এতো মরা মুরগি কোথায় যায়?
রাজধানীর অনেক হোটেল ও ফাস্টফুডের দোকানে খাওয়ানো হচ্ছে মরা মুরগি। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে কয়েকটি অসাধু চক্র নগরজুড়ে গড়ে তুলেছে মরা মুরগির বাজার। ব্যবসায়ী, খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে হোটেল, বাসা-বাড়িতে গড়ে ওঠা মেসের বুয়ারাও জড়িত চক্রের সঙ্গে।
প্রতিদিন সারা দেশ থেকে রাজধানীতে আসা মুরগির গাড়িগুলোতে মারা যাওয়া শতশত মুরগি কোথায় যায়? নগরীর ডাস্টবিনগুলোতে-তো কখনো এগুলোকে পাওয়া যায় না!
নাকি ফাস্টফুডের দোকান, হোটেলগুলোতে মুখরোচক সুস্বাদু যে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে, সেগুলো তৈরি হচ্ছে এসব মুরগি দিয়ে-ই?
কারণ অনুসন্ধানে নামে আরটিভি সংবাদ দল। রাত সাড়ে তিনটা, স্থান- রাজধানীর কাপ্তানবাজার। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছে শত শত মুরগির গাড়ি। প্রতিটি গাড়ির ওপরেই মৃত মুরগি। কিন্তু সকাল হতেই সব উধাও!
সিটি কর্পোরেশনের এক ডাস্টবিন পরিচ্ছন্নকর্মী বলেন, প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ মুরগি মরে। সকাল থেকে শুরু হয় মরা মুরগি সরানোর কাজ।
তাহলে মধ্যরাতে কারা মরা মুরগি নিয়ে যায়?
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : হতাশায় পোল্ট্রি খামারিরা, এন্টিবায়োটিকের জোরে ফুলছে ওষুধ কোম্পানি
-------------------------------------------------------
সরেজমিনে দেখা যায়, রাত সাড়ে তিনটা থেকে শুরু হয় মরা মুরগি সংগ্রহ। কিছু চলে যায় বাজারের অলিগলিতে। বাকিগুলো জমা করে রাখা হয় ঢাকা ও তার আশপাশের জন্য!
রিক্সাভ্যান অনুসরণ করে কামরাঙ্গীর চরের খাল পাড়ে যায় আরটিভি’র সংবাদ দল। হাতে-নাতে ধরা পড়ে গোলাম বাজারের এক মরা মুরগি বিক্রেতা। এসময় ওই বিক্রেতা আরটিভির কাছে এ ধরনের ভুল হবে না বলে জানান।
শুধু কি কামরাঙ্গীরচরেই বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগি? প্রতিদিন কাপ্তানবাজারে কমপক্ষে একশ’ গাড়ি আসে। প্রতিটিতে কমপক্ষে পাঁচটি কোরে ধরলেও ৫০০ মরা মুরগি থাকার কথা ডাস্টবিনে। তাহলে কোথায় যাচ্ছে এসব মুরগি? কারাই বা এর সঙ্গে জড়িত? সে সব কথা জানা যাবে আগামীকাল রোববারের প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন :
- পোল্ট্রি শিল্পে চামড়ার বিষাক্ত বর্জ্য ও এন্টিবায়োটিক, ঢুকছে মানবদেহে
- মহাসড়কে ফিটনেস গাড়ি ও লাইসেন্সের বড় সংকট
এসআর
মন্তব্য করুন