হাউমাউ করে কাঁদলেন পরীমণি
‘আজকে ফাইনালি বুঝে গেছি, আমাকে মেরে ফেলা খুবই সহজ’- নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি এ কথা বলেন। বুধবার (০৪ আগস্ট) বিকালে ফেসবুক লাইভে এসে হাউমাউ করে কাঁদে পরীমণি মিডিয়া ও তার সহকর্মীদের সহযোগিতা চান।
ফেসবুক লাইভে পরীমণি আর বলেন, আমার বাসায় কিছু অপরিচিত লোকজন এসে দরজা ধাক্কাচ্ছে। কিন্তু তারা কারা, কোনো থানা থেকে এসেছেন কিনা জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু তারা পুলিশ পরিচয় দিচ্ছেন, কোন থানা থেকে তারা এসেছেন সেটি বলছে না। শুধু দরজা খুলতে বলছেন তারা। পরীমনি বলেন, এখন নিজের ঘর নিজের কাছেই জেলখানা হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার বাসায় হামলা হয়েছে। আমি ফেসবুক লাইভ থেকে সহজেই সরবো না।
এফএ
মন্তব্য করুন
‘এদের ছেড়ে আমি একা কবরে কেমনে যাব’
‘ছবিয়াল’ শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক আবেগ। দর্শকপ্রিয় এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির মালিক নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যানারেই তিনি নির্মাণ করে আসছেন বিজ্ঞাপন, নাটক ও সিনেমা। ১৯৯৮ সাল, ছবিয়াল থেকে ফারুকীর প্রথম নির্মাণ ‘ওয়েটিং রুম’, সেই সময় কোনো টিভি চ্যানেল কিনতে চায়নি ফিকশনটি। ২৫ বছরে এসে চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নামের আগে যুক্ত হয়েছে বিশেষণ। তিনি এখন অন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রকার। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো তাকে সেই স্বীকৃতি দিয়েছে।
সম্প্রতি ছবিয়ালের ২৫ বছর পূর্তিতে সহকর্মীদের নিয়ে একত্রিত হয়েছিলেন ফারুকী। যেখানে হাজির ছিলেন দীর্ঘ ২৫ বছরের এই পথচলায় তার সঙ্গে কাজ করা অসংখ্য নির্মাতা, প্রযোজক ও শুটিং ইউনিটের সদস্যরা। পুরো আয়োজনের পেছনে ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন ফারুকী। এক স্ট্যাটাসে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়েই শেষে প্রশ্ন রাখলেন, সবাইকে ছেড়ে তিনি কবরে একা থাকবেন কীভাবে।
ফারুকী তার স্ট্যাটাসে লেখেন, মানুষের আয়ু কয়েক দশক মাত্র। এই ছোট জীবন লইয়া দুনিয়াতে আইসা দুনিয়াটাকে বুঝতে বুঝতে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাইয়া যায়। আরেকদল নতুন যাত্রী দুনিয়া বোঝার অভিযানে বাহির হয়। সংক্ষেপে এই হইলো মানুষের ইতিহাস। আমার ইতিহাসের অর্ধেকটা কাটছে আমার এই পরিবারটার সাথে। যার নাম ছবিয়াল। কালকে আমাদের ২৫ বছর পূর্তির মিলনমেলা ছিল। সেখানে আমার ভাইব্রাদার-নাতি-পুতি সবাই আসছিলো। আর আমার কানে বাজতেছিল, পুরনো সেই দিনের কথা, লিটারেলি বাজতেছিল।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এই নির্মাতা লেখেন, আরও আসছিলেন আমার সুপার ট্যালেন্টেড খালাতো ভাই-বোনেরা। শিহাব শাহীন ভাই, তানিম নুর, অনিম, শাওকী, নুহাশ, আরিফ, শঙ্খ, রাকা, রায়হান রাফি, অনম, রেজা, কারিনাসহ যারা আমাদের শুভেচ্ছা জানাইতে আসছেন তাদের কৃতজ্ঞতা। অমিতাভ রেজাসহ অন্যরা যারা কাজের জন্য আসতে পারেনি তাদের জন্যও কৃতজ্ঞতা। দর্শকদের প্রতি অনেক বড় কৃতজ্ঞতা, যারা আমাদের অক্সিজেন হয়ে ছিলেন, আছেন। আমরা সবাই মিলেই একটা বড় পরিবার আসলে।
এরপর স্ত্রী তিশাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুকী লেখেন, স্পেশাল থ্যাংকস টু মাই ভাই-ব্রাদারস ফর অরগানাইজিং দিস। অ্যান্ড আ বিগ থ্যাংকস টু তিশা ফর এভরিথিং। এই বৃহৎ পরিবার আগলে রাখার আসল কারিগর। সে জানে আমি একা চলতে পারি না। ফলে ও সারাক্ষণ উপলক্ষ খোঁজে আমাদের গ্যাদারিংয়ের। আগে এইসব আয়োজনে আমি জড়িত থাকতাম। এখন তিশা আর ভাই-ব্রাদাররা আমাকে ঢুকতে দেয় না। আমি ভাই-ব্রাদারদের প্রাউড ফাদার হয়ে তাকাইয়া থাকি আর আমার চোখ ভিজে আসে। এদের ছেড়ে আমি কবরে যাবো কেমনে একা?
প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র, নাটক নির্মাণের পাশাপাশি ছবিয়াল আরও একটি বিরল দৃষ্টান্ত রেখে গেছে দেশের মিডিয়াঙ্গনে। সেটি হলো তরুণ নির্মাতা তৈরি করা। যারা একসময় সহকারী পরিচালক হিসেবে ছিলেন ছবিয়ালে, তারাই এখন নিজেদের নামে খ্যাতি অর্জন করেছেন। অনেকেই তাদের গুচ্ছ আকারে ‘ভাই বেরাদার’ নামে চেনেন। যাদের মধ্যে অন্যতম রেদওয়ান রনি, আশুতোষ সুজন, শরাফ আহমেদ জীবন, আশফাক নিপুণ, ইফতেখার আহমেদ ফাহমী, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, আদনান আল রাজীব প্রমুখ।
আরটিভি /এএ-টি
শাকিব খানের শুটিং সেটে হাজির মহেশ ভাট, অতঃপর…
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন মুম্বাইয়ে অবস্থান করছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। সেখানে গত ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে তার নতুন সিনেমা ‘বরবাদ’র শুটিং। এতে শাকিবের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো জটি বেঁধেছেন কলকাতার ইধিকা পাল।
২৪ অক্টোবর থেকে শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন শাকিব। এরপর থেকে কাজের ব্যস্ততায় দিন কাটছে এই নায়কের। এসবের মাঝেই ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং স্পট ইলোরা স্টুডিওতে ঘটে গেলো দারুণ এক ঘটনা। শুটিং স্টুডিওতে হঠাৎ শাকিবের সিনেমার কার্যক্রম দেখতে হাজির হন বলিউডের নির্মাতা-প্রযোজক মহেশ ভাট।
সেখানে এসে প্রথমেই নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর শাকিবের সঙ্গেও দেখা হয় এই নির্মাতার। নায়ককে প্রথমবারের সাক্ষাতে আলিঙ্গন করেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেখানে গল্পেও মেতে ওঠেন দুজনে। শুটিং ইউনিটের সঙ্গে থাকা একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ‘বরবাদ’ সিনেমার চিত্রগ্রাহক শৈলেশ অশ্বথির সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক মহেশ ভাটের। মূলত তার কাছ থেকেই শাকিবের সিনেমার কথা শুনে শুটিং স্পটে আসেন তিনি।
এদিকে মহেশ ভাটের সঙ্গে শাকিবকে দেখে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। বলিউডের সিনেমায় তাদের প্রিয় নায়ক কাজ করবেন, এমনটাও প্রত্যাশা করেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে অ্যাকশন ঘরানার এই সিনেমা বরবাদের। সিনেমাটির বেশির ভাগ অংশেরই শুটিং হবে ভারতে।
দিলো তো সব নেশাখোরদের সঙ্গে থাকতে: পরী
ঢাকাই সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়িকা পরীমণি। প্রেম, বিয়ে কিংবা বিচ্ছেদের কারণে বারবার হয়েছেন সংবাদের শিরোনাম। বর্তমানে ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবে বেশ আনন্দেই সময় কাটছে তার। তবে তার জীবন চলার পথটা এত মসৃণ নয়। এই অভিনেত্রীকে মাদক মামলায় যেতে হয়েছিল জেলেও। এবার এক টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে এসে জানালেন জেলজীবনের অভিজ্ঞতা।
ওই অনুষ্ঠানে পরীমণির কাছে জানতে চাওয়া হয় জেলজীবনে কী শিখেছেন? জবাবে পরী বলেন, ‘আমাকে পাঠানো হয়েছে জেলে। সেখানে গিয়ে কি ভালো কিছু শিখব? দিলো তো সব নেশাখোরদের সঙ্গে থাকতে। (সেখানে) আমি প্রচুর গালিগালাজ শিখেছি। ওরা সারাক্ষণ এ-ই করত।’
জেলে থাকার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে এই নায়িকা বলেন, ‘জেলে গিয়ে দেখেছি প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা গল্প। এমন অনেকে আছে, যারা ৪০ বারের বেশি জেলে গেছে। পুরো ভিন্ন একটা জগৎ। কেউ কেউ মুখে ব্লেড নিয়ে ঘুরছে। প্রচুর গ্রুপিং হয়, বিচিং হয় সেখানে। জেলে সময় কাটানো খুব কঠিন। কোনো অ্যাক্টিভিটি নেই তো সেখানে। কতক্ষণ আর গল্প করা যায়! টাইম পাস করার জন্য অনেকে ইচ্ছা করেই ঝগড়া করত। সেসব স্মৃতি লিখে রেখেছি।’
এদিকে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন পরীমণি। ‘রঙিলা কিতাব’ নামের সিরিজের এবার মুক্তির তারিখ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনম বিশ্বাস পরিচালিত হইচই অরিজিনাল সিরিজটি আগামী ৮ নভেম্বর উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। সিরিজে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমণি ও মোস্তাফিজুর নুর ইমরান। খুব শিগগিরই ভারতে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। ‘ফেলুবক্সী’ নামে এক ছবিতে দেখা যাবে তাকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় পরীমণির। এরপর ‘রক্ত’, ‘স্ফুলিঙ্গ’, ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘গুণীন’, ‘প্রীতিলতা’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’, ‘মা’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন পরীমণি।
আরটিভি /এএ/এসএ
ঘুম থেকে উঠে দেখি ছেলের এক চোখ আর খোলে না: পরীমণি
ছেলে-েমেয়েকে ঘিরেই এখন পরীমণির দুনিয়া। কাজের বাইরে সন্তানই যেন সব তার। পুণ্য জন্মের পর থেকে ছেলেকে বাসায় ফেলে এক পা-ও নড়েন না। বলা যায়, কোলে নিয়েই ঘুরে বেড়ান। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন সন্তানদের সময় দেওয়ার।
বর্তমানে পরীমণির একমাত্র ছেলে পুণ্য ভালো নেই। চোখে ব্যথা পেয়ে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলের অসুস্থতার খবর নিজেই জানিয়েছেন পরীমণি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে অসুস্থতার বিষয়ে আরও একটি পোস্ট দিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এত অসুস্থ অবস্থাতেও ছোট্ট পুণ্য খেলার পাশাপাশি নিজ হাতেই খাওয়ার চেষ্টা করছে।
পাঠকদের জন্য পরীমণির স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘আপনারা অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যে জানেন যে, গত ২৯ তারিখ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রঙ্গিলা_কিতাব’র ট্রেলার লঞ্চিংয়ের আয়োজন ছিল। সেখানে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে যাইনি বা নিতেও চাইনি। তার অনেক গুলো কারণের মধ্যে একটি হলো আমি আসলেই চাইনি আমার বাচ্চা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ক্রাউড ফেইস করুক।
দ্বিতীয়ত, আমি আমার ছেলের জন্য দ্বায়িত্বরত (তিন জন) মানুষদের একটা সুন্দর/প্রপারলি দায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ফেইল্ড! আমার ছেলেটা ইনজুর্ড।
স্বাভাবিকভাবেই আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছি ইঞ্জুরড কিভাবে হয়েছে? কেউই সত্যি বা ঠিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি। তাদের একটাই উত্তর, ‘আমি/আমরা কিছু জানিনা। কই কি হইছে দেখি তো!’ আমি একটা পর্যায়ে আমার কন্ট্রোল হারাই। রাগে আমার পুরো পৃথিবী অগুন লাগাতে ইচ্ছা হয়েছিল। কিচ্ছু লাভ হয়নি তাতে! তারা সবাই তাদের ওই এক উত্তরেই আটকে ছিল।
আমারও আর বারবার জেরা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলে শুধু আমাকেই দেখছিল। আমিও সব ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই। ঘুম থেকে উঠে দেখি ছেলের এক চোখ আর খোলে না! কি করব বুঝতে পারি না। এভারকেয়ার হসপিটাল থেকে বাংলাদেশ আই হসপিটাল, ছুটতে থাকি…এতো অসহায় লাগছিল আমার।
যাই হোক, আল্লাহর রহমতে অনেক খারাপ হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। আমি অবাক হই আমার ছেলে ঠিক আমার আর আমার নানা ভাইয়ের মতন, কি করে যেন সব সহ্য করে নেয়। এত ধৈর্য্য আর সহনশীলতা এই ছোট্ট বয়সে! আল্লাহ মহান!
দেখেন, এখন এই সাতসকালে তার এতো এনার্জি! আলহামদুলিল্লাহ। আমি সব সঠিকভাবে সামলে উঠতে পারছি না হয়তো। কিন্তু আমি আমার শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১০ আগস্ট জন্ম হয় পুণ্যর। শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ছেলেকে একাই সামলাচ্ছেন তিনি। কয়েকমাস আগে একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেন পরীমণি। নাম রাখা হয়- সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। বর্তমানে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বেশ সুখেই কাটছে তার সংসার।
আরটিভি/এইচএসকে
মানুষ না খেয়ে থাকলেও আপনাদের সমর্থন করবে না: শবনম ফারিয়া
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। আগের চেয়ে এখন অনেকটাই কাজ কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়শৈলী দেখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। এই অভিনেত্রীর সিনেমায় অভিষেক ঘটে ২০১৮ সালে ‘দেবী’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। সবশেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’য়। সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বরাবরই সরব থাকেন এ অভিনেত্রী। ফেসবুকে দেওয়া নানা স্ট্যাটাসের কারণে প্রায়ই শিরোনাম হয়ে থাকেন সংবামাধ্যমের।
সোমবার (৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ লিখেন, আপনারা যে শুধু খুনি/চোরদের দোসর না, মানসিকভাবেও কত নোংরা সেইটা কমেন্টগুলো পড়ার পরেই বোঝা গেল।
শবনম ফারিয়া বলেন, রাজনীতিবিষয়ক আমি ভেবেছিলাম আর কোনো মন্তব্য করব না, কিন্তু শেষবার একটা কথা বলে বন্ধ করব। গতকাল কিছু পোলাপানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক্টিভিটিস দেখে মনে হলো, হেলমেট পরে রাস্তা ঘাটে আর মারামারি না করতে পারার ফ্রাস্ট্রেশন মানুষের কমেন্ট বক্সে এসে কমেন্টে আঙুল দিয়ে মারামারি করে সেইটা কমানোর চেষ্টা করছে আজকাল!
আক্রমণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ভাই এইসব ফালতু নোংরা কমেন্ট না করলে অন্তত সিম্পেথি পাইতেন, আপনারা যে শুধু খুনি বা চোরদের দোসর না, মানসিকভাবেও কত নোংরা সেইটা কমেন্ট গুলো পড়ার পরেই বুঝা গেলো। খারাপ সময়ে মানুষ আরও ডাউন টু আর্থ হন আর আপনারা দল বেঁধে আরো অ্যারোগেন্সি দেখাচ্ছেন! এই অ্যারোগেন্সের জন্যই আজকে আপনাদের এই অবস্থা! মানুষ না খেয়ে থাকলেও আপনাদের সমর্থন করবে না।
আরটিভি/এএ-টি
একই মামলার আসামি হলেন অপু বিশ্বাস-হিরো আলম
চলতি বছরের ২৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি। মামলার আরও দুই আসামি হলেন আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলাম আপন।
প্রযোজক সিমি দাবি করেন, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহার চেষ্টা করলেও সমাধান পাননি তিনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
জানা গেছে, অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গেল বছর আগস্টে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। যেখানে আসামি করা হয় অপু ও জাহিদুলকে।
বিষয়টি জানতে পেরে সমাধান করার আশ্বাস মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। বলা হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে।
দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, ইউটিউব চ্যানেলে থাকা তার ভিডিওগুলো নেই।
বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।
মামলা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সিমি ইসলাম বলেন, ইউটিউব চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বহুদিন অপুর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। সে-ও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু তার কথাও সে রাখেনি।
তিনি আরও বলেন, একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলে, আমি রাজি হলে অপুর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে। এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর কোনো খবর নেই।
আরটিভি/এইচএসকে
নেই শুটিং, সংসার চালাতে সবজি বিক্রি করছেন রিপন
দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর বদলে গেছে অনেক কিছুই। যার প্রভাব পড়েছে শোবিজ অঙ্গনেও। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রায় বন্ধ ছিলো সকল ধরণের শুটিং। যার ফলশ্রুতিতে অনেকেই হয়েছেন বেকার। যাদের একজন রিপন হওলাদার। সংসার চালাতে ঢাকার উত্তরা এলাকায় ভ্যানে সবজি বিক্রি করেন রিপন। চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন এক সময়। তবে এখন শুটিং না থাকায় জীবিকা নির্বাহের জন্য এখন সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তথ্যমতে, তাদের সদস্য ২৫০ জন। তবে ঘুরেফিরে ২০-৩০ জনের কাজ রয়েছে। বাকিদের বেশির ভাগই এখন বেকার। সংসার চালানোর জন্য তাঁরা কেউ চা-পান, কেউ তরিতরকারি বিক্রি, কেউ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোসহ নানা পেশায় যুক্ত হয়েছেন।
এদিকে রিপন বলেন, ২৫ বছর ধরে মিডিয়ায় কাজ করছি। কোনো দিনও ভাবিইনি, জীবনে এই দুঃসময় আসবে, বেকার হয়ে যাব! পরিবার নিয়ে অভাব–অনটনে থাকতে হচ্ছে। প্রোডাকশন ম্যানেজারদের কোনো স্বীকৃতি নেই। দেখার কেউ নেই। এখন হকারও বেড়েছে। এখানেও টিকে থাকা কঠিন।
আরেক প্রোডাকশন ম্যানেজার মো. কামরুল বলেন, চার সন্তান নিয়ে এখনো আমাকে সংগ্রাম করতে হয়। কল্পনাও করিনি এমন জীবন যাপন করতে হবে। খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছি।
প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আবু জাফর আবু জাফর জানান, সংগঠনের ৮০ শতাংশের বেশি সদস্য বেকার। জুলাই থেকে একেবারেই কাজ নেই। সব সেক্টর ভালোভাবে চললেও প্রোডাকশন টিম এখনো পুরোপুরি শুটিংয়ে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
প্রোডাকশন ম্যানেজার আব্দুল বলেন, করোনার সময়ের চেয়েও খারাপ অবস্থায় আছি। তখন অনেকেই সহায়তা করেছে। বাচ্চার দুধ কিনেছি। নিজেরা ডালভাত খেয়েছি। কিন্তু এখন এমন অবস্থা, দুঃখ বলার মতো কেউ নেই।
আরটিভি /এএ