ঢাকাশনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

করোনা সারানোর ওষুধের নামে বিষ খাইয়ে তিনজনকে খু'ন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১১:১৪ পিএম


loading/img
সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের ওষুধের নামে বিষ খাইয়ে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুর এডোরে। পুলিশ এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ৪৩ বছর বয়সী আর কল্যাণসুন্দরম। তিনি কিঝভানি গ্রামের বাসিন্দা। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

বিজ্ঞাপন

কয়েক মাস আগে করুণগোদানভালাসুর গ্রামের করুপ্পানাকোন্দরের কাছ থেকে ১৫ লাখ রুপি ধার করেছিলেন কল্যাণসুন্দরম। তবে ঋণ শোধ করতে না পারায় এবং বার বার টাকা শোধ করার চাপের জেরে করুপ্পানাকোন্দরকে একেবারে শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি।

এজন্য শবরী নামের ২৫ বছরের এক যুবতীর সাহায্য নেন কল্যাণসুন্দরম। শবরীকে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী সাজিয়ে করোনামুক্তির ওষুধ দেয়া হয় চার সদস্যের ওই পরিবারকে। গত ২৬ জুন পালস অক্সিমিটার ও থার্মোমিটার নিয়ে করুপ্পানাকোন্দরের বাড়ি গিয়েছিলেন শবরী।

বিজ্ঞাপন

তাদের পরিবারের কারও সর্দি, জ্বর রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার নাটক করেন তিনি। এরপরই কোভিড-১৯ হবে না জানিয়ে ওই ওষুধগুলো খেতে বলেন করুপ্পানাকোন্দরের পরিবারকে। করুপ্পানাকোন্দর, তার স্ত্রী মল্লিকা ও মেয়ে দীপা এবং বাড়ির পরিচারক কুপ্পল ওই ওষুধ খেয়েছিলেন। তারপরই চারজন জ্ঞান হারান।

প্রতিবেশীরা চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মল্লিকার মৃত্যু হয়। দীপা ও কুপ্পল পরদিন মারা যান। করুপ্পানাকোন্দর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রোববার রাতে কল্যাণসুন্দরম ও শবরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের ডিএসপি জানিয়েছেন, কল্যাণসুন্দরম ও শবরী মিলে এই পরিকল্পনা করেছিলেন। তারাই ওই পরিবারকে বিষ মেশানো ওষুধ খাইয়েছিলেন। ওই দুজনকে পেরুনদুরাই আদালতে তোলা হলে ১৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |