তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ইইউ’র
ভালো ব্যবহার করলে পুরস্কার, উস্কানি ও চাপের নীতি নিয়ে চললে নিষেধাজ্ঞা। তুরস্ককে চাপে রাখতে এই নীতি নিয়েই চলবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ। ইইউ’র এক বৈঠকে ২৭টি দেশ তুরস্কের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছে। খবর ডয়চে ভেলের।
আঙ্কারা সমানে বিভিন্ন আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে পড়ায় তুরস্কের বিরুদ্ধে ইইউ এই হুমকি দিয়েছে। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতে তুরস্ক জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা আজারবাইজানের পক্ষ নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে এবং আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ।
তুরস্ক অবশ্য তা অস্বীকার করেছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অশোধিত তেল তোলা নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। কাশ্মীর নিয়েও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ান সম্প্রতি রীতিমতো সোচ্চার হয়েছেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, আমরা তুরস্কের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চাই। এতে আঙ্কারার স্বার্থও বজায় থাকবে। আমরা চাই, তুরস্ক যেন একতরফা উস্কানি ও চাপের নীতি না নেয়।
উরসুলা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এরপরও যদি তুরস্ক আগের নীতি নিয়ে চলে, তা হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাতে থাকা সব ব্যবস্থা নেব। সব বিকল্প খোলা থাকবে।
এদিকে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য একটা রেড লাইন তৈরি করে দিতে হবে। সেই রেখা অতিক্রম করলেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে তুরস্কের বিরুদ্ধে।
তবে ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তুরস্ক তাদের নীতি থেকে সরে এলে তাদের ইনসেনটিভ দেয়া হবে। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করা হবে, অভিবাসন নীতিও উন্নত করা হবে।
অন্যদিকে বৈঠকে ইইউ’র তীব্র সমালোচনা করেছেন এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, ইইউ’র কাঠামো অকার্যকর, দিগন্তহীন, এবং অগভীর। তারা গ্রিস ও সাইপ্রাসের অহংকারের সামনে দাসে পরিণত হয়েছে। তারপর অবশ্য এরদোয়ান জানিয়েছেন, তিনি আলোচনা ও বিরোধ মেটানোর ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ।
এ
মন্তব্য করুন