তিনগুণ বেশি বিমান ভাড়া ধরে হজ প্যাকেজ অযৌক্তিক
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে তিনগুণ বেশি বিমান ভাড়া ধরে হজ প্যাকেজ ঘোষণাকে অযৌক্তিক বলছে হজ এজেন্সিগুলো।
তাদের অভিযোগ কেবল দুটি এয়ারলাইন্সের মধ্যে হজযাত্রী পরিবহন সীমাবদ্ধ রাখায় মনোপলি তৈরি হয়েছে। অস্বাভাবিক বিমানভাড়া নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ও। সব জেনেও নিশ্চুপ বিমান মন্ত্রণালয়।
গেলো সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ২০১৮ সালের হজ প্যাকেজে সর্বনিম্ন তিন লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
যাতে বিমানভাড়া ধরা হয় এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা। অথচ বছরের অন্যান্য সময়ে সৌদি আরব যেতে একজন যাত্রীর লাগে ৩৮ থেকে সর্বোচ্চ ৪২ হাজার টাকা।
যার অর্থ হজের সময় বিমানা ভাড়া বাড়বে প্রায় সাড়ে তিনগুণ। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ফিরতি টিকিটসহ হজের সময় বিমানভাড়া পড়ে ৭০ থেকে ৭২ হাজার টাকা।
আলী এয়ার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর হোসাইন আহমেদ মজুমদার বলেন, যিনি সৌদি আরবে যাচ্ছেন চাকরি করার জন্য।
তিনি ইকোনমিকন ক্লাসে ৪২ হাজার টাকায় যাচ্ছেন। একই ক্লাসে আমরা ফিরতি ফ্লাইটসহ ওমরার জন্য পাঠাচ্ছি ৫২ হাজার টাকায়। কিন্তু একই ফ্লাইটের একই সিটে হজের জন্য কেন ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা হবে?
হাবের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বলেন, যদি থার্ড ক্যারিয়ারটা ওপেন হতো তাহলে এই যে স্বেচ্ছাচারিতা, দুইটি মাত্র এয়ার লাইন্সের ওপর নির্ভরশীলতা এবং হাজিদেরকে জিম্মি করা এই বিষয়টির অবসান ঘটতো।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশান অফ বাংলাদেশ হাবের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন তসলিমের অভিযোগ বিষয়টি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বারবার তোলা হলেও সুরাহা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বলা হয়েছে কোনোভাবেই বিমান ভাড়া যেন বাড়ানো না হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তার বিরোধিতা করেছে। আমরাও করেছি। বিমান কর্ণপাত করেনি। কিন্তু ভাড়া নির্ধারণের এখতিয়ার বিমানের নেই।
এ অবস্থায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, অতিরিক্ত বিমানভাড়া নিয়ে তাদেরও আপত্তি ছিল।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছি ভাড়া যেন যৌক্তিক থাকে। কিন্তু আমাদের বলাতে তো আর সবকিছু হবে না।
তবে এ নিয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলেও কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:
- লাগাম নেই খেলাপি ঋণে
- যেসব কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা
জেবি/এমকে
মন্তব্য করুন