• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
পূজার্চনার মধ্য দিয়ে জন্মদিন উদযাপন শুভশ্রীকন্যার
সরকারের বিরোধিতা করায় আমাকে কাজ না দেওয়ার নির্দেশ: শ্রীলেখা
কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় রাজপথে নেমেছিলেন টালিউডের অনেক তারকাই। তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। যারা সে সময় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিলেন মমতা সরকারের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা স্পষ্ট। এ কারণে কাজের জায়গায় বিপত্তিতে পড়েছেন অনেক তারকাই। সে তালিকায় রয়েছেন শ্রীলেখাও।   এবার বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে মুখ খলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন,  প্রায়ই সিনেমা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এমনকি রিয়েলিটি শো থেকেও বাদ পড়ে যাচ্ছি। বিজ্ঞাপনী সিনেমার জন্য নির্বাচিত হয়েও শেষে আর কাজ হলো না। অভিযোগের তালিকা অনেক লম্বা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু জানিয়েছি। অনেক কিছুই আবার জানাইনি। কারণ জানিয়ে লাভ নেই, তাই। তবুও সরব আমি।  শ্রীলেখা বলেন, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে অনেকের অনেক বক্তব্য। প্রায়ই কেউ কিছু না কিছু বলছেন। আমি একটু বেশিই জোরালো প্রতিবাদ করেছি। অবশেষে তার ফলাফল পেলাম। দুইটা বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেছিলেন এজেন্সির সঙ্গে। এজেন্সির প্রতিনিধি আমাকে পছন্দ করেন। চেয়েছিলেন, কাজটা আমিই করি। কিন্তু তারও তো কোথাও বাধা রয়েছে।  আমাকে বললেন, দিদি, আরজি কর-কাণ্ডে তোমার বক্তব্য সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। তুমি তাদের বিরোধিতা করায় তোমাকে দিয়ে কাজ না করানোর নির্দেশ এসেছে। দুটো কাজ থেকেই ভালো অঙ্কের পারিশ্রমিক পেতাম আমি। আক্ষেপের সুরে অভিনেত্রী বলেন, আমি আর এ ধরনের ঘটনায় বিচলিত হই না। কখনোই মধু মাখিয়ে কথা বলতে পারি না। বাকিরা যতটা না মনের গভীর থেকে মৃত চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়েছেন, আমার চাওয়া আরও গভীরে ছিল।  তিনি আরও বলেন, আমার বক্তব্য ছিল পুলিশ, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাংলায় এই দুই পদেই মুখ্যমন্ত্রী আসীন। তাহলে কাকে বলব? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে হবে। সেটাই করেছি আমি। ভয় না পাওয়ার আরও একটা কারণ, আমার মাথার উপরে কোনো দায় নেই। ঋণের বোঝা নেই। প্রচুর চাহিদা নেই। দামি গাড়ি-বাড়ি, দামি পোশাকের বিলাসিতা নেই। ফলে, প্রচুর অর্থের প্রয়োজনও নেই। শ্রীলেখার ভাষ্য, যতটা সম্ভব সৎ থেকে কাজ করা যায় ততটাই সৎ আমি। একমাত্র দেওয়ালে পিঠ ঠেকে না গেলে মিথ্যা কথা বলি না। বললেও এমন মিথ্যে বলি না যা অপরের ক্ষতি করবে। বরাবর নিজের কাজ নিজেই জোগাড় করেছি। কোনো দিন তথাকথিত ‘সুগার ড্যাডি’ছিল না। জীবনে ভালোবাসার মানুষজনেরও বড়ই অভাব। সব মিলিয়ে নিজেই নিজের হর্তা-কর্তা-বিধাতা। ফলে, যাই ঘটুক ঠিক চালিয়ে নেব। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ আগস্ট গভীর রাতে আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক দায়িত্বরত অবস্থায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে রাজ্যব্যাপী শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়, যা এখনও চলছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে জোরালো প্রতিবাদ করেন শ্রীলেখা। মূলত সে কারণেই সরকারের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।  আরটিভি/এইচএসকে 
না জানিয়ে ছবি ব্যবহার, আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা
সংসার চালাতে ফুটপাতে খাবারের দোকান দিলেন নির্মাতা
মা হারালেন ঋতুপর্ণা
শেষ সময় বাবার পাশে থাকতে পারলাম না: রাইমা
‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা আর নেই
কিংবদন্তি নির্মাতা সত্যজিৎ রায় নির্মিত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পথের পাঁচালীতে ‘দুর্গা’ চরিত্রে অভিনয় করে সবার নজর কেড়েছিলেন উমা দাশগুপ্ত। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসার ভুগছিলেন উমা। চিকিত্‍সার জন্য পশ্চিমবঙ্গের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। তবে শেষ রক্ষা হলো না। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গণমাধ্যমে অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে দূরে থাকলেও সাদা-কালো সিনেমার দুনিয়ায় অপু-দুর্গার সেই অনবদ্য চরিত্র আজও মনে দাগ কেটে আছে দর্শকের। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। শৈশব থেকেই থিয়েটার করতেন উমা। অভিনেত্রী যে স্কুলে পড়তেন সেখানকার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল সত্যজিৎ রায়ের। আর সেই শিক্ষকের সুবাদেই তিনি আবিষ্কার করেছিলেন পথের পাঁচালীর ‘দুর্গা’ উমাকে। তবে মেয়ে চিত্রজগতে আসুক সেটা একবোরেই চাননি উমার বাবা। পরে অভিনেত্রীর পরিবারকে রাজি করানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন খোদ পরিচালক সত্যজিৎ রায়। অবশেষে পরিবারের সম্মতি নিয়েই ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গাকে নিজের মধ্যে ধারণ করে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন উমা।   আরটিভি/এইচএসকে/এসএ
এখনই সন্তান নিতে চাননি কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী
সদ্যই কন্যাসন্তানের বাবা-মা হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তারকা দম্পতি কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। মেয়ের নাম রেখেছেন ‘কৃষভি’। কিন্তু এখনই নাকি সন্তান নিতেই চাননি কাঞ্চন। এত তাড়াতাড়ি মা হতে নিষেধ করেছিলেন শ্রীময়ীকে। তবে স্বামীর কোনো বারণই শোনেননি অভিনেত্রী।  গত ২ নভেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন শ্রীময়ী। এরপর থেকেই মেয়েকে নিয়ে নানান ব্যস্ততায় দিন কাটছে তাদের। কিন্তু তৃতীয় স্ত্রী এত তাড়াতাড়ি সন্তানের মা হোক, সেটা একবারেই চাননি কাঞ্চন! সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রীময়ী।  ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, দোল পূর্ণিমার সময়ই জানতে পারি, মা হতে চলেছি আমি। কিন্তু কাঞ্চন চাননি এত অল্প বয়সে মা হই। সে আমাকে বলেছিল ২৭ বছরেই মা হবি? আর একটু সময় নে। তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমরা একসঙ্গে এত ঘুরেছি। সময় কাটিয়েছি, বাড়িতে একা থেকেছি। তাই আর সময় নষ্ট করতে চাইনি। চেয়েছিলাম যাতে এবার তিনজন একসঙ্গে সময় কাটাতে পারি। ফলে স্বামী নিষেধ করলেও মা হওয়ার সিদ্ধান্তটা আমিই নিয়েছি। শ্রীময়ীর ভাষ্য, বর্তমানে মেয়েকে নিয়ে রাতে জেগে থাকতে হচ্ছে তাকে। যদিও এতে কোনো কষ্ট নেই তার। তিনি কখনও ক্লান্ত হলে মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে থাকেন বাবা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ছোট্ট কৃষভিকে ঘিরে মল্লিক বাড়ির আনন্দের সীমা নেই এখন।   মেয়ে দেখতে পুরো বাবার মতোই হয়েছে উল্লেখ করে অভিনেত্রী জানান, গায়ের রং গোলাপি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে করেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। এরপর গেল ২ মার্চ সামাজিক রীতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।  আরটিভি/এইচএসকে/এসএ  
শুটিংয়ে আহত অভিনেত্রী, এরপর যা ঘটল
শুটিং সেটে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী লহমা ভট্টাচার্য। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার খবরটি অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই নিজের পরিস্থিতির ভক্তদের কাছে তুলে ধরেন লহমা।  সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসপাতালের একটি ছবি শেয়ার করেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘শুটিংয়ের দিনটা অন্যভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটল অন্যরকম। দুর্ঘটনা তো ঘটতেই পারে। অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে আমাকে শক্ত থাকতে হবে।’ ওই ছবিতে দেখা যায়, স্যালাইন চলছে লহমার শরীরে।  দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, শুটিং ফ্লোরে নাচার সময় আমার ডান পায়ের আঙুলে চাপ পড়ে নখ ভেঙে মাংসের মধ্যে ঢুকে যায়। এরপর দ্রুত হাসপাতালে চলে যাই। পরে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। তবে এখন আগের চেয়ে একটু ভালো আছেন বলে জানান লহমা। গেল বৃহস্পতিবারই তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা। জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর ‘চালচিত্র’ সিনেমার একটি বিশেষ গানের শুটিং করছিলেন পরিচালক প্রতিম ডি’গুপ্ত। এই গানে ছিলেন সিনেমার দুই অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী এবং শান্তনু মহেশ্বরী। গানটিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লহমা। প্রসঙ্গত, জিতের ‘রাবণ’ সিনেমা থেকে টালিউডে পা রাখেন লহমা। এরপর পরমব্রত ও আবিরের সঙ্গে ‘বিয়ে বিভ্রাট’ সিনেমায় তাকে দেখা গেছে। প্রথম সিনেমাতেই টালিউডে সবার নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। আরটিভি/এইচএসকে/এসএ  
সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য, নায়ক মিঠুনের বিরুদ্ধে মামলা
সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় টলিউড ও বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) কলকাতার বউবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মিঠুনের বিরুদ্ধে। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপির একটি সভায় মিঠুনের উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদিও নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযোগকারীর নাম গোপন রাখা হয়েছে। মিঠুনের মন্তব্যের জেরেই ওই এফআইআর দায়ের হয়েছে। সিনেমার পর্দায় মিঠুনের মারকাটারি সংলাপ দশকের পর দশক দর্শকদের বিনোদন দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবজীবনেও সেই ধরনের সংলাপসংবলিত রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন ফাটাকেষ্ট। বিজেপির সেই সভায় মিঠুন বলেছিলেন, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সামনেই বলছি, যা করতে হয় সব করব। এসব কিছুর মধ্যে অনেক অর্থ লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের এখানকার এক নেতা বলেন, ৭০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ হিন্দু। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। ভাবলাম, মুখ্যমন্ত্রী তাকে কিছু বলবেন। এমন কথা না বলতে বলবেন। কিছু হলো না। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই। কিন্তু বলে রাখছি— ভাগীরথী নদী আমাদের মা। তাই ভাগীরথীতে কেটে ভাসিয়ে দেব না। কিন্তু তোমার মাটিতেই তোমাকে পুঁতে দেব! এ অভিনেতা আরও বলেছিলেন, বারবার বলছি, যা করতে হয় সব করব। এমন সদস্য চাই, যারা বুক চিতিয়ে বলবেন, মার! কত গুলি আছে দেখি! এমন কর্মী চাই না, যারা টাকা নিয়ে কাজ করেন। এমন করলে আপনারা তৃণমূলে চলে যান।  তিনি বলেন, আমি বলে যাচ্ছি, আপনারা আমাদের বাগানের একটা ফল যদি ছেড়েন, আমরা চারটে ছিড়ব। এটা সত্যি। নইলে জিততে পারব না। ভোটারদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিমসংক্রান্ত মন্তব্য করে মিঠুন আরও বলেন, এটা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে না। ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সি মিঠুন বলছে। রাজনীতি করেছি। রক্তের রাজনীতি করেছি। সব জানি, কে কোথা থেকে কী করবে। আপনাদের পাশে চাই। সাহস চাই। বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আরটিভি/এএ/এসএ
বাচ্চা ও নারীদের সঙ্গে যে অন্যায় চলেছে তার দায় পুলিশ-মন্ত্রীকে নিতে হবে’
টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে ঠোঁটকাটা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার। অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করতে পিছপা হন না। এমনকি কাউকেই ছেড়ে কথা বলেন না এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের মাধ্যমে শাসক দলের উদ্দেশ্যে তীব্র সমালোচনা করেছেন। একটি পোস্টে শ্রীলেখা লিখেন, সমাজ বদলের জন্য চাটুন ও চাটান… কালীঘাটের হাওয়াই চটি…Tring Tring tri tring। শ্রীলেখার এই পোস্টে একটি ইঙ্গিত রয়েছে, যা অনেকেই মনে করছেন, তা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও টালিউডের কিছু চরিত্রের প্রতি নির্দেশিত। তবে স্পষ্ট নয়, তিনি আসলে কাদের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বরাবরই সমাজের বিভিন্ন অবিচারের বিরুদ্ধে সরব থেকেছেন। এমনকি আরজি করকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে তিনি প্রথম সারিতে ছিলেন। সোমবার (৪ নভেম্বর)  রাসবিহারিতে হওয়া একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও উপস্থিত ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, গতকাল অভয়া মঞ্চ থেকে… আমরা ভুলিনি ভুলতে দেব না। আরজি করকাণ্ড টু ফালাকাঁটা… বিচার ছিনিয়ে নেওয়ার সময় আসছে। মনে রাখবেন— এ রাজ্য কারোর বাবার নয়, কোনো রানি ও যুবরাজ নেই এখানে। এ রাজ্য আমার আপনার সবার...। শ্রীলেখা আরও লিখেন, রাজ্যে বাচ্চা ও নারীদের সঙ্গে নিরন্তর যে অন্যায় হতেই চলেছে, তার দায় পুলিশ-মন্ত্রীকে নিতেই হবে। জগাখিচুড়ি আর বানাতে দেওয়া যাবে না। বানালে ছাড়ব না। এসব মন্তব্যে তার প্রতিজ্ঞা এবং দৃঢ়তার পরিচয় মিলছে। তবে সরাসরি শাসক দলের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তিনি বেশ কিছু মিমের শিকার হয়েছেন। শাসক দল সমর্থিত ফেসবুক পেজ থেকে শ্রীলেখার বিরুদ্ধে বানানো মিম শেয়ার করা হয়েছে, যা সমাজে তার জনপ্রিয়তা ও পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব কিছুতেই শ্রীলেখার মুখ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। আরটিভি /এএ/এআর
ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে যা বললেন মীর
হোয়াইট হাউজ ছাড়ার চার বছর পর আবারও সেই কার্যালয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোটি কোটি আমেরিকান ভোট দিয়ে দ্বিতীয় দফায় তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছেন।  ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনি প্রচারণার পর্বকে ইতিহাসের অংশ বললে কম বলা হবে না। প্রচারণার সময় ট্রাম্পকে দুই দফা হত্যা চেষ্টা হয়, তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন নির্বাচনের কয়েক মাস আগে নাম সরিয়ে নেন। এদিকে, আমেরিকার নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে কম আলোচনা-সমালোচনা হলো না। এবারে ট্রাম্পের জয়ে বেশ মেতে উঠতে দেখা গেছে ভারতের বিভিন্ন অঙ্গনে। শোবিজ অঙ্গন থেকেও গেছে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের জন্য শুভবার্তা। অভিনন্দন জানিয়েছেন ওপার বাংলার অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী মীর আফসার আলী। তবে কিছুটা রসিকতাও করেছেন। এর নেপথ্যে ছিল এক বিশেষ কারণ। ২০২০ এ ইলেকশনের আগে ভারত সফর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন তার আপ্যায়নে কোনও কমতি রাখেনি মোদি সরকার। সেই সফরে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাই স্মৃতিচারণ করলেন মীর। ঘটনাটি ছিল, ট্রাম্পকে তখন বিশেষভাবে সংবর্ধনা দেয় ভারত। এরপর ভারতবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন ট্রাম্প। তখনই স্বামী বিবেকানন্দের নাম উচ্চারণ করতে যেয়ে জিভ ফসকে বলে ফেলেন ‘বিবেকামুন্নন’। এ নিয়ে হাসাহাসিও হয়েছিল যথেষ্ট। সেই স্মৃতিই উসকে দিলেন মীর। ফের ভারতে নামের ভুল উচ্চারণ করলে রাগ করবেন বলেও খোঁচা দেন তিনি। রসিকতা করে লেখেন, জিতেছেন ভালো কথা। কিন্তু ফের ভারতে এসে বিবেকামুন্নন বললে রাগ করব। মীরের এই পোস্টে হাসির রোল পড়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। তবে শুধু স্বামী বিবেকানন্দের নাম নয়। বেদ ও সচিন টেন্ডুলকারের নামও ভুল উচ্চারণ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরটিভি /এএ 
মেয়ের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী
সদ্যই কন্যাসন্তানের বাবা-মা হয়েছেন টালিউডের তারকা দম্পতি কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। তাদের মেয়েকে দেখতে উদ্গ্রীব ভক্তরা। সন্তান জন্মের পর নিজেদের ছবি প্রকাশ্যে আনলেও মেয়েকে আড়ালেই রেখেছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।  এবার সদ্যোজাত কন্যার ছবি এক ঝলক প্রকাশ্যে এনেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। ইনস্টাগ্রামে মেয়ের একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। তা দেখেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। ওই ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কন্যার ছোট্ট ছোট্ট আঙুল ধরে রয়েছেন শ্রীময়ী। সাধারণত তারকারা তাদের সন্তানের মুখ দেখানোর আগে হাত-পায়ের ছবি দিয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর অস্ত্রোপচার করে সন্তানের জন্ম দেন শ্রীময়ী। মেয়ের জন্মের পরই কাঞ্চন জানিয়েছিলেন— বাড়িতে লক্ষ্মী এসেছে। তারা কন্যার নাম রেখেছেন ‘কৃষভি’। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটি আমরা আগে থেকে কাউকে জানাইনি। সন্তানসম্ভাবা হলে বাঙালি পরিবারের একটা বিষয় থাকে যে, কাউকে বলতে নেই ইত্যাদি। মূলত, এ কারণেই চুপ ছিলাম আমরা।  প্রসঙ্গত, প্রথমে অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন কাঞ্চন। ২০১০ সালে ভেঙে যায় তাদের সংসার। এরপর পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন তিনি। এ সংসারে ওশ নামে এক ছেলে রয়েছে কাঞ্চনের। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে শ্রীময়ীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেতা।  আরটিভি/এইচএসকে-টি