অর্থহীনের নতুন সদস্যের নাম ঘোষণা
দেশের জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘অর্থহীন’-এ স্থায়ী সদস্য হিসেবে যুক্ত হল জাহিন রাশিদের নাম। এর আগে তিনি অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ব্যান্ডে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি ব্যান্ড ম্যানেজার টিটু বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এক বার্তায় অর্থহীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাহিন রাশিদ এখন থেকে অর্থহীনের নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। তিনি এখন থেকে স্থায়ীভাবে গিটার, কিবোর্ড, সেতার ও বাঁশি বাজাবেন। আমাদের পক্ষ থেকে তার জন্য শুভকামনা।
ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ: সাইদুস সালেহীন সুমন, মার্ক ডন, মহান ফাহিম ও জাহিন রাশিদ।
প্রসঙ্গত, ‘অর্থহীন’ ব্যান্ডের দলনেতা সাইদুস সালেহীন সুমন বর্তমানে রয়েছেন থাইল্যান্ডে। সেখানে গেছেন নিয়মিত চেকআপের জন্য। এছাড়া ব্যান্ডটি তাদের ফিনিক্সের ডায়েরির সিক্যুয়েল অ্যালবাম ‘ফিনিক্সের ডায়েরি-২’ নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছে।
মন্তব্য করুন
আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলেন এ আর রহমান!
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন এই অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক।
এদিকে যখন অস্কারজয়ী এ আর রহমানের ঘর ভাঙার খবরে যখন তোলপাড় সামাজিকমাধ্যমে ঠিক তখন আরও একটি বিচ্ছেদের খবর। রহমানের টিমের নারী সদস্য গিটারিস্ট মোহিনী দেরও সংসার ভেঙেছে। এরপর থেকেই তাদের দুইজনকে নিয়ে পরকীয়ার গুঞ্জন উঠেছে।
তাদের পরকীয়া নিয়ে যখন চারদিকে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ঠিক তখনই মামলার কথা বললেন এ আর রহমান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইস্যু করা নিজের লিগ্যাল টিমের পক্ষ থেকে তৈরি করা একটি নোটিশ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন তিনি। কয়েক পাতার সেই নোটিশের মাধ্যমেই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে, রাহমান ও সায়রা বানুর ডিভোর্স নিয়ে যে বা যারা আপত্তিকর পোস্ট, ভিডিও বা ইন্টারভিউ পোস্ট করেছেন, তারা অবিলম্বে বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন সেই সমস্ত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলেন। অন্যথায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আইন অনুযায়ী মানহানির মামলার মুখে পড়তে হবে তাদের।
১৯৯৫ সালে বিয়ে হয়েছিল এ আর রাহমান ও সায়রা বানুর। দেখাশোনা করেই বিয়ে, তারপর দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য। তাদের খাতিজা, রহিমা ও আমিন নামের তিন সন্তান রয়েছে।
এদিকে, রহমানের প্রাক্তন স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এসব বিতর্কের কোনো অর্থ নেই। মোহিনীর বিচ্ছেদের সঙ্গে রহমান ও সায়রার বিচ্ছেদের কোনো সূত্র নেই। এটা তাদের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাই অযথা বিতর্ক না করাই ভালো। প্রত্যেকটি দীর্ঘ বিবাহিত জীবনই ওঠা-নামার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে। আমি খুবই খুশি তারা খুব সচেতনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিচ্ছেদ একেবারেই খারাপ বৈবাহিক জীবনের ফল নয়। সায়রা ও রহমান দুজনই দুজনকে সম্মান করেন।
আরটিভি/এএ-টি
অবশেষে এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ ফাঁস করলেন সায়রা বানু
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন এই অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক।
স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে এ আর রহমানের বিচ্ছেদের খবরে যখন সর গরম নেট দুনিয়া তখনই গিটারিস্ট মোহিনী দের বিচ্ছেদে যেন নতুন রঙ পায় রহমানের বিচ্ছেদের খবর। দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানো শুরু করেন অনেকে। খবরের শিরোনামেও জায়গা নেয় তা। তাতেই চটে যান এ আর রহমান। মোহিনীর সঙ্গে পরকীয়ার গুঞ্জন গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে তার। খবরগুলো সরাতে বলে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন তিনি। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন। এবার মুখ খুললেন সায়রা বানু। জানালেন রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) এক ভয়েস নোট প্রকাশ্যে এনে সায়রা বানু বলেন, আমি সায়রা রহমান। গত কয়েক মাস ধরেই মুম্বাই রয়েছি। আমি রহমানের থেকে একটু বিরতি নিতে চেয়েছিলাম। ইউটিউবার এবং সমস্ত মিডিয়াকর্মীদের কাছে আমার অনুরোধ, রহমানের নামে কোনো খারাপ কথা বলবেন না। ও দারুণ একজন মানুষ। আমার দেখা সেরা মানুষ। আমি শুধুমাত্র আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্যই চেন্নাই ছেড়েছি। আমি জানতাম, আমি চেন্নাইতে না থাকলেই লোকজন ভাববে, সায়রা কোথা গেল? আসলে আমার চিকিৎসা চলছে। চেন্নাইতে রহমানের এত ব্যস্ত শিডিউল থাকে যে, ওখানে থাকলে এটা সম্ভব হতো না।
এরপর যোগ করেন, আমি আর রহমান এখনও একে-অপরকে ভালোবাসি। আর এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটা একশো শতাংশ মিউচুয়াল। খুব ভালো মানুষ ও। তাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ রহমান যেমন আছে, ওকে তেমনটাই থাকতে দিন। আমার নিজের জীবন দিয়ে ওকে বিশ্বাস করি। এতটাই ভালোবাসি আমি ওকে। রহমানও তাই। তাই সবার কাছে একটাই আর্জি, রটনা রটানো বন্ধ করুন। আমাদেরকে একটু একা থাকতে দিন। আমরা তো অফিশিয়ালি কারণ নিয়ে কিছু বলিনি এখনও। তাই ওর নামে কুৎসা রটাবেন না।
গত ২০ নভেম্বর সায়রা বানু নিজের আইনজীবী বন্দনা শাহর মাধ্যমে এক বিবৃতি দেন। তাতে বলা হয়, বিয়ের বহু বছর পর স্বামী এ আর রহমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়রা বানু। মানসিক চাপের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একে অপরের প্রতি গভীর ভালবাসা সত্ত্বেও, নিজেদের মধ্যে তৈরিকৃত ব্যবধান দূরত্ব ঘোচাতে পারছিলেন না তারা। সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন।
আরও বলা হয়, মিসেস সায়রা জোর দিয়ে বলেছেন, ব্যথা এবং যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি তার জীবনের এই কঠিন অধ্যায়টি পার করার সময় সবার কাছ থেকে গোপনীয়তা এবং তাদের ব্যাপারটি বোঝার অনুরোধ করেছেন।
এরপর এ আর রহমানও একটি পোস্টের মাধ্যমে বিচ্ছেদের বিষয়টি জানান।
আরটিভি /এএ
এ আর রহমানকে ‘বিশ্বের সেরা পুরুষ’ উল্লেখ করে যা বললেন সায়রা বানু
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন এই অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক।
এদিকে, এ আর রহমানের সঙ্গে বিবাহিত জীবনের ইতি টানার ৫ দিন পর সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন সায়রা বানু। এক অডিও বার্তায় নিজের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সুরকারের সাবেক স্ত্রী।
সায়রা বানু বলেন, আমি সায়রা রহমান। গত কয়েক মাস ধরেই মুম্বাই রয়েছি। আমি রহমানের থেকে একটু বিরতি নিতে চেয়েছিলাম। ইউটিউবার এবং সমস্ত মিডিয়াকর্মীদের কাছে আমার অনুরোধ, রহমানের নামে কোনো খারাপ কথা বলবেন না। ও দারুণ একজন মানুষ। আমার দেখা সেরা মানুষ। আমি শুধুমাত্র আমার শারীরিক অসুস্থতার জন্যই চেন্নাই ছেড়েছি। আমি জানতাম, আমি চেন্নাইতে না থাকলেই লোকজন ভাববে, সায়রা কোথা গেল? আসলে আমার চিকিৎসা চলছে। চেন্নাইতে রহমানের এত ব্যস্ত শিডিউল থাকে যে, ওখানে থাকলে এটা সম্ভব হতো না।
যোগ করেন তিনি আরও বলেন, আমি আর রহমান এখনও একে-অপরকে ভালোবাসি। আর এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তটা একশো শতাংশ মিউচুয়াল। খুব ভালো মানুষ ও। তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ রহমান যেমন আছে, ওকে তেমনটাই থাকতে দিন। আমার নিজের জীবন দিয়ে ওকে বিশ্বাস করি। এতটাই ভালোবাসি আমি ওকে। রহমানও তাই। তাই সবার কাছে একটাই আর্জি, রটনা রটানো বন্ধ করুন। আমাদেরকে একটু একা থাকতে দিন। আমরা তো অফিসিয়ালি কারণ নিয়ে কিছু বলিনি এখনও। তাই ওর নামে কুৎসা রটাবেন না।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হঠাৎই এ আর রহমান ও সায়রা বানু মিডিয়ায় প্রকাশ করেন তাদের বিচ্ছেদের খবরটি। বিচ্ছেদের খবর একদিন যেতে না যেতেই সুরকারের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে নাম জড়ায় বাঙালি ললনা মোহিনী দের। এদিকে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে রহমান ও সায়রা জানান, অগাধ প্রেমের অভাব নয়, মানসিক চাপ ও নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব তৈরি হওয়াতেই তারা বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন।
আরটিভি/এএ-টি
এ আর রহমানের যত টাকার সম্পত্তি পাবে সাবেক স্ত্রী সায়রা বানু
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন এই অস্কারজয়ী সুরকার ও সংগীত পরিচালক।
এদিকে, প্রাথমিক আইনি ধাক্কা সামলে ওঠার পরেই সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া, এমনটাই দাবি নেটিজেনদের একাংশের।তাদের মতে, রহমানের বিপুল সম্পত্তির অর্ধেক অংশ নাকি পাবেন তার স্ত্রী!
অস্কারজয়ী সুরকার ১ হাজার ৭২৮ কোটি রুপির মালিক। তার সব সম্পদের পরিমাণ টাকার অঙ্কে দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জন অনুযায়ী, সেই সম্পত্তির অর্ধেক ভাগ নাকি পাবেন তার স্ত্রী সায়রা বানু। তবে বিষয়টি উড়িয়ে দিলেন সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ।
তিনি বলেছেন, অনেকেরই ধারণা, বিচ্ছেদের পর নাকি ভরণপোষণের জন্য স্বামীর মোট সম্পত্তির অর্ধেক অংশ তার স্ত্রী পান। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। অনেক ভারতীয় এই ভুল ধারণা পোষণ করেন।কিন্তু এই ধরনের কোনো আইন ভারতীয় সংবিধানে এখন পর্যন্ত নথিভুক্ত করা হয়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই এ আর রহমান ও সায়রা বানুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য নয়।
তিনি আরও জানান, আদালতে এ আর রহমান মোট সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন। এই সময় যদি সায়রা বানু ভরণপোষণের দাবি করেন, সে ক্ষেত্রে আদালত পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন।
পাশাপাশি সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ আরও জানান, উভয় পক্ষের জমা দেওয়া যাবতীয় তথ্য এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি রহমান এবং সায়রা বানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বিচ্ছেদের পথ অবলম্বন করেছেন। তাই এ ক্ষেত্রে ভরণপোষণের কোনো জায়গা নেই।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হঠাৎই এ আর রহমান ও সায়রা বানু মিডিয়ায় প্রকাশ করেন তাদের বিচ্ছেদের খবরটি। বিচ্ছেদের খবর একদিন যেতে না যেতেই সুরকারের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে নাম জড়ায় বাঙালি ললনা মোহিনী দের। এদিকে দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্য ভেঙে যাওয়ার কারণ হিসেবে রহমান ও সায়রা জানান, অগাধ প্রেমের অভাব নয়, মানসিক চাপ ও নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব তৈরি হওয়াতেই তারা বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন।
আরটিভি/এএ-টি
আজ ঢাকার মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম ঢাকার মঞ্চ মাতাবেন আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)। রাতে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে গাইবেন তিনি। এ উপলক্ষে গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে ঢাকায় পৌঁছেছেন আতিফ।
কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন জানায়, আজ রাত আটটার পর মঞ্চে উঠবেন আতিফ। এর আগেও বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসেছেন তিনি।
কনসার্টে আতিফ ছাড়াও আরও পারফর্ম করবেন পাকিস্তানি তরুণ শিল্পী আবদুল হান্নান, বাংলাদেশের তাহসান খান ও ব্যান্ড কাকতাল। এ ছাড়া এই কনসার্টে বিশেষ চমক থাকবে, যা এখনই প্রকাশ করছে না আয়োজক কমিটি।
বিকেল পাঁচটা থেকে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে কনসার্টটি। দুপুর ১টায় দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে।
আরটিভি/এইচএসকে/এস
প্রতি কনসার্টে কত টাকা পারিশ্রমিক নেন আতিফ আসলাম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অগণিত দর্শক। বাংলাদেশেও নেহাত কম নয় গায়কের ভক্তের সংখ্যা। প্রতিনিয়তই কনসার্টে গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শক মাতান তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে পারফর্ম করেন আতিফ।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে গান গাইবেন তিনি। এতে প্রথম সারির জন্য টিকিট মূল্য ৪৫০০ টাকা এবং আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে সাধারণ সারির টিকিট। তবে প্রতি কনসার্টে আতিফ কত টাকা পারিশ্রমিক নেন, সে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই তার ভক্তদের।
বলিউড সাদি’স ডটকম প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বাইরে প্রতি কনসার্টের জন্য প্রায় ২ কোটি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন আতিফ। তবে পাকিস্তানে প্রায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন এই গায়ক।
বিভিন্ন ক্যাফেতে গিয়ে গান শুনিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল আতিফের। সেখান থেকে যা আয় হতো তাই দিয়ে চলত। এরপর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠান-কনসার্ট থেকে ডাক পেতে শুরু করেন আতিফ।
ধারাবাহিক থেকেও গানের জন্য ডাক পান তিনি। সিরিয়ালে গান গেয়ে ভাগ্য ফেরে তার। এক একটি গানের জন্য ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা নিতে শুরু করেন এই গায়ক। ধারাবাহিকের পাশাপাশি সিনেমাতেও বাড়তে থাকে আতিফের চাহিদা।
একটা সময় আসে যখন ভক্তদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে যান আতিফ। তখন দরও বাড়তে থাকে গায়কের। আতিফের স্ট্রাগলের দিন খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের সব থেকে ধনী গায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।
আরটিভি/এইচএসকে/এস
মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যা বললেন এ আর রহমান
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তিনি।
বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সবকিছুরই একটা অজানা সমাপ্তি আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েও অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর আগের মতো হবে না। আমাদের বন্ধুদের বলি, যখন আমরা এই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন বলে ধন্যবাদ।
এদিকে বিচ্ছেদ ও পরকীয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ায় তোলপার শুরু হয়েছে। এবার মানসিক স্বাস্থ্যে সুরের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেন রহমান। সঙ্গীত বেশ কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের কাজ করতে পারে। তার কথায়, আমাদের অনেকেরই আজকাল মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। অবসাদ গ্রাস করে প্রায়শই। আমাদের সকলের মধ্যেই শূন্যতা কাজ করে। কখনও গল্প শুনে, কখনও দর্শন পড়ে অথবা কখনও ওষুধ খেয়ে এই শূন্যতা দূর করা যায়। হিংসা বা যৌনতার মতো শারীরিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোই সব নয়। জীবনের পরিধি এর থেকেও অনেক বড়।
এই প্রসঙ্গে রহমান জানান, সঙ্গীত মনে শান্তি জোগাতে সক্ষম। এর আগেও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছিলেন এআর রহমান। একটা সময় নাকি আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল এআর রহমানের। শিল্পীর পাশে ছিলেন তার প্রয়াত মা। তার সঙ্গে কথা বলেই কোনো রকমে এই ধরনের চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, পুরনো এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন রহমান।
সেই সাক্ষাৎকারে এ আর রহমান বলেছিলেন, অন্যের জন্য বাঁচলে, আত্মহত্যার মতো ভাবনা মাথায় আসে না। আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া সেরা পরামর্শ এটাই। অন্যের জন্য বাঁচার অর্থ, আপনি স্বার্থপর নন। তার মানে, জীবনেরও অর্থ রয়েছে। এই পরামর্শকে আমি খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলাম।
আরটিভি /এএ/এআর