ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে চায় পাকিস্তান আর্মি
সম্প্রতি পাকিস্তানের বেসরকারি জিএনএন টিভি চ্যানেলে এক এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের ওপর চাপ রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশও কি পাকিস্তানকে চাপ দিচ্ছে এমন প্রশ্ন করায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেলেও তা সামলে ইমরান খান জানান, ‘সব কথা সব সময় বলা যায় না। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো’।
তবে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ বিকিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি নিয়ে তিনি ভাবছেন না। তবে ইমরান খান এটাও বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে অনেক সময় আপোষ করতে হয়। নবীও বৃহত্তর স্বার্থে হুদাইবিয়ার চুক্তি করেছিলেন।
তবে কোন মুসলিম বন্ধু রাষ্ট্রের চাপ আছে তা সে সম্পর্কে ইমরান খান কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও কোন দেশটি হতে পারে তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলে।
তবে বিবিসির খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক কানওয়ার খুলদুন শহিদ ইসরায়েলি দৈনিক হারেতজে এক মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছেন - চাপ দিচ্ছে এমন যে ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশের নাম ইমরান খান করতে চাননি সেই দেশটি সৌদি আরব।
তিনি বলেন, সৌদির ওপর পাকিস্তানের অর্থনৈতিক নির্ভরতার সুযোগ তারা নিতেই পারে। পাকিস্তানের প্রায় ২০০ কোটি ডলারের জরুরি ঋণ সাহায্য সৌদি আরব আটকে রেখেছে যা পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি আরও লিখেছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পক্ষে। তার মতে, সেনাবাহিনী মনে করে তাতে ভারত-ইসরায়েল কৌশলগত সম্পর্কে কিছুটা হলেও ভারসাম্য আনা যাবে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমেও সৌদি আরব ইসরায়েল নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান বদলের চেষ্টা করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং পাঞ্জাবের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হাসান আসকারি রিজভি বিবিসি বাংলাকে বলেন, সৌদি আরব পাকিস্তানের ওপর এসব স্পর্শকাতর বিষয়ে কতটা চাপ দিতে পারে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে ওয়াশিংটন যদি এ নিয়ে পাকিস্তানকে কিছু বলে থেকে তাতে তিনি অবাক হবো না।
তবে হাসান রিজভি এটাও বলেন যে, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ইসরায়েল বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নেয়া ইমরান খানের জন্য ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা‘ হবে।
এমকে
মন্তব্য করুন