ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হওয়া দেশের জন্য ইতিবাচক। এমনটাই মনে করছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা।
এই সুযোগে নিজস্বভাবে গরু পালন করে স্বনির্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি, মাংসের সংকট দূর করে, দামের লাগাম টেনে ধরাও সম্ভব।
তবে দেশের প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে দরকার প্রায় ১৫ হাজার গরু। বিপুল এই চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ বেশ কম থাকায় মাংস কিনতে সাধারণ ভোক্তাদের গুণতে হচ্ছে অনেক বেশি টাকা।
এদিকে অর্থনীতিবিদদের মতে, কয়েক মাস ধরে আকাশচুম্বী হয়ে থাকা গরুর মাংসের দামের কারণে টালমাটাল, নিত্যপণ্যের বাজারও।এজন্য, প্রতিবেশী দেশের ওপর বেশি নির্ভরশীলতাকে দায়ী করলেন তারা।
তবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, পশুপালনে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থা জোরদার না করলে, সামনে আরো দাম বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গরুর মাংস উৎপাদন বাড়াতে পারলে আমিষের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি অনেক লোকের কর্মসংস্থানও হবে।
এছাড়া দেশে গরুর মাংসের দাম আশপাশের দেশগুলোর চে’অনেক বেশি হওয়ায় সংকট উত্তরণে সাময়িক সময়ের জন্য মাংস আমদানির পরামর্শও দেন এই বিশ্লেষক।
তিনি বলেন, গরুর মাংসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে সরকারিভাবে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। সে সঙ্গে দাম নিয়ে অস্থিরতা দূর করতে নিয়মিত বাজার তদারকিও করতে হবে।
আরকে