কাগজে-কলমে ‘অত্যন্ত সংরক্ষিত’ বাস্তবে অরক্ষিত ডিএনডি খাল
রাজধানীবাসীর পানি সরবরাহের সবচেয়ে বড় উৎস ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা বাঁধের ভেতরে ডেমরা সড়কের গাঁ ঘেষে প্রবাহিত ডিএনডি খাল। ওয়াসার মালিকানায় থাকা এই খালের পানি সায়দাবাদ শোধনাগারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।
কাগজে-কলমে খালটি অত্যন্ত সংরক্ষিত হলেও বাস্তব পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। পুরো খালজুড়ে ময়লার স্তুপ। নিরাপত্তা বেস্টনিও জায়গায় জায়গায় ভাঙা। সেই সুযোগে কেউ কেউ একে গণশৌচাগার হিসেবেও ব্যবহার করছেন। আবার কেউবা এই খালে মাছ ধরেই জীবন চালান।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এলাকার ড্রেনের পানি খালে ফেলা বন্ধ করতে খালের পাশেই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ চলছে। কিন্তু বাস্তবে, ‘যেই লাউ সেই কদু’। বিভিন্ন জায়গায় পাম্প বসিয়ে খালেই ফেলা হচ্ছে ড্রেনের নোংরা পানি।
এমন পরিস্থিতিতে ডিএনডি খাল অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে খাল সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এছাড়াও পানি বিশুদ্ধ রেখে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটিকে আরেকটি হাতিরঝিল বানানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে শাহরিয়ার স্টিল মিলস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মাসুদুল আলম মাসুদ বলেন, খালের দুপাশে রাস্তা করে এটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলা যায়। এতে বড়দের পাশাপশি ছোটদেরও বিনোদনের ব্যবস্থা হবে।
খালের পানি রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান। তিনি বলেন, খাল রক্ষায় স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝেও সচেতনা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
অন্যদিকে খালটি সংরক্ষণে ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল। তিনি বলেন, খালের পানি যাতে কোনোভাবেই দূষিত না হয় সেই বিষয়টি ওয়াসাকে প্রায়ই অভিহিত করা হয়।
তবে এসব এলাকা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে নতুন যুক্ত হওয়ায় খাল রক্ষায় তাদেরও দায়িত্ব বাড়ার কথা স্বীকার করেছেন খান মোহাম্মদ বিলাল।
আরও পড়ুন:
এসএইচ/জেএইচ
মন্তব্য করুন