• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
নতুন পরিচয়ে মৌসুমী
বিশ্ব টয়লেট দিবসে যে ঘোষণা দিলেন শাকিব খান
নভেম্বরের ১৯ তারিখ একই দিনে দুই দিবস। একটি পুরুষ দিবস এবং অন্যটি টয়লেট দিবস। এমন দিনে ‘টয়লেট’ সংক্রান্ত এক ঘোষণা নিয়ে হাজির হলেন এই সময়ের বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। তবে শুধু শাকিব খানই নয়, ঘোষণার সময় হাজির ছিলেন দেশের জনপ্রিয় এক ঝাঁক তারকা। নভেম্বর মাসজুড়ে প্রতিটি টাইলক্স টয়লেট ক্লিনার বিক্রির থেকে ১০ টাকা দেওয়া হবে সারাদেশে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য। বিশ্ব টয়লেট দিবসে হাইজেনিক টয়লেট নির্মাণের লক্ষ্যে এই ঘোষণা দিয়েছেন মেগাস্টার শাকিব খান। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।  বিশ্ব টয়লেট দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আ প্লেস ফর পিস’-কে সামনে রেখে ‘দুস্থ মানুষের টয়লেট নির্মাণে পাশে থাকুন টাইলক্স কিনে’-স্লোগান নিয়ে, এই ক্যাম্পেইনটি ঘোষণা করা হয়। শাকিব খান বলেন, অত্যাধুনিক সব পণ্য তৈরির পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী দেখতে চায় টাইলক্স। আর তাই, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে টাইলক্স হাইজেনিক টয়লেট ক্লিনার উৎপাদন হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় টয়লেট ক্লিনার ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সর্বোচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন কাঁচামাল ব্যবহার করে। শাকিব খান ও মিম ছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও টাইলক্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সিয়াম আহমেদ, পূজা চেরী, দীঘি, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান এবং সিনেমা ও সংগীত জগতের আরো অনেক বিখ্যাত তারকা। আরটিভি /এএ 
বিচ্ছেদের গুঞ্জনে চটেছেন মৌসুমী হামিদ
‘পাপমুক্ত সিনেমা’র অভিনেতা রাসেল মিয়াকে খুঁজছে পুলিশ
ফারুকী প্রসঙ্গে আশফাক নিপুন বললেন, ছোট মুখে বড় একটা কথা বলি তাহলে
এক জাহাজের কারণে থমকে আছে রাফী-জিতের ‘লায়ন’!
অবশেষে আড়ালের মানুষটিকে প্রকাশ্যে আনলেন পরীমণি
শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীমণির সংসার। সন্তান এবং কাজের বাইরে মাঝেমধ্যেই নানান ইস্যুতে খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। একদিন আগেই অভিনেত্রীর নতুন প্রেমের খবরে শোরগোল পড়ে যায় নিউজ মিডিয়া থেকে নেটদুনিয়ায়। গত ১৮ নভেম্বর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে পরীমণি লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।’ ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত গাড়িতে কারও হাতের ওপর হাত রেখেছেন পরীমণি। নতুন প্রেমের খবর জানান দিলেও নায়িকার পাশে থাকা পুরুষটির চেহারা কিংবা নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। এরপর থেকেই পরীমণির জীবনের নতুন মানুষটি কে, তা জানতে মরিয়া হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা। অবশেষে আড়ালে থাকা সেই মানুষকে প্রকাশ্যে আনলেন তিনি।  জানা গেছে, তিনি আর কেউ নন। পরীমণির নতুন কস্টিউম ডিজাইনার। এদিন রাত সোয়া ৮টায় ফেসবুকে সেই ভিডিওর পুরোটা পোস্ট করে ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন, ‘প্রাংকটা কি একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল?’ পুরো ভিডিওটি পরীমণি পোস্ট করা মাত্রই নেটিজেনদের মন্তব্যের ঝড় ওঠে তার কমেন্ট বক্সে।  প্রসঙ্গত, সর্বশেষ গত ৮ নভেম্বর ওটিটিতে মুক্তি পায় পরীমণি অভিনীত ‘রঙিলা কিতাব’। সিরিজে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান। এটি নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস। এতে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে দেখা গেছে পরীমণিকে। আরটিভি/এইচএসকে-টি 
কার ওপরে ক্ষোভ ঝাড়লেন সোহানা সাবা
শোবিজের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সোহানা সাবা। ছোট পর্দা, ওটিটি ও বড় পর্দায় সমান তালে অভিনয় করছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব এই অভিনেত্রী। প্রায়ই সেখানে নিজের অনুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি নানান ইস্যুতে প্রতিবাদের সুরেও কথা বলতে দেখা যায় তাকে। এবার নেটমাধ্যমে ক্ষোভ ঝাড়লেন সাবা। সোমবার (১৮ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। সেখানে কোনো এক ব্যক্তির ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন অভিনেত্রী। তবে তার নাম-পরিচয় কিছু প্রকাশ করেননি সাবা।  পাঠকদের জন্য অভিনেত্রীর পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—  ‘আপনি আমি সেইম না ব্রো! আপনি গত ১৫ বছরের (সুবিধা পেতে) চামচামিগুলো একসঙ্গে ডিলিট করতে পারবেন না বলে প্রোফাইল লক করে বসে আছেন (যদিও প্রোফাইল ওপেন থাকলেও আপনার চেহারা দেখতে দুইজন মানুষও যাবে না আপনার প্রোফাইলে)। আর আমি আমার স্টোরিতে স্টিকার মারলে ‘কে’ এটা জানার জন্য আপনার ঘুম হারাম হয় অথবা আমার পোস্টে কেন কমেন্ট করতে দেওয়া হচ্ছে না সেটা নিয়ে আপনার খুব রাগ!’ স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পরই সাবার ভক্তদের মনে বাসা বেঁধেছে নানান প্রশ্ন। হঠাৎ কার ওপরে খেপলেন অভিনেত্রী? আর কেনই বা এমন পোস্ট দিয়েছেন তিনি? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে মুখিয়ে রয়েছেন তারা।  প্রসঙ্গত, কবরী পরিচালিত ‘আয়না’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন সাবা। এরপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকে ছেলেকে নিয়ে একাই পথ চলছেন অভিনেত্রী।   আরটিভি/এইচএসকে   
আবারও প্রেমে পড়েছি: পরীমণি
শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়েই এখন পরীমণির সংসার। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে সন্তানদের বড় করে তুলছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বহুবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফের পরীর প্রেমের খবরে তোলপাড় নিউজ মিডিয়া থেকে নেটদুনিয়া। সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরীমণি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন লাভ ও বাটারফ্লাই ইমোজি। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, চলন্ত গাড়িতে কারও হাতের ওপর হাত রেখেছেন পরীমণি। যদিও নায়িকার পাশে থাকা পুরুষটির চেহারা প্রকাশ করেননি তিনি।  ভিডিওটি দেখার পর থেকেই ভীষণ উচ্ছ্বসিত পরীমণির ভক্ত-অনুরাগীরা। প্রিয় নায়িকার জীবনে নতুন কারও আবির্ভাব যেন খুব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তারা। নেতিবাচক মন্তব্যও ভিড় করেছে পরীমণির কমন্টেসবক্সে। কারণ, বছরজুড়েই নানান সাক্ষাৎকারে নায়িকার মুখে শোনা যায় নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো তার পক্ষে সম্ভব না। দাম্পত্য জীবনে যে কষ্ট সহ্য করেছেন, যে খারাপ সময় পেরিয়ে এসেছেন সেই কাঁটা রাস্তায় আর পা ফেলবেন না তিনি। আর কোনো সম্পর্কের মায়ায় নিজেকে জড়াতে চান না পরীমণি।   ডিভোর্সের পর থেকে বারবার একটা কথাই তিনি জানিয়েছিলেন যে, ছেলে-মেয়ে তার দুটি ডানা। নতুন সম্পর্কের দরকার নেই পরীর। এমনকি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চান না তিনি। অথচ বছর না পেরোতেই সুর পাল্টে ঠিকই নতুন প্রেমে মজেছেন এই নায়িকা।   গেল বছর দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনে ভেঙে যায় রাজ-পরীমণির সংসার। বিচ্ছেদের পর থেকে ছেলেকে নিয়ে একাই দিন পার করছিলেন তিনি। এসবের মাঝেই তার জীবনে আগমন ঘটে ছোট্ট আরেক পরীর। যাকে নিজের মেয়ের পরিচয়ে দত্তক নেন পরীমণি। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ সুখেই জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি কাজও করছেন তিনি। এবার নায়িকার জীবনে এসেছে ভালোবাসার নতুন মানুষ।   আরটিভি/এইচএসকে/এস  
মাহিয়া মাহির স্ট্যাটাস নিয়ে নেটদুনিয়ায় শোরগোল
বছরজুড়েই কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কখনও বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদ নিয়ে, কখনও সন্তান নিয়ে। কখনওবা আবার রাজনৈতিক মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি।  এবার  মাহির একটি স্ট্যাটাস নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে নেটদুনিয়ায়, যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ভক্ত-অনুরাগীরা ভাবছেন, হয়তো হতাশা থেকে এমন কথা বলেছেন মাহি।   গত ১৬ নভেম্বর নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটস দিয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে মাহি লিখেছেন, ‘ঝগড়া করারও কেউ নেই।’ অভিনেত্রী পোস্টটি করা মাত্রই তার কমেন্টসবক্সে মন্তব্যের ঝড় উঠেছে নেটিজেনদের। একজন লিখেছেন, আমারও ঝগড়া করতে ইচ্ছে করছে। আরেকজন লেখেন, কোনো চিন্তা করবেন না, যার কেউ নেই তার জন্য আমি আছি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। সেই সংসার ভেঙে যাওয়ার পর ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন এই নায়িকা। তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের আড়াই বছর মাথায় দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন মাহি-রাকিব।   আরটিভি/এইচএসকে-টি  
সালমান শাহ’র নায়িকা শিল্পীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত
ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পী। সালমান শাহ’র সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করে বেশ প্রশংসা পেয়েছিলেন সে সময়। তবে প্রায় দুই দশক ধরে তিনি চলচ্চিত্রে নেই। তবুও দর্শকের আগ্রহ কমেনি তার প্রতি। এদিকে এই অভিনেত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে ফ্রিজ করা হয়েছে তার স্বামী প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ডা. এইচবিএম ইকবালসহ তার তিন সন্তানের অ্যাকাউন্ট। তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বিএফআইইউ। চিঠিতে বলা হয়েছে, হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচ বি এম ইকবাল, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী, ডা. ইকবালের প্রথম স্ত্রী প্রয়াত মমতাজ বেগম পক্ষের সন্তান মঈন উদ্দিন ইকবাল, ইকরাম ইকবাল এবং নওরীন ইকবালের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হলো। আগামী ৩০ দিনের জন্য এসব ব্যক্তি ও একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের লেনদেন স্থগিত থাকবে। এতে আরও বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত সব হিসাবের তথ্য আগামী চার দিনের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। এসব ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক হিসাবে লেনদেন যেন শুধু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়েই হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের সময়ের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বা তথ্য তলব করেছে বিএফআইইউ।  নায়িকা শিল্পীর প্রথম ছবি মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার কমান্ডো’ ১৯৯৫ সালের ১১ই মে মুক্তি পায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘প্রিয়জন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শেষ প্রতীক্ষা’, ‘মুক্তি চাই’, ‘লাভলেটার’, ‘বীর সন্তান’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘দোস্ত আমার দুশমন’, ‘গৃহবধূ’, ‘কে আমার বাবা’, ‘রাজপথের রাজা’, ‘শক্তের ভক্ত’ ও ‘সুজনবন্ধু’। আরটিভি/এএ-টি
হুমায়ূন আহমেদকে পাগল উল্লেখ করে যা বললেন ছেলে নিষাদ
হলুদ পাঞ্জাবি পরে হিমু হয়ে আজও অসংখ্য পাঠক হেঁটে চলেছে ময়ূরাক্ষী নদীর তীর ধরে। দেখছেন উপচেপড়া জোছনা, টাপুর-টুপুর বৃষ্টি আর মধ্যরাতের অচেনা শহরটাকে। সঙ্গে হয়তো রূপা, নয়তো না। যে নদী ও চরিত্রের স্রষ্টা হুমায়ূন আহমেদ। যাকে বাংলা সাহিত্য ও নির্মাণের সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। গুণী এই মানুষটির ছোট ছেলে নিষাদ হুমায়ূন। নিষাদ হুমায়ূনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, বিষণ্নতা খুব ভয়ংকর একটা জিনিস তবে প্রকৃতিতে অন্যরকম একটা শান্তি পাওয়া যায়।  নিষাদ হুমায়ূন বলেন, আমরা তখন সত্যিকারের খুশি হতে পারব যে সময় টাকা, ফোন এসব না চেয়ে প্রকৃতির মাঝে একটু শান্তিতে থাকার চেষ্টা করবো। ফোনের জন্য কোনো শান্তি নেয়। প্রকৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নুহাশ পল্লীতে আসলে আমি অনেক কিছু ভুলে যায়। শহরের মধ্যে অসুবিধাটা হচ্ছে ইন্টারনেট না থাকলে ঘরে বসে কী করব। নিষাদের ভাষ্য, এ সুন্দর একটা জায়গার মধ্যে শুধু এই আবহাওয়া এই রোদটা এই বাতাসটা অন্যরকম লাগে। এখানে আসার আগে ডেটা কিনেছি ভাবলাম ইন্টারনেট না থাকলে কী করব, এখানে আসার পরে ফোন হাতে নেইনি, প্রকৃতির মাঝে রয়েছি। নিষাদ বলেন, আমরা মানুষ হিসেবে এত জিনিস চায় কেন। আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় যদি নতুন আইফোনটা থাকতো যদি এয়ারপডস প্রোসহ নতুন গাড়ি থাকতো। কিন্তু এখানে এসে সব ভুলে যায়, মনে করি যে শুধু এ জায়গায় বসে একটা আরাম পাওয়া যায়। তার কথায়, আমি সাইকো থেরাপিস্ট হতে চাই। ব্যাপারটা হচ্ছে একটা মানুষের যদি বিষণ্নতায় থাকে তবে প্রকৃতির মাঝে থাকলে খুব সাহায্য করতে পারবে উনাকে। বিষণ্নতা খুব ভয়ংকর একটা জিনিস তবে প্রকৃতিতে অন্যরকম একটা শান্তি পাওয়া যায়। এদিকে নিজের বাবাকে পাগল উল্লেখ করে নিষাদ বলেন, পাগলি ছাড়া কী পৃথিবী চলবে? পাগলি ছাড়া কিন্তু পৃথিবী চলবে না। স্যার আইজাক নিউটন কত বড় পাগল! তার পাগলামি ছাড়া কী পদার্থবিজ্ঞান হতো? আমার শুয়ে আছি, আমার মাথার ওপর যদি একটা আপেল পড়ে আমি ভাবব, ওহ আপেল পড়ছে! কিন্তু স্যার আইজাক নিউটন কিন্তু নিজে নিজেই ভেবেছে কেন আপেলটা পড়ল? এরপর পুরো জীবন কাজ করেছে কেন আপেলটা নিচে পড়ল, এইটার ব্যাপারে। এরপর সে পদার্থবিজ্ঞান আবিষ্কার করল। আসলে পাগলটা আমাদের লাগে। আমার বাবা অবশ্যই পাগল তাই তিনি একজন অসাধারণ মানুষ। পাগল আমাদের লাগবে। পাগল ছাড়া আইডিয়া পাব না।  নিষাদের সেই ভিডিও শেয়ার দিয়ে অভিনেতা খাইরুল বাসার লিখেছেন, এই পাগলটা যে কত মিষ্টি কত সুন্দর! এই বয়সে তার বোধ ভাবনার কী দারুণ চর্চা নিজের মাঝে! অনেক সুন্দর থাকুন সুন্দর পাগল। খাইরুল বাসারের সেই পোস্টে শাহীন রেজা নামে একজন মন্তব্য করেছেন, এইটুকু কথা বুঝতে অনেকে আস্ত জীবনও পার করে ফেলে, আর ও কত অল্প বয়সে কত গভীর দর্শনে ডুব দিয়েছে। ভবিষ্যতে বাবার মতই বাংলাদেশকে অনেক কিছু দেবে। আরটিভি/এএ-টি   
‘যাকে নিয়ে লিখছি তার মৃত্যুটা আমাকে লিখতে গিয়েও কাঁদাচ্ছে’
‘জাগো’, ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ কিংবা ‘ওরা ৭ জন’র মতো প্রশংসিত সিনেমা নির্মাতা খিজির হায়াত খান। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে উচ্ছেদ করতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। নবগঠিত ১৫ সদস্যবিশিষ্ট চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে তিনি জায়গা পেয়েছেন। খিজির হায়াত খানকে বরাবরই নানান ইস্যুতে প্রতিবাদের সুরে কথা বলতে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কখনও নিজের মতামত প্রকাশ করেন, কখনও বা সমাজের মানুষের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন রাখেন। সরকার পতনের পরেও নানা ইস্যু নিয়ে প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলছেন তিনি। নানা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এবার ফের নতুন সিনেমার কাজ হাতে নিলেন এই নির্মাতা। যার চিত্রনাট্য লিখছেন খিজির হায়াত নিজেই। শনিবার (১৬ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, সত্য ঘটনা থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়ে চিত্রনাট্য লিখা অনেক কষ্টকর একটা কাজ। সেই ঘটনা যদি কারও মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে হয় তখন কষ্টের মাত্রাটা আরও বেশি হয়। জানিনা কতটুকু জাস্টিস করতে পারবো কিন্তু যাকে নিয়ে লিখছি তার মৃত্যুটা আমাকে লিখতে গিয়েও কাঁদাচ্ছে।  নতুন কাজ নিয়ে জানতে খিজির হায়াতের সঙ্গে আরটিভির কথা হলে তিনি বলেন, আসলে কাজটি একদম প্রথমিক পর্যায় আছে। এখনো চিত্রনাট্য লিখার কাজ শেষ হয়নি। তাই আমি চাচ্ছিনা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে। তবে এতটুকু বলতে বলবো নতুন এই কাজটি দেশের একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে নিয়ে।  এদিকে ২০২৩ সালেই খিজির ঘোষণা দিয়েছেন পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স নিয়ে ‘সাম্রাজ্য’ নির্মাণের। যার ট্যাগলাইন ছিলো, ‘রক্তের খেলায় ক্ষমতা বদলায়’। নির্মাতা গত বছরের শেষ দিন (৩১ ডিসেম্বর) ছবিটির একটি রক্তাক্ত পোস্টার প্রকাশ করে বলেছিলেন, ২০২৪ সাল হবে সহিংস, কারণ রাজনীতি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত হবে। সবাই নিরাপদে থাকুন এবং শুভ নববর্ষ।  ‘সাম্রাজ্য’ নিয়ে জানতে চাইলে জাগো খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, আসলে এখন ‘সাম্রাজ্য’ নিয়ে কম ভাবছি। নতুন চিত্রনাট্যটি যদি ঠিকঠাক ভাবে দাঁড় করাতে পারি তাহলে ‘সাম্রাজ্য’র আগেই নতুন সিনেমার কাজ ধরবো।  আরটিভি /এএ