বাংলাদেশসহ ৫৭টি মুসলিম দেশের খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তারা ইউরোপের দেশ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে যেতে শুরু করেছেন। উদ্দেশ চতুর্থ ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে অংশ নেয়া।
এ আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে ৪৯ সদস্যের বহর। সাঁতার, অ্যাথলেটিক, শুটিং, ভারোত্তোলন, কুস্তি, জিমন্যাস্টিকস, কারাতে ও জুরখানেহতে অংশ নিবেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
এবারের আসরে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছেন আমেরিকার প্রবাসী অ্যাথলেট আলিদা শিকদার। লং জাম্প ও ১০০ মিটার স্প্রিন্টে থাকছেন তিনি।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু বলেছেন, অ্যাসোসিয়েশন তাকে (আলিদা) নিয়ে আশাবাদী।
গেলো বছরের দুটি বড় ইভেন্টে খেলার প্রবল ইচ্ছে থাকলেও ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি আলিদার। শিলংয়ে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে তাকে খেলোনো নিয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের অনুমতি না পাওয়ায় এসএ গেমসে সুযোগ পাননি তিনি। পরে সে বছরের আগস্টে হওয়া রিও অলিম্পিকের জন্য আবেদন করেন। নির্ধারিত সময় না থাকায় সেবারও সুযোগ পাননি আলিদা।
তবে সব ঝুট-ঝামেলা পেরিয়ে সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী শুক্রবার বাকুর উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। লস অ্যাঞ্জেলসে গেলো ৮ মাস ধরে ট্রেনিং নিচ্ছেন আলিদা। ট্রেনিং চলাকালে স্যানডিয়েগোতে থাকা পরিবারের সঙ্গেও দেখা হয়নি তার।
সুযোগ পেয়ে আলিদার লক্ষ্য দেশের জন্য স্বর্ণ জয়। দেশের জন্য ইতিহাস গড়তে চান তিনি।
আলিদা আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমেরিকান দুই কোচের তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং নিয়েছেন। বাকুতে ভালো করার পাশাপাশি লক্ষ্য ২০২০ অলিম্পিক ও কমনওয়েলথে যোগ দেয়া।
আলিদা বলেন, পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধুরা সবাই আমার জন্য গর্ববোধ করেন। গেলো ৮ মাস ধরে তাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। তারা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন।
সলিডারিটি গেমসের মার্চ পাস্টে লাল সবুজের পতাকা থাকবে সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলার হাতে। এসএ গেমসে জোড়া সোনা জেতার পুরস্কার হিসেবেই এই সম্মান পাচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজন চলবে ২২ মে পর্যন্ত। ১৮ ডিসিপ্লিনের আটটিতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ৩০ জন ক্রীড়াবিদের সঙ্গে যাচ্ছেন ৯ কোচ ও ৪ কর্মকর্তা।
ওয়াই/এসএস