ঐক্যফ্রন্টেই এগোবে সরকার বিরোধী আন্দোলন
সরকারের একটি অংশসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল শিগগিরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবে। এমন দাবি করলেন, ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বিকল্পধারাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, কেউ নিজের ইচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে গেলে, করার কিছু নেই। তবে কাউকে বের করে দেয়ার মানসিকতা ঐক্যফ্রন্টের নেই।
অন্যদিকে, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এই জোট আন্দোলনের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে।
‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’ গঠনের এক মাসের মাথায় শনিবার ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। অবশ্য এর গঠন প্রক্রিয়ার শুরুতেই ছিল ভাঙ্গনের সুর। মান-অভিমান ও শর্তের বেড়াজালে আটকে বারবার ছন্দপতন ঘটে। এক সময় বিকল্পধারাকে বাদ রেখেই বিএনপির সঙ্গে গঠিত হয় ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’।
পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যে না থাকার কথা জানান বিকল্পধারার সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
কর্তৃত্ববাদী সরকারের অবসান ঘটিয়ে, সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ হয়েছে, জানালেন ফ্রন্টের নেতারা।
এ বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলছেন, সরকারের একটি অংশসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল শিগগিরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবে। কেউ নিজের ইচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে গেলে করার কিছু নেই। তবে কাউকে বের করে দেয়ার মানসিকতা ঐক্যফ্রন্টের নেই।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট পথচলা শুরু করলে সরকারের সঙ্গে কেউ থাকবে না। সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে শিগগিরই সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলছেন, এই জোট আন্দোলনের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। এই জোটই ভবিষ্যতের সরকার বিরোধী আন্দোলনকে এগিয়ে নেবে।
যদিও এই ঐক্য স্বাধীনতাবিরোধীদের আবারো ক্ষমতায় বসানোর জন্য বলে মনে করে বিকল্পধারার যুগ্ন মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী।
আরও পড়ুন :
এসজে/এসএস
মন্তব্য করুন