দু’ঘণ্টা ধরে আটকে মমতা, গভর্নরকে ফোন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানকার হেভিওয়েট আসন নন্দীগ্রাম। এ আসনে ভোট গ্রহণের সময় তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাকালে সেখানে আটকা পড়েন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
তখন ঘটনাস্থল থেকে তিনি গভর্নর জগদীপ ধানগড়কে ফোন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী।
এ নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মমতা ব্যানার্জী। এখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। নিজের সাবেক সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতা। বৃহস্পতিবার এই আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়ে হুইলচেয়ারে করে নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছেন মমতা। বৃহস্পতিবার এই আসনের ভোট পর্যবেক্ষণ করতে নন্দীগ্রামের রায়পাড়ায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি কর্মীরা বুথ দখল ও ভোট জালিয়াতি করছে অভিযোগ পেয়ে বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন তিনি। পরে বয়াল এলাকায় পৌঁছে তার দলের এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ঘিরে ধরে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেওয়া শুরু করেন বিজেপি সমর্থকেরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।
দুই পক্ষের উত্তেজনার মধ্যে জেড-প্লাস নিরাপত্তা পাওয়া মমতা একটি বুথে আশ্রয় নেন। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বাইরে তখন দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের এই উত্তেজনার মধ্যে পড়ে দুই ঘণ্টা ওই পোলিং বুথে কাটাতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
ঘটনাস্থল থেকেই গভর্নর জগদীপ ধানগড়কে ফোন করেন মমতা। নিজের জীবন শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনও মুহূর্তে যেকোনও কিছু ঘটে যেতে পারে... এখানে আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।’ পরে তাকে পাহারা দিয়ে বাইরে বের করে আনে নিরাপত্তা বাহিনী। টেলিগ্রাফ
টিএস
মন্তব্য করুন