পরিচালক তিনি। গেল ২৫ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেবের প্রযোজনা সংস্থা শেয়ার করেছে অভিনেতার সৃজনশীল পরিচালনার কিছু মুহূর্ত।   যেখানে স্পষ্ট দেখা যায়, সৃজনশীল পরিচালকের ভূমিকাতেও সাবলীল দেব। ক্ল্যাপস্টিক দিয়ে শুটিংয়ের শুরু থেকে সহঅভিনেতাদের দৃশ্য বুঝিয়ে দেওয়া, প্রতিটি দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হওয়ার আগে আলোচনা— কোনো কিছুই বাদ দেননি সৃজনশীল নির্মাতা দেব। আর সৃজনশীল পরিচালক হিসাবে তিনি একশতে একশ, সে কথাই জানিয়েছেন তার সহকর্মীরাও।   অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও সামলাচ্ছেন দেব। প্রয়োজনে সেটে ট্রলি ঠেলেছেন দেব। এমনকি চেয়ার বয়ে দিয়েছেন। সৃজনশীল পরিচালকের দায়িত্ব কাঁধে তোলার পর যেন আরও পরিশ্রমী হয়ে উঠেছেন দেব।   এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক সাক্ষাৎকারে ‘খাদান’ সিনেমার নির্মাতা বলেন, প্রথম দিন থেকে দেব সিনেমার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর খুঁটিনাটি থেকে নিজের অভিনয়, প্রযোজনা— অদ্ভুত দক্ষতায় সামলেছেন তিনি।  তিনি আরও বলেন, দেব আমার কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন। পাশে ছিলেন এটাই মস্ত ভরসা। কোনো ব্যাপারে অকারণে নাক গলাননি। এটি তার অনেক বড় একটা গুণ। সেই জায়গা থেকে সিনেমা মুক্তির দিন পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় রাত জেগেছেন সুজিত। এখন কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত।  সৃজনশীল পরিচালক হিসাবে দেবের প্রথম সিনেমাই সফল। তবে কি এবার সরাসরি নির্মাণের ভূমিকায় নামবেন দেব? ‘রঘু ডাকাত’কি তিনিই পরিচালনা করবেন? প্রশ্ন শুনেই জবাবে সুজিত জানালেন, এর উত্তর সময়ের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া ভালো।   আরটিভি/এইচএসকে  
বিয়ের পরেও আমার স্বামী অনেক প্রেম করেছে: মৌসুমী
ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। বয়স প্রায় সত্তর ছুঁই ছুঁই। এই বয়সে এসেও অভিনেত্রীর রূপ যেন নজর কাড়ে সবার। শুধু তাই নয়, বয়স তার কাছে সংখ্যা মাত্র। এখনও নিয়মিতই চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনয়। বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার পুরনো এক বাড়িতে ‘আড়ি’ সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী।   জীবনে কোনো আক্ষেপ নেই মৌসুমীর। অভিনেত্রী বলেন, ‘দুঃখটা আসলে তোমার হাতে, যতক্ষণ ধরে রাখবে রাখো, হাতে ব্যথা হবে তারপর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো, আমি যেন নিজেকে আনন্দে রাখতে পারি। আমি আজ আছি, কাল নেই। নিজেরা ভালো করে কাজ করো।’  কাজের ফাঁকে এভাবেই ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের সঙ্গে নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন মৌসুমী। অন্যদিকে দুঃখকেও খুব একটা পাত্তা দেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, যদি আধ্যাত্মিক পথে থাকো, কিছু এসে-যাবে না। দুঃখকে আমি কখনো বড় করতে চাই না। নিজের আনন্দ, সুখ যদি কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারো, তাহলে সেটি করো।  জীবনে প্রেম এসেছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, আমি তো সব সময় প্রেম করি। আমার স্বামী, আমি দুজনেই খুব রোমান্টিক মানুষ। আমার স্বামী তো বিয়ের পরেও অনেক প্রেম করেছে। আমি তো প্রেম করার সময় পাইনি। তবে ফ্লার্ট করেছি প্রচুর। শাবানা আজমি তো আমাকে বলেছে, ছয় বছর হোক কি ষাট বছর, মৌসুমী সবার সঙ্গে ফ্লার্ট করে যাবে। আগের মানুষদের ব্যক্তিত্ব, শিষ্টাচার চোখে পড়লেও ভালো লাগে অভিনেত্রীর। তাদের জমানায় বিনোদ খান্না, ধর্মেন্দ্র উঠে চেয়ার এগিয়ে দিতেন। কিন্তু এখন সেটা খুব একটা চোখে পড়ের না। মৌসুমীর বলেন, এখনকার অভিনেতারা কি হিট দিয়েছে কি দেয়নি, কী হাবভাব, চকলেট খাচ্ছে আর পা দোলাচ্ছে। তাদের ঘিরে আছে আবার বাউন্সারও। আমাকেও বডিগার্ডের কথা বলা হয়েছিল। তবে আমার যা দেহ, তা রক্ষায় দেহরক্ষীর প্রয়োজন ছিল না আমার।  আজকালের রিল বা শর্টস ভিডিও তৈরিকারীদেরও ভালো লাগে না মৌসুমীর। বরং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো সহজ মানুষের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তার মতো মানুষ হয় না। ওই সাদা হাফহাতা শার্ট আর ধুতি। কেন জানি না এখনকার মানুষ এগুলো শেখে না। প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ‘বালিকা বধু’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় মৌসুমীর। এর পর থেকে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন অভিনেত্রী। যা এখনও চলমান। মৌসুমীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো, ‘অনুরাগ’, ‘হামসাকাল’, ‘বেনাম’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’, ‘পরিণীতা’সহ আরও বহু চলচ্চিত্রে দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি।    আরটিভি/এইচএসকে  
হাসপাতালে ভর্তি নির্মাতা অরুণ রায়
সংকটজনক অবস্থায় আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পশ্চিমবাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা অরুণ রায়। গত তিনদিন ধরে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছেন অরুণ রায়। তার ইমিউনিটি বেশ কম। এ কারণে সামান্য শ্বাসনালির সংক্রমণ থেকেই নিউমোনিয়া হয়ে গেছে নির্মাতার।  ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে খাদ্যনালিতে ক্যানসার ধরা পড়ে অরুণ রায়ের। একটা সময় কেমোথেরাপি চলাকালীনও শুটিংয়ের কাজ চালিয়ে গেছেন এই নির্মাতা।  জীবনের এমন কঠিন সময়েও বরাবরই পজিটিভ থাকতে দেখা গেছে অরুণ রায়কে। এমনকি কোনো সাক্ষাৎকারে ক্যানসার সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলেও, সেভাবে কখনোই জবাব দিতে চাননি তিনি। নির্মাতার মতে, যে কারও হতে পারে এই রোগ।  অরুণ রায়ের এই মনের জোর অনেকের অনুপ্রেরণা বলা চলে। ‘এগারো’, ‘চোলাই’, ‘বিনয়-বাদল-দীনেশ’, ‘হীরালাল’, ‘বাঘাযতীন’র মতো নজরকাড়া সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি। আরটিভি/এইচএসকে-টি  
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মিঠুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছে। ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশকে নিয়ে একের পর এক মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতজুড়েও এক ধরনের ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে। সেখানকার সাধারণ মানুষ তো বটেই তারকারাও বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের আবেগ-অনুভূতি দুটোই আছে। আমি মনে করি পশ্চিমবঙ্গের অনেকেরই মনে সেটা আছে। তবে সেই আবেগ-অনুভূতির জয়গা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, যেসব সর্তকবার্তা শুনছি, বাংলাদেশের নেতারা যে যা পারছে বলছে। আমি একটাই কথা বলব, ভারতকে খাটো করে দেখবেন না। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে দেখে আমাদের শিখতে হবে। বিশেষ করে বাংলাকে শিখতে হবে। এ ছাড়া সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। যদি আমরা সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কাজ না করি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, নিশ্চিত।   আরটিভি /এএ/এস