নষ্ট হচ্ছে জনগণের করের টাকা
বাতির জায়গায় বাতি জ্বলে, গাড়ি চলে ইশারায় (ভিডিও)
প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয় ও লাখ টাকা রক্ষণাবেক্ষণ খরচের সিগন্যাল বাতির পুরোটাই ডুবতে বসেছে। কাজের কাজ তো হচ্ছেই না, বরং নষ্ট হতে বসেছে কোটি টাকার সম্পদ। হাতের ইশরায় চলছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশাল জনগোষ্ঠীকে শৃঙ্খলায় আনতে উন্নত বিশ্বের মতো কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যার শুরুটা হতে হবে পারিবারে, আর পরের দায়িত্ব পালন করবে রাষ্ট্র।
২০০১-০২ সালে বিশ্বব্যাংকের ২৫ কোটি টাকায়, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বাতি বসানোর কার্যক্রম হাতে নেয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে। যার ৬০টি এখনকার উত্তরে, আর ৪০টি দক্ষিণে। ২০০৯ সালে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখলেও দুই বছরের মাথায় ত্রুটি দেখা দেয়।
পরে ২০১৩ সালে আরও ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সোলার সিস্টেম সময় নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বসানোর কাজ হাতে নেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে ৩৫টি সিগন্যাল বাতি চালু হলেও এখন সেগুলো কার্যত অচল। নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি খোয়াও যাচ্ছে নাগরিকের করের টাকায় কেনা বাতিগুলো।
উন্নত বিশ্বে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যেখানে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার হয় সেখানে এই নগরীতে বাতির জায়গায় বাতি জ্বলে, গাড়ি চলে ইশারায়।
একমাত্র উত্তর সিটির গুলশান ২-এ সিগন্যাল বাতি কার্যকর। এর বাইরে রাজধানীর আর কোথাও চোখে পড়ে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় উত্তর-দক্ষিণমুখি রাস্তা পর্যাপ্ত থাকলেও, পূর্ব-পশ্চিমমুখী রাস্তা কম থাকায়, সমস্যা হচ্ছে।
সিগন্যাল বাতির মালিক সিটি কর্পোরেশন বলছে, বাতি লাগানোর দায়িত্ব তাদের হলেও মানানোর দায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের।
আর, ট্রাফিক বিভাগ বলছে, পুরোপুরি দায়িত্ব না পেলে, সিগন্যাল বাতি কার্যকর করা কঠিন।
সিগান্যাল বাতি দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে জানালেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন :
এসআর
মন্তব্য করুন