• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
সেলিম আল দীন স্মরণে নানা আয়োজন
মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে নাটক ‘ঈশ্বর তুমি কোথায়’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে থিয়েটার চারণিকের পঞ্চম প্রযোজনা নাটক ‘ঈশ্বর তুমি কোথায়’। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) নাটকটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সেলিম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ। জুয়েল কবিরের রচনা ও নির্দেশনায় নাটকটি বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টায় ও শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) বিকেল ৫টায় ও সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হবে। নাট্যকার জুয়েল কবিরের রচনা ও নির্দেশনায় পৃথক প্রযোজনায় নাটকটিতে একক অভিনয় করবেন সাফিয়া খন্দকার রেখা এবং পলি পারভিন।   আরটিভি/এএ-টি   
শিল্পকলার লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাত মিলনায়তনের নাম পরিবর্তন, যা বলছেন নাট্যজনরা
বদলে যাচ্ছে শিল্পকলার সাত মিলনায়তনের নাম
৬৯ লাখ টাকার স্বর্ণ নিয়ে বিমানবন্দরে আটক অভিনেত্রী
জমি পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস স্যারকেও বাবা ডাকতে রাজি আছি: জয়
মা সবসময় সন্তানের আবদার পূরণ করে থাকেন। কখনও সন্তানকে ফিরিয়ে দেন না। এ জন্যই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার কাছে নিজেকে সুযোগ্য সন্তান দাবি করে আবদার করেছিলেন আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। শেখ হাসিনার কাছে রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে একটি প্লটের আবেদন করেছিলেন অভিনেতা জয়। সেই আবেদনপত্রের একটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যা এর আগেও কয়েক দফায় ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে জায়গা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেতা, যা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ভাইরাল হয়।  সাম্প্রতিক রাজনৈতিক  প্রেক্ষাপট বদলের পর সেই আবেদনপত্রটি ফের ভাইরাল হয়। এদিকে দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক স্যাটায়ার বানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা ও অন্তবর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি গল্পে ‘৮৪০’ ওয়েব সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। এর আগেই বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘৮৪০’-এর বিশেষ প্রিমিয়ার শো।  ‘৮৪০’ শিরোনামের ওয়েব সিনেমাটিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। সিনেমটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমি চাওয়া প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে  শাহরিয়ার নাজিম জয় বলেন, আমার জমির প্রয়োজন আছে। তাই ড. ইউনূস স্যারকে বাবা ডাকতে হলেও ডাকবো। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মা বলে জমি চাওয়াতে আমি মোটেও অনুতপ্ত না। একটা জিনিস পাওয়ার জন্য বাবা, দাদা, মা ডাকা যায়। আর আমি আমার কাজের জন্য ভবিষ্যতেও ডাকবো। তবে হ্যাঁ আমি তখনও বলেছি বিগত সরকার যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল আর তাদের পতনের জন্য যত লোক প্রাণ দিয়েছে তা অনেক সেন্সেটিভ ইস্যু হয়ে গিয়েছে। আর ওই সকাররের প্রধানকে আমি মা বলেছি সেটার জন্য আমি অনুতপ্ত।  আরটিভি /এএ/এআর   
জাপান গার্ডেন সিটির মৃত কুকুরদের জন্য মঞ্চ নাটকে নওশাবা
দেশের নানান ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। শুধু তাই নয়, পশু-প্রাণীদের প্রতি বরাবরই সহানুভূতিশীল তিনি। এমনকি যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময়ই প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে পশু-প্রাণীদের প্রতি করা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত আওয়াজ তোলেন নওশাবা।  কয়েকদিন আগেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে কুকুর হত্যা করার ঘটনায় সোচ্চার ছিলেন অভিনেত্রী। এবার সেই মৃত কুকুরদের জন্য মঞ্চ নাটকে দেখা যাবে নওশাবাকে।   শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ ও মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এই প্রাণীর কথা নিয়ে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে নাটক। সেখানেও নিজেকে শামিল করেছেন নওশাবা। নাটকটির নাম ‘কণ্ঠনালিতে সূর্য’।  নাটকের দল তীরন্দাজ এবং নওশাবার সংগঠন টুগেদার উই ক্যান মিলে মঞ্চে আনছে নাটকটি। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়ন হবে নাটকটি।  এ প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, আমি খুব অল্প সময়ের নোটিশে এই কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। সাধারণত আমি এত অল্প সময়ে কোনো কাজ করি না। কিন্তু কাজটিতে যেহেতু আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুদের (কুকুর) কথা রয়েছে, তাই আমি রাজি হয়েছি। কারণ, এখন সময় এগুলো নিয়ে কথা বলার। নাটকে আমরা একটা সাইলেন্ট পাপেট শো করব। অভিনেত্রী আরও বলেন, রাস্তায় থাকা আমাদের বিশ্বস্ত এই বন্ধুদের নিয়ে আরো বেশি সচেতনতা বাড়ানো দরকার। এই পৃথিবী শুধু মানুষের না। আরও অনেক রকম প্রাণীর বাস এখানে। তাদের থাকার, বসবাসের উপযোগী পরিবেশ এই মানুষকেই করতে হবে।    প্রসঙ্গত, গত ২২ নভেম্বর রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে এসব প্রাণীদের প্রতি একরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুকুরের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ এনে পোস্ট করেছেন অনেকে। এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই জাপান গার্ডেন সিটিবাসীর পক্ষ থেকে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এবার সেটাই ঘটানো হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় সকল প্রাণীহত্যার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন প্রাণীপ্রেমীরা। আরটিভি/এইচএসকে/এস  
যে কারণে মামুনুর রশীদকে শিল্পকলায় অভিনয় করতে নিষেধ করা হয়
শিল্পকলা একাডেমিতে দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’র প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকেই অস্থিরতা বিরাজ করছে নাটকপাড়ায়। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে শিল্পকলার মঞ্চে অভিনয় থেকে নাট্যজন মামুনুর রশীদকে সাময়িক দূরে থাকার অনুরোধ করেছেন একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। এমন অনুরোধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একুশে পদকজয়ী এই অভিনেতা। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মামুনুর রশীদ। অভিনেতার দাবি, শিল্পকলা একাডেমির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কথা শুনে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ। তিনি সে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তারা যেটা বলছেন সেটা শুনেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। গণমাধ্যমকে মামুনুর রশীদ বলেন, আমাকে বিপ্লববিরোধী আখ্যা দিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’—এই স্লোগান দেওয়া উচিত হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছিলাম। এই বিবৃতি কোনো বিপ্লববিরোধী বিবৃতি ছিল না। অভিনেতা আরও বলেন, পরবর্তীতে নিজেও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি। যখন ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে তখন রাজপথে অবস্থান নিয়েছি। ছাত্র হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি। অন্যায়ের প্রতিবাদে আওয়াজ তুলেছি। তাহলে আমার অপরাধ কোথায়? অথচ, সেই বিবৃতিকে কেন্দ্র করে আমাকে শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত আরোপ করা হয়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন একাডেমির মহাপরিচালক। তিনি বলেন, আমি মামুনুর রশীদকে নিজে ফোন করে তাদের রাঢ়াঙ নাটকের শো করতে বলেছিলাম। এই নাটকটি করা দরকার। এই নাটকে উনি ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। তাঁকে অনুরোধ করেছি, সেই চরিত্র যদি অন্য কাউকে দিয়ে করানো যায়। কারণ, আপনি যেহেতু আন্দোলনের সময় রাজাকার নিয়ে কিছু বলেছিলেন, এটা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ, কষ্ট আছে। আপনি গেলে মানুষের সেই কষ্টটা বাড়বে। সেই জন্য আপনি ছাড়া যদি নাটকটির প্রদর্শনী সম্ভব হয়, এটা আপনি দেখেন। আরটিভি /এএ 
আসছে ফারুক আহমেদের গল্পগ্রন্থ ‘আমার না বলা কথা’
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নাটক-সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকমহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি লেখালেখিও করছেন তিনি। বলছি অভিনেতা ফারুক আহমেদের কথা। আসছে বই মেলায় এই অভিনেতার নতুন বই আসছে। জানা গেছে, ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৫’ উপলক্ষে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ফারুকের গল্পগ্রন্থ ‘আমার না বলা কথা’। মেলায় বইটি প্রকাশ করছে প্রকাশনা সংস্থা কিংবদন্তি পাবলিকেশন। প্রচ্ছদ করেছেন চিত্রশিল্পী আইয়ুব আল আমিন। নতুন গল্পগ্রন্থ সম্পর্কে ফারুক বলেন, ২০২৫ সালে একুশের বইমেলায় আমার একটি বই প্রকাশের ইচ্ছা আছে। বইটি প্রকাশ করবে কিংবদন্তি পাবলিকেশন। বইটির নাম ঠিক করেছি ‘আমার না বলা কথা’। গেল বছরের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল তার দুটি বই। একটির নাম ‘স্মৃতিতে হুমায়ূন আহমেদ’। প্রকাশ করেছিল কিংবদন্তি পাবলিকেশন। অপরটির নাম ‘ভাঙা চশমা’ প্রকাশ করেছিল সপ্তর্ষী প্রকাশনী। প্রকাশক অঞ্জন হাসান পবন বলেন, কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের কাছের মানুষ ছিলেন অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে সবার মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। আরটিভি /এইচএসকে-টি
শিল্পকলায় প্রতিবাদ সভায় হামলা / প্রধান উপদেষ্টার কাছে সমাধান চাইলেন নাট্যকর্মীরা
শিল্পকলা একাডেমির সামনে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিবাদ সভায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলার প্রতিবাদে নাট্য সংগঠনটি আজ এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত নাট্যকর্মীরা হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিয়ে শিল্পচর্চার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বক্তারা নাটকের মানুষ এমন কি করেছে, দুষ্কৃতিকারীরা কারা, তাদের অভিযোগটা কী, সংস্কৃতিকর্মীরা কী আওয়ামী লীগের দোসর, এদেশে নিরাপদে শিল্প সংস্কৃতি চর্চা করতে পারব কিনাসহ অসংখ্য প্রশ্ন তোলেন। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি। তাই অভিনয়ের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না হওয়া পর্যন্ত তারা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপর জানানো হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিয়ে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে নাট্য সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজিদ, দেশ নাটকের দলপ্রধান নাট্যকার মাসুম রেজা, অধ্যাপক মলয় ভৌমিকসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চনাটক ‘নিত্যপূরাণ’ এর প্রদর্শনী ছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তদের তোপের মুখে পড়ে সেই প্রদর্শনী মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির সামনে সমাবেশের ডাক দেয় বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। সেখানে নাট্যকার, নির্দেশক, সংগঠক ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ বক্তব্য রাখছিলেন। এর এক পর্যায়ে ‘ধর, ধর’  চিৎকারে চারদিকে শোরগোল শুরু হয়। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভবনের দিক থেকে ডিম ছুড়ে মারা হয়। এরপর ‘সাধারণ জনতা’ দাবি করা কয়েকজন লোক স্লোগান দিয়ে বলতে থাকেন, ‘নিত্যপূরাণ’ নাটক আর তারা প্রদর্শনী হতে দেবেন না।  এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নাট্যকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। পরে তারা পালিয়ে যান। হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মামুনুর রশীদ বলেন, সভা শেষ করব না। ভেতরে নাটক হবে, বাইরে আমরা পাহারা দেব।  গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অনন্ত হীরা বলেন, সমাবেশের শেষভাগে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এই কাজটি করেছে। এর প্রতিবাদে সারাদেশে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি করব।   আরটিভি/আইএম/এসএ
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিবাদ সভায় হামলা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
শিল্পকলা একাডেমির সামনে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রতিবাদ সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সভা চলাকালে হঠাৎ কতিপয় দুর্বৃত্ত এই হামলা চালায়। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন নাট্যকর্মী। জানা গেছে, শুক্রবার  (৮ নভেম্বর) বিকাল ৪টার পর সমাবেশে নাট্যকার, নির্দেশক, সংগঠক মামুনুর রশীদের বক্তব্যের সময় ডিম ছুড়ে মারে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এ সময় নাট্যকর্মীরা ধাওয়া দিলে আক্রমণকারীরা পালিয়ে যান। পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাট্যকর্মীরা। ঘটনার পর সমাবেশ মঞ্চ থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। তিনি বলেন, আমরা সাত দিন সকল সাংস্কৃতিক আয়োজনে কালো ব্যাজ ধারণ করব এবং আগামী ১৫ নভেম্বর সারাদেশের নাট্যকর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করব। হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অনন্ত হীরা বলেন, আমর সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি করব। আমাদের সমাবেশ শেষভাগে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এই কাজটি করেছে। তারা পালিয়ে গেছে।  এদিকে, শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন। আরটিভি /এএ/এআর   
শিল্পকলায় নাটক বন্ধ নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় বিক্ষোভের মুখে শনিবার (২ নভেম্বর) বন্ধ হয়ে যায় দেশনাটক দলের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী। এদিন নাট্যদলটির প্রদর্শনী চলার সময়ে দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাটক বন্ধের নির্দেশ দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। এদিকে নাটক বন্ধ হওয়া নিয়ে  চলছে  আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং থেকে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (৪ নভেম্বর) প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘দেশ নাটক’ প্রযোজিত নাটক ‘নিত্যপুরাণ’ মঞ্চায়নের সময় এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীদের নির্বৃত্ত করার লক্ষ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিত, সে প্রক্রিয়ায় না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য শিল্পকলা একাডেমি একাধিকবার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা ক্ষান্ত হয়নি। বরং তাদের সংখ্যা বেড়ে গেলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার উপক্রম হয়। তখন অভিনয়শিল্পী ও দর্শকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘দেশ’ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে দর্শকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে প্রদর্শনী বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, কিন্তু গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ‘শিল্পকলায় নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের ঘটনা সমর্থন করে না সরকার’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মূল বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে এটি জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি বিক্ষুব্ধকারীদের নাটক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাকে অর্থাৎ শিল্পচর্চার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সরকার সমর্থন করে না মর্মে বুঝিয়েছেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তাছাড়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সর্বাবস্থায় জনগণের, শিল্পচর্চার ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বাস করে। এ জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রেস উইং থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চায় না শিল্পকলার কণ্ঠ কেউ রোধ করুক। কেননা, বাংলাদেশের হাজার বছরের নাটকের ইতিহাস আছে। নাটকের মাধ্যমেই সমাজের ত্রুটি বিচ্যুতি ও বিকল্প ধারণা তুলে ধরা সম্ভব। তাই যারা নাটক করতে চায় তাদের নাটক করতে দিতে হবে। নাটক দেখেই দর্শক বিবেচনা করবে তাদের নাটক তারা গ্রহণ করবে কি না। বাংলাদেশে সকল দলের নাটক করার বিষয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি মনে করে, জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির কারণে নাটকের দল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে প্রচেষ্টা সাংস্কৃতিক সংগঠন বা নাটকের দলের থাকা উচিত। কোনো দলের ভেতরে বিতর্কিত কেউ যদি থাকে, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অস্বীকার করে এবং স্বৈরাচারীর দোসর হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কার্যক্রমকে এখনও সমর্থন করে তাহলে দলের পক্ষ থেকেই তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এসব গণহত্যার দোসর বা সমর্থনকারীদের তিরস্কার করে, নিন্দা জানায়। সুস্থ, উৎসবমুখর, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনবান্ধব শিল্পচর্চায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পাশে থেকে দেশের শিল্প সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখতে দেশের সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবীসহ দেশের জনসাধারণ এগিয়ে আসবে এটাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রত্যাশা। আরটিভি/এএ-টি