নাগর্নো-কারাবাখের গুরুত্বপূর্ণ শহর আজারবাইজানের দখলে
আরও গভীর হচ্ছে নাগর্নো-কারাবাখ সংকট। আর্মেনিয়ার সেনা, আর্মেনিয়ার মদতপুষ্ট নাগর্নো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা এবং আজারবাইজানের বাহিনীর মধ্যে একমাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার দুইপক্ষের মধ্যে শান্তিচুক্তি করানোর চেষ্টা করেছে। খবর ডয়চে ভেলের।
তবে চুক্তিতে সই করলেও বাস্তবে যুদ্ধ বন্ধ করেনি কোনও পক্ষই। দুইপক্ষই একের পর এক শহর ধ্বংস করেছে। এতে গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এরই মধ্যে রোববার আজারবাইজানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা নাগর্নো-কারাবাখের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করেছে।
রোববার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, নাগর্নো-কারাবাখের শহর শুশা এখন আজারবাইজানের দখলে। আর্মেনিয়ার ভাষায় এই শহরটিরই নাম শুশি।
তবে আর্মেনিয়ার প্রশাসন এবং সেনাবাহিনী এই তথ্য স্বীকার করেনি। বরং তাদের বক্তব্য হচ্ছে যে, শুশি অঞ্চলে দুই দেশের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ চলছে। আজারবাইজারের বাহিনী শহরটির দখল নিতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই যুদ্ধে শুশা বা শুশি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত শহর। নাগর্নো-কারাবাখের রাজধানীর ঠিক পেছনে একটি পাহাড়ের উপর শুশা বা শুশি শহরটির অবস্থান। তাই আজারবাইজানের বাহিনী সত্যিই শহরটির দখল নিলে তা যুদ্ধে বিরাট জয় হিসেবেই দেখতে হবে।
তারা বলছে, শহরটি আজারবাইজানের দখলে এলে সেখান থেকে খুব সহজেই রাজধানী শহর আক্রমণ করা যাবে। ক্রমাগত নজরদারি চালানো যাবে রাজধানীতে ঢোকার মূল রাস্তার উপরও। সে কারণেই শুশি জয় এই যুদ্ধে এত গুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিকভাবে নাগর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের এলাকা। কিন্তু এথনিক আর্মেনিয়ানদের একটি গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরেই আর্মেনিয়ার মদতে সেখানে স্বাধীন প্রশাসন চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে আর্মেনিয়ার বিরোধ দীর্ঘ দিনের। তবে গত দেড় মাসে এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ
মন্তব্য করুন