• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নতুন সিনেমায় বুবলী
তারকাদের গোপনে বিয়ে করানো প্রসঙ্গে যা বললেন তুষার খান
টিভি নাটকের জনপ্রিয় মুখ তুষার খান। চার দশকের বেশি সময় ধরে যেমন মঞ্চ, তেমনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয় তিনি। সালমান শাহ অভিনীত ‘বিক্ষোভ’ সিনেমাসহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে বেশ আলোচনায় আসেন এই অভিনেতা। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন। বলছি দর্শকপ্রিয় অভিনেতা তুষার খানের কথা। অভিনেতার পাশাপাশি তুষার খানের আরও একটি পরিচয় আছে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে হাজির হয়েছিলেন তিনি, বলেছেন অনেক কিছু। প্রশ্ন করা হয়, শুনেছি আপনি টেলিভিশনের অনেককে বিয়ে করিয়েছেন। সেই গল্পটা জানতে চাই। কাকে কাকে বিয়ে করিয়েছেন—উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে তুষার খান বলেন, বৃন্দাবন-খুশি, আ খ ম হাসান, জয়রাজ, শামীম জামান, ফিল্মের একজন প্রডিউসার আছেন, উনি আমার কাজিন হন। বাইরে আরও বেশ কিছু এবং এটার অনেক মজার মজার ঘটনা আছে। এ নিয়ে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তুষার খানের ভাষ্য, ‘না। একদিন হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১২টা দিকে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেলাম। দেখলাম হাসান। বলল ভাই, মেয়ে তো পালিয়ে আসছে। তখন বললাম, ও পালিয়ে আসছে, নাকি তুই নিয়ে আসছস। রাত ১২টার সময় লালমাটিয়া কাজি অফিসের কাজি সাহেবকে ডেকে এনে বিয়ে দেওয়ালাম। তুষার খান আরও বলেন, শামীমের তো আরেক রকমের মজা। ওর আক্‌দ হওয়ার কথা। মেয়ে তুলে নিয়ে আসার কথা। তখন শামীমের শাশুড়ির সঙ্গে এত মজার মজার কথা হলো। বললাম খালা, মেয়েকে নিয়ে গেলাম। বলল, নাও। এমনকি শামীমের বউকে আমি নিয়ে এসেছিলাম। সেদিন ওর বউয়ের আসার কথা নয়। আরও অনেক মজার মজার কথা। সব কথা তো বলা যায় না। প্রসঙ্গত, ১৯৮২ সালে আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন তুষার। চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘আজকের প্রতিবাদ’ চলচ্চিত্র দিয়ে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু হয় তার। মুহম্মদ হান্নানের পরিচালনায় সালমান শাহের সঙ্গে ‘বিক্ষোভ’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিত পান তুষার।
জায়েদ খানকে নিয়ে যা জানালেন ডিপজল
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন জয়া
যে কারণে মেহজাবীন-সিয়ামের পাল্টাপাল্টি পোস্ট
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান, শাকিবের ‘তুফান’-এ চঞ্চল
গত বছরের শেষের দিকে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেওয়া হয় বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’-এর। অভিনেতা শাকিব খান ও নির্মাতা রায়হান রাফি জুটির এই সিনেমা আসন্ন ঈদে মুক্তির প্রস্তুতি চলছে। মাঝে ঘোষণা দেওয়া হয়, এ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে আছেন কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা। এরপর ছবিটির ভিলেন কে হচ্ছে তা নিয়ে চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। এবার তুফান সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।  সিনেমায় কাজ করার বিষয়টি  নিশ্চিত করে চঞ্চল বলেন, তুফান সিনেমায় আমাকে বিশেষ একটা চরিত্রে দেখা যাবে। রায়হান রাফি এই সময়ের প্রতিভাবান একজন পরিচালক। এছাড়া  শাকিবের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা একদম অন্যরকম। তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। আর এতো বড় তিনটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে অবশ্যই ভালো কিছুই হবে। পরিচালক রায়হান রাফির এখন সময় যাচ্ছে সিনেমার শুটিং-এর শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে। রাফি বলেন, চঞ্চল ভাই আমাদের দেশের শক্তিমান অভিনেতা। তুফান-এ শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাকে পাওয়াটা আমার জন্য আনন্দের। এসভিএফ-এর ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এর আগে ওটিটি কনটেন্টে কাজ হয়েছে। অনেকদিন ধরে তাকে নিয়ে বড় পর্দায় কাজ করার পরিকল্পনা ছিল। আমি নিশ্চিত তিনি তুফান-কে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবে ‘তুফান’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ বাংলাদেশ, আলফা আই ও চরকি। এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘তুফান’ এর আগে আরেকটি বড় সিনেমার ঘোষণা দেয়। সিনেমাটির নাম ‘দম’। আর পরিচালনা করবেন রেদওয়ান রনি। ‘দম’ সিনেমার মূল ভূমিকায় দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।
মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অভিনেতা রুমি
বরগুনায় মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হক রুমি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।     সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রুমির মরদেহ বরগুনা পৌরসভার পিটিআই সড়কে ভাইরের বাসায় পৌঁছায়। প্রিয় অভিনয় শিল্পীকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন তার স্বজনরা। পরে পৌনে ছয়টায় বরগুনার শহীদ আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে বরগুনা পৌর গণকবরে তার মায়ের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় তার সহকর্মী রাশেদ সিমান্ত, শফিক খান নীলুসহ তার সহকর্মী শিল্পীবৃন্দ, আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ভোর ৩টা ৫৮ মিনিটে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর সকাল ৯টায় রাজধানী শহীদবাগ জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন করে মরদেহ বরগুনা পৌর শহরের পিটিআই সড়কে ছোট ভাই জিয়াউল হক জুয়েলের বাড়িতে আনা হয়।  বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমি মেজো। ভাইদের মধ্যে তিনি বড়। রুমির দুই সন্তান। মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা স্বামী সন্তান নিয়ে থাকেন কানাডায়। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেছেন। অভিনয়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করেছেন রুমি। দীর্ঘ এ পথচলায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। ১৯৮৮ সালে রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় অলিউল হক রুমির। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো, ‘ঢাকা টু বরিশাল’, ‘আমেরিকান সাহেব’, ‘জার্নি বাই বাস’, ‘বাকির নাম ফাঁকি’, ‘যমজ সিরিজ’, ‘কমেডি ৪২০’, ‘চৈতা পাগল’, ‘জীবনের অলিগলি’, ‘মেঘে ঢাকা শহর’ ইত্যাদি। রুমির মৃত্যুতে শোবিজ পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 
সিয়াম-মেহজাবীনের বিস্ফোরক পোস্ট ঘিরে রহস্য
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়ক সিয়াম  আহমেদ। বড় পর্দায় কাজের  আগে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দা ও বিজ্ঞাপনচিত্রেও। অপর দিকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ মেহজাবীন চৌধুরী। এই দুই জনপ্রিয় তারকা আবার বেশ ভালো বন্ধুও। নাটক থেকে শুরু করে একসঙ্গে কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনেও। এবারের ঈদ উৎসবে বিখ্যাত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতেও পারফর্ম করেছেন তারা। কিন্তু হুট করেই অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজন দুজনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। দুজনের পোস্টে নেট দুনিয়া ভাইরাল। হঠাৎ কী হলো দুজনের মধ্যে? এই প্রশ্ন অল্পসময়েই তৈরি হয়েছে দর্শক ভক্তদের মনে। তারা দুজনেই ফেসবুকে লিখেছেন কেউ কারও সঙ্গে নেই। একজন থাকলে অন্যজন সেখানে পা মাড়াবেন না। মেহজাবীন তার ফেসবুকে লিখেছেন, সিয়াম আহমেদ যেখানে থাকবে, প্লিজ আমাকে সেখানে ডাকবেন না।   এদিকে মেহজাবীনের কিছুক্ষণ পরই সিয়াম তার ফেসবুকে লিখেছেন, মেহজাবীন-ও যেখানে থাকবে, আমার সেখানে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই। তাদের পোস্টের পর অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। এটা সত্য নাকি কোনো ইভেন্ট কিংবা নাটকের প্রচার কিনা তা নিয়ে ঘোরের মধ্যেও রয়েছে নেটিজেনরা। 
শাবনূরকে চিনতে না পেরে আটকে দিল পুলিশ
ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়িকা শাবনূর। দুই যুগের বর্ণিল ক্যারিয়ার তার। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বড় পর্দায় অনুপস্থিত তিনি। সম্প্রতি একটি সিনেমা করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন এই নায়িকা। এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। প্রবীণ-তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পদচারণে মুখর এফডিসি প্রাঙ্গণ। এর মধ্যেই দেশে ফিরেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। এদিন চিত্রনায়িকা শাবনূরকে দেখে চিনতে পারেননি রাজধানীর বিএফডিসির সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা। শুক্রবার দুপুরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে এলে এফডিসির মূল ফটকের সামনে তার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।  এসময় সংশ্লিষ্ট ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‌আপনি কী ভোটার? তা শুনে শাবনূর বলেন, আমি শাবনূর, আমি শাবনূর। তখন ফটকের সামনে ভিড় করা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের বলতে শোনা যায়, উনি নায়িকা শাবনূর। ওনাকে ছেড়ে দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে হঠাৎ লাইভে এসে ভক্ত-অনুরাগীদের চমকে দিয়েছেন নায়িকা। লাইভটি তিনি করেছেন শাবনূরের প্রাণের এফডিসি থেকেই। গাড়িতে বসা অবস্থাতেই শাবনূর বলেছেন, হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি এসেছি, জানো তো, আমাদের সমিতিতে। আমাদের মিলনমেলা। ভীষণ ভালো লাগছে সবাইকে দেখে। এ সময় শাবনূরের মেকআপম্যানের এফডিসিতে প্রবেশ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। অনুমতি ছাড়া মেকআপম্যানদের প্রবেশ নিষেধ। পাশাপাশি শাবনূরের গাড়িও ঘিরে ধরেন উৎসুক জনতা। অভিনেত্রী বলেন, এখানে এত পুলিশ কেন? এফডিসিতে প্রবেশ করতেই নায়ক রুবেলকে জড়িয়ে ধরেন শাবনূর। রুবেল বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম একজন স্টার আমার এ আদরের ছোট বোনটি। এর পর চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে দেখা হতেই অভিনেতা বলে ওঠেন, তুমি কখন এলে? অনেক দিন পর দেখা হলো রুবেল ভাইয়ের নায়িকার সঙ্গে। শাবনূর বলেন, তোমার কী? রিয়াজ বলেন, আজকে সবাই আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিলাম।’ শাবনূরও বলে ওঠেন, ‘আমাদের জুটি অমর হয়ে থাকবে। 
জায়েদ খানের ডিগবাজি নিয়ে প্রতিযোগিতা
ঢাকাই সিনেমার নায়ক জায়েদ খান। নানা সময় নানা কারণে সংবাদের শিরোনামে আসেন এই অভিনেতা। গেল বছর একটি অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়ে স্টেপ ভুলে যান তিনি। আর সেটি পূরণ করেন একটি ডিগবাজি দিয়ে। এরপর থেকেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল জায়েদ খানের ডিগবাজি। এটি এখন তার সিগনেচার স্টাইলও বলা চলে। তবে এই  ডিগবাজির জন্য অনেক সমালোচনারও শিকার হয়েছেন তিনি।  জায়েদ খানের ডিগবাজি নিয়ে এবার প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তারই এলাকার মানুষজন। নায়কের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় অনেকেই। আর বিজয়ী একজনকে দেওয়া হয় একটি মোবাইল ফোন। এমন একটি ভিডিও ফেসবুক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যা এসেছে জায়েদ খানের নজরেও। এ প্রসঙ্গে নায়কের ভাষ্য, এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে। আমার ডিগবাজির খবর পৌঁছে গেছে তাদের কাছেও। ডিগবাজির প্রতিযোগিতা করে তারা আমাকে সম্মানিত করেছে। বরাবরের মতো আমি এলাকাবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। এদিকে, ডিগবাজি নিয়ে গেল বছরই গণমাধ্যমকে জায়েদ খান বলেন, স্টেজে নাচতে গিয়ে দেখি স্টেপ ভুলে গেছি। তখন তা মেলানোর জন্য ডিগবাজি দিয়েছিলাম। চুরি করার জন্যই এটি করেছিলাম। যেটা শিখে গিয়েছিলাম সেটা ভুলে যাওয়ার পর ডিগবাজি দিলাম। এখন দেখি সেটা হিট হয়েছে। এটার ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। এটি এখন আমার সিগনেচার স্টেপও হয়ে গেছে। যেখানে যাই সবাই এটাই চায়, আমিও দেই। জায়েদ খান আরও বলেন, ডিগবাজি তো মানুষ পছন্দ করেছে। শাহরুখ খান যখন হাত উঁচু করে দাঁড়াতেন তখন কী তিনি জানতেন এটাই হতে যাচ্ছে তার সিগনেচার স্টাইল? কোন স্টেপ কে কখন পছন্দ করে সেটা তো কারও জানা নেই। আমি তো ভাইরাল করার জন্য ডিগবাজি দিইনি। প্রসঙ্গত, এবার ঈদে জায়েদ খান অভিনীত 'সোনার চর' ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। 
সিনেমা দেখলেই বিরিয়ানির প্যাকেট ফ্রি
গত এক দশক ধরে বন্ধ ছিল বগুড়ার ধুনট উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হল। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে চালু করেই দর্শক টানতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করলো হল কর্তৃপক্ষ। ১০০ টাকার টিকিট কাটলেই মিলছে এক প্যাকেট বিরিয়ানি একদম ফ্রি। জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ঝংকার সিনেমা হলটি নির্মাণ করা হয়। ঈসা খানের মালিকানাধীন এ হলটি শুরুতে ভালো চললেও এক পর্যায়ে তা দর্শকশূন্যতার কারণে বন্ধ হয়ে যায়।  বর্তমানে হলটিতে প্রদর্শিত হচ্ছে চিত্রনায়িকা পূজা চেরি ও নায়ক আদর আজাদ অভিনীত ‘লিপস্টিক’ সিনেমা। ঈদের ছবি ও বিরিয়ানির এই বিশেষ অফারের কারণে বর্তমানে বেড়েছে দর্শক সমাগম— এমনটাই মন্তব্য হল কর্তৃপক্ষের।  এ ব্যাপারে কথা হয় হলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের হলে দর্শকের জন্য আসন রয়েছে ৫০০টি। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। বিশেষ অফারে প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে প্রত্যেক দর্শকের হাতে ফ্রি এক প্যাকেট বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে। এই অফার কতদিন চালু থাকবে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আগামী এক মাস খাবারের এই অফার চালু থাকবে।  বর্তমানে ঝংকার সিনেমা হলে ‘লিপস্টিক’ সিনেমার চারটি শো (দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টা) চলছে। তবে তীব্র গরমের কারণে দুপুর ও বিকেলে দর্শক কিছুটা কম থাকলেও বাকি দুটি শো-এ দর্শক সমাগম বেশি থাকছে বলে জানা যায়।
পরীমণির এক শৈশবের মুগ্ধতা শাবনূর
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়াজাগানো নায়িকা শাবনূর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী অভিনয় থেকে দূরে আছেন বহুদিন হলো। দুই যুগের বর্ণিল ক্যারিয়ার তার। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বড় পর্দায় অনুপস্থিত তিনি। সম্প্রতি একটি সিনেমা করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন এই নায়িকা। এদিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের গ্ল্যামার নায়িকা পরীমণি। সন্তান, সংসার আর নতুন নতুন কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তার।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এফডিসিতে ছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে তারকাদের হাট বসেছিল। এই নির্বাচনকে ঘিরে নতুন পুরনোদের মিলনমেলায় এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। বিশেষ করে গেল কয়েক বছর ধরে যাদের এফডিসিতে দেখা যায়নি, এদিন তারাও উপস্থিত হয়েছিলেন ভোট দিতে কিংবা পছন্দের প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইতে। তাদেরই একজন চিত্রনায়িকা শাবনূর।  বহুদিন পরে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দেখা মিলেছে তার। যেখানে তাকে পেয়ে খুশি হয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীরা। বিশেষ করে চিত্রনায়িকা নায়িকা পরীমণি যেন একটু বেশিই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শাবনূরকে কাছে পেয়ে।  শাবনূরের সঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচন দিনের বেশ কিছু স্থিরচিত্র নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন পরী। যেখানে ফুটে উঠেছে তাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের চিত্র ও উচ্ছ্বাসের কথা। ছবিগুলো প্রকাশ করে শাবনূরকে শৈশবের মুগ্ধতা আখ্যা দিয়ে পরী লিখেছেন, একজন শাবনূর। একজন সুপারস্টার। এক শৈশবের মুগ্ধতা। একজন সুন্দর মনের মানুষ। একটা ভালোবাসা। প্রসঙ্গত, এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। দুই বছরের জন্য এই নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।