হাউমাউ করে কাঁদলেন পরীমণি
‘আজকে ফাইনালি বুঝে গেছি, আমাকে মেরে ফেলা খুবই সহজ’- নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি এ কথা বলেন। বুধবার (০৪ আগস্ট) বিকালে ফেসবুক লাইভে এসে হাউমাউ করে কাঁদে পরীমণি মিডিয়া ও তার সহকর্মীদের সহযোগিতা চান।
ফেসবুক লাইভে পরীমণি আর বলেন, আমার বাসায় কিছু অপরিচিত লোকজন এসে দরজা ধাক্কাচ্ছে। কিন্তু তারা কারা, কোনো থানা থেকে এসেছেন কিনা জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু তারা পুলিশ পরিচয় দিচ্ছেন, কোন থানা থেকে তারা এসেছেন সেটি বলছে না। শুধু দরজা খুলতে বলছেন তারা। পরীমনি বলেন, এখন নিজের ঘর নিজের কাছেই জেলখানা হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার বাসায় হামলা হয়েছে। আমি ফেসবুক লাইভ থেকে সহজেই সরবো না।
এফএ
মন্তব্য করুন
অল্প বয়সী ছেলের সঙ্গে বিয়ে বিতর্ক, মুখ খুললেন বুবলী
নববধূর সাজে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় তুলেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে চিত্রনায়িকার বিয়ের সাজের কিছু ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। আর এতেই শোরগোল পড়ে গেছে নেটিজেনদের মাঝে।
আর সেসব ছবি ঘিরে রটে গেছে নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন বুবলী! কেউ আবার জানতে চেয়েছেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে বরের সাজে থাকা অল্প বয়সী ছেলেটির নামও। এবার সেই বিয়ে বিতর্কে মুখ খুললেন বুবলী।
সম্প্রতি এক ওয়েডিং ফটোশুটে অংশ নেন তিনি। সেখানেই তোলা কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মূলত গৌতম সাহার কোরিওগ্রাফিতে বউ সাজেন বুবলী। সঙ্গে ছিলেন তরুণ মডেল ওয়াসিফ খান।
কিন্তু মডেলের সঙ্গে বুবলীর বয়সের পার্থক্যটা স্পষ্ট। যে কারণে তাদের ফটোশুট নিয়ে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে ভক্তদের মাঝে। অনেকেই আবার নায়িকার সঙ্গে তরুণের যুগলবন্দীকে ‘অসম’ জুটি হিসেবেও দেখছেন।
গণমাধ্যমে বুবলী বলেন, সবসময় কিছু ভিন্নতা না আনলে সেটা নিয়ে আলোচনা হয় না। আমরা ফটোশুটের সময় জানতাম, এটা নিয়ে আলোচনা হবে। কেউ পজেটিভলি নিবে, কেউ বিষয়টা ভিন্নভাবে দেখবে। সেদিক থেকে আমরা সাকসেস, কারণ সবাই এটা নিয়ে কথা বলছে।
অল্প বয়সী ছেলের সঙ্গে ফটোশুট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নতুনদের সঙ্গে কাজ না করি, বিশেষ করে আমার ক্যারিয়ারের ৮-৯ বছর হয়ে গেছে। সেই আমরা যদি কিছু ভিন্নতা না আনার চেষ্টা করি তাহলে দর্শক পরিবর্তনটা দেখবে না।
গৌতম সাহা বলেন, বুবলীকে নিয়ে তিনটি শুট করেছি। ওয়েডিং, হলুদ ও মেহেদী। কাজের জায়গায় সে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে সময় দেয়। সময়মতো কাজে চলে আসে। ওর সঙ্গে কাজ করে ভীষণ ভালো লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, কাজ ছাড়া বুবলী কিছুই চিন্তা করে না। যখন সেটে থাকে, খেতে বললেও খায় না। সবসময় বলে, আগে কাজ তারপর খাওয়া-দাওয়া। সম্প্রতি বুবলীকে নিয়ে একটা বিউটি পার্লারের ফটোশুট করেছি। ভাইরাল ছবিগুলোতে বুবলীর সঙ্গে থাকা মডেলের নাম ওয়াসিফ খান।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিভিন্ন স্টেজ শো, প্রোমোশন ও ফটোশুটে ব্যস্ত রয়েছেন শবনম বুবলী। শিগগিরই নতুন ছবিতে দেখা যাবে তাকে। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে, ‘চাদর’, ‘জংলি’, ‘পুলসিরাত’, ‘প্রেম পুরাণ’, সাইফ চন্দনের ‘কয়লা’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘ছায়া’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা।
আরটিভি/এইচএসকে
জমি পাওয়ার জন্য ড. ইউনূস স্যারকেও বাবা ডাকতে রাজি আছি: জয়
মা সবসময় সন্তানের আবদার পূরণ করে থাকেন। কখনও সন্তানকে ফিরিয়ে দেন না। এ জন্যই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার কাছে নিজেকে সুযোগ্য সন্তান দাবি করে আবদার করেছিলেন আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।
শেখ হাসিনার কাছে রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে একটি প্লটের আবেদন করেছিলেন অভিনেতা জয়। সেই আবেদনপত্রের একটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যা এর আগেও কয়েক দফায় ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে জায়গা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেতা, যা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ভাইরাল হয়। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলের পর সেই আবেদনপত্রটি ফের ভাইরাল হয়।
এদিকে দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক স্যাটায়ার বানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা ও অন্তবর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশের রাজনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি গল্পে ‘৮৪০’ ওয়েব সিনেমা বানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। এর আগেই বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘৮৪০’-এর বিশেষ প্রিমিয়ার শো।
‘৮৪০’ শিরোনামের ওয়েব সিনেমাটিতে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। সিনেমটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমি চাওয়া প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে শাহরিয়ার নাজিম জয় বলেন, আমার জমির প্রয়োজন আছে। তাই ড. ইউনূস স্যারকে বাবা ডাকতে হলেও ডাকবো। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মা বলে জমি চাওয়াতে আমি মোটেও অনুতপ্ত না। একটা জিনিস পাওয়ার জন্য বাবা, দাদা, মা ডাকা যায়। আর আমি আমার কাজের জন্য ভবিষ্যতেও ডাকবো। তবে হ্যাঁ আমি তখনও বলেছি বিগত সরকার যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল আর তাদের পতনের জন্য যত লোক প্রাণ দিয়েছে তা অনেক সেন্সেটিভ ইস্যু হয়ে গিয়েছে। আর ওই সকাররের প্রধানকে আমি মা বলেছি সেটার জন্য আমি অনুতপ্ত।
আরটিভি /এএ/এআর
দুর্ঘটনায় আহত অপূর্ব, পাভেল ও ফারিণকে নিয়ে যা জানালেন নির্মাতা অমি
দেশের নাট্যাঙ্গনে আলোচিত নাম কাজল আরেফিন অমি। এক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক দিয়ে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। শুধু ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নয়, নির্মাণ করেছেন একাধিক একক নাটক, ড্রামা সিরিজ ও ওয়েব সিরিজ। এই নির্মাতা বর্তমানে নির্মাণ করছে ‘হাউ সুইট’ নামের ওয়েব ফিল্ম।
এদিকে, ‘হাউ সুইট’ নামের ওয়েব ফিল্মের শুটিংয়ের সময় স্কুটি দিয়ে দুর্ঘটনায় অভিনেতা অপূর্ব, পাভেল ও তাসনিয়া ফারিণ আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজল আরেফিন অমি।
হাউ সুইট’ নামের ওয়েব ফিল্মের নির্মাতা অমি তাদের সবশেষ অবস্থা নিয়ে জানিয়েছেন, খুব আনন্দ নিয়ে মজা করে শুট করছিলাম আমরা হাউ সুইট। দুর্ভাগ্যবশত আজকে আমাদের একটি দৃশ্য শুটিং এর সময় স্কুটি দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।অপূর্ব ভাইয়া আল্লাহ এর রহমতে বড় কোনো ইনজুরড হয়নি কিন্তু আমাদের পাভেল আর ফারিন ইনজুরড।ডাক্তার জানায় খুব দ্রুত ওরা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কাজে ফিরতে পারবে।ওদের জন্য সবাই দোয়া রাখবেন যাতে ওরা দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে একটা সুন্দর কাজ বানাই,এই কাজটার জন্য আমরা কত কষ্ট করেছি,আর করছি সেটা আপনারা কাজ টা দেখলে বুঝতে পারবেন।আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ আমার টিমের সকলের প্রতি,যারা আমার উপর আস্থা রেখে নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছেন একটি সুপার কাজ দর্শকদের উপহার দিতে। হাসপাতালের বেডে শুয়েও আমার আর্টিস্টরা ভাবছে কিভাবে বাকি কাজগুলো সুন্দর করে শেষ করা যাবে! প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের সবাই কে অনেক অনেক ভালোবাসা।
ওয়েবফিল্মটিতে অপূর্ব-ফারিণ ছাড়া আরও অভিনয় করছেন বাচ্চু, শিমুল শর্মা প্রমুখ।
আরটিভি /এএ/এআর
আ.লীগের মনোনয়ন ফরম কিনতে চাওয়া ডিপজল এবার বিএনপির ব্যানারে!
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মুভিলর্ড’ ও ‘দানবীর’ খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। পালন করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। পাশাপাশি নতুন বেশ কিছু সিনেমার কাজ নিয়েও ব্যস্ত আছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশও নিয়েছিলেন তিনি। তবে ডিপজল আগে থেকেই বিএনপি সমর্থক এমনকি বিএনপির সমর্থন নিয়ে কমিশনার হয়েছিলেন শোনা যায়।
এদিকে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) তার ফেসবুক পেইজে দেওয়া একটি পোস্ট তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সে পোস্টে তিনি বিএনপির ব্যানারে নিজের ছবি দিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি লিখেছেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। যাদের মহান আত্মত্যাগে আমাদের এই স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি আরও লিখেছেন, লাখো শহীদের রক্তে লেখা, বিজয়ের এই ইতিহাস! মুক্তির বার্তা নিয়ে বার বার ফিরে আসুক ডিসেম্বর মাস।
ব্যানারে শহীদ রাাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কেনেন তিনি। পরে ২০২১ সালে ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে বিফল তিনি। বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে মনোনয়ন ফরম না কিনেই ফিরে আসতে হয়েছিল তাকে। আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের প্রাথমিক সদস্য ছিলেন না ডিপজল।
আওয়ামী লীগে বা এর কোনো সহযোগী সংগঠনে যোগদান করেছেন, এমন প্রমাণপত্র দেখাতে বলা হলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। তাই শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেনি আওয়ামী লীগ।
প্রসঙ্গত, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ১৯৯৪ সালে বিএনপি সমর্থন নিয়ে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।
আরটিভি /এএ
এবার ওমর সানীর বাসায় ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি
সময়টা ভালো যাচ্ছে না চিত্রনায়ক ওমর সানীর। আগের মতো তাকে খুব একটা অভিনয়ে দেখা যায় না। তবে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকেন এই নায়ক। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চাপওয়ালা নামে রেস্টুরেন্ট খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি ব্যবসা নিয়ে আক্ষেপ করে অভিনেতা জানিয়েছেন দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা এমন হবে জানতে পারলে এই ব্যবসায় নামতেন না তিনি।
এদিকে, কিছুদিন আগেই এই নায়কের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর সেই চুরির ঘটনা ঘটার ১৩ দিনের মাথায় এবার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নায়ক নিজেই।
ওমর সানী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচ ব্লকের একটি বাড়িতে থাকেন। একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা স্ত্রী মৌসুমী বছরখানেকের বেশি সময় ধরে মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে আছেন। বসুন্ধরার এই বাসায় সানীর সঙ্গে তার এক সহকারী থাকেন। ছেলে ফারদীন এহসান স্বাধীন থাকেন দুবাইয়ে।
ওমর সানী জানান, প্রয়োজনীয় কাজে আমি বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে দিয়ে বারান্দা গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।
তিনি বললেন, আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে! বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল, তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া। আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম! তবে এটা তো ঠিক, আমার আইনজীবীর কাছে তো মামলার সব ডকুমেন্ট আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব, আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরটিভি /এএ
বিয়ে না করা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কুসুম
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম সিকদার। নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও সমান জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে বেশ লম্বা সময় ধরেই যুক্ত তিনি। পেয়েছেন খ্যাতি, প্রশংসা। মাঝে অনেকদিনই দর্শকের চোখের আড়াল হন কুসুম। অভিনেত্রীর পাশাপাশি নির্মাতা দর্শকদের সামনে চলতি বছর ‘শরতের জবা’ ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন।
এদিকে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী উল্লেখ করেছেন, একা থাকলে নিজেকে ভালোবাসা যায়।
কুসুমের কথায়, আমাদের যে পেশা তাতে সব সময় খুব মানুষের মধ্যে থাকতে হয়। মাঝে আমাদের ব্রেক দরকার হয়। যেখানে একা থাকা যায় নিজেকে সময় দেওয়া যায়। নিজেকে ভালোবাসা যায়, নিজে কি চাই সেটা চিন্তা করা যায়।
এরপর বলেন, আমার মনে হয় যে একা থাকলে কাজে অনেক বেশি মনোযাগ দেওয়া যায়। ভাবা যাই এবং সৃজনশীল কাজের জন্য একা থাকাটা অত্যান্ত জরুরি।
সবসময় শাড়ি কিনে পরি উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, আমি সব সময় শাড়ি কিনে থাকি। কখনও স্পন্সর কাপড় পরিনি। আমার বয়স এখন তেতাল্লিশ তবুও হালকা মেকআপ আছে। এখন দেখি ১২-১৩ বছর বয়সে বিয়ে করার জন্য অনেকে পাগল হয়ে যায়।
আরটিভি /এএ
ওমর সানীর বাসায় ডাকাতি, সন্দেহের তীর যার দিকে
সময়টা ভালো যাচ্ছে না চিত্রনায়ক ওমর সানীর। আগের মতো তাকে খুব একটা অভিনয়ে দেখা যায় না। তবে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকেন এই নায়ক। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা নিয়ে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চাপওয়ালা নামে রেস্টুরেন্ট খুলেছেন তিনি। সম্প্রতি ব্যবসা নিয়ে আক্ষেপ করে অভিনেতা জানিয়েছেন দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা এমন হবে জানতে পারলে এই ব্যবসায় নামতেন না তিনি।
এদিকে, কিছুদিন আগেই এই নায়কের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর সেই চুরির ঘটনা ঘটার ১৩ দিনের মাথায় এবার বাসায় ডাকাতি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নায়ক নিজেই।
ওমর সানী জানান, প্রয়োজনীয় কাজে আমি বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল। নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে দিয়ে বারান্দা গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই। এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।
তিনি বললেন, আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্যসব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে! বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল, তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া। আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম! তবে এটা তো ঠিক, আমার আইনজীবীর কাছে তো মামলার সব ডকুমেন্ট আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব, আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ডাকাতিরঘটনায় সন্দেহের তীর ওমর সানী নিক্ষেপ করেছেন নিজের প্রাক্তন গাড়িচালক ও বাসার কেয়ারটেকারের দিকে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রথমত, আমার ছেলের ব্যবসায় প্রতারণা করা ছেলেটি। দ্বিতীয়ত, আমার গাড়ির সাবেক ড্রাইভার ও বাসার কেয়ারটেকারকে সন্দেহ করছি। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়া চলছে। ইতমধ্যে দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওমর সানীর অভিযোগের পর আমরা তার বাসা পরিদর্শন করেছি। তিনি ডাকাতির ঘটনায় বলছেন আসলে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। এটাকে চুরি বলা যায়। তবে তার বাসা থেকে বেশকিছু জিনিস দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা দুই জনকে আটক করেছি। বিষয়টি আমাদের তদন্তে রয়েছে।
আরটিভি /এএ