আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বপ্নের ফাইনালে ওঠার পথে বৃহস্পতিবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত বাধার সম্মুক্ষীন হবে বাংলাদেশ। বার্মিংহামের এজবাস্টনে খেলাটি শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৩টায়। প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের শেষ চারে ওঠা টাইগারদের সামনে সুযোগ শিরোপা লড়াইয়ের শেষ দু’দলের মধ্যে জায়গা করে নেয়ার। তবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলতে মুখিয়ে ‘মেন ইন ব্লু’রা।
সবচে’ বড় ম্যাচ নাকি সুযোগ, চাপ নাকি উপভোগ, আরো কিছুর আকাঙ্ক্ষা নাকি আত্মতৃপ্তি; এমনই নানা রোমাঞ্চকর প্রশ্নের সামনে টিম বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল এ মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে টাইগারদের জন্য। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে লড়াইটা তাই টাইগারদের ভেতরেই বেশি।
তিন বছর ধরে পারফম্যান্সের যে গ্রাফটা এঁকেছেন মাশরাফি-সাকিবরা, সেই অধ্যায়ের নতুন অনুচ্ছেদ যেন এ ম্যাচ। সেখানে তুলির আঁচড় দিতে ব্যাট হাতে প্রস্তুত তামিম-সাকিব-মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু সৌম্য-সাব্বিরের রংহীনতা বড় ভাবনার বিষয় টিম বাংলাদেশের। মাশরাফি-রুবেলে পেস আক্রমণ শানালেও বর্ণিল মুস্তাফিজকে এখনো ফিরে পাওয়ার প্রতীক্ষায় টাইগার ভক্তরা। ডেথ ওভারে রানের ক্ষেত্রে আরো রং চড়ানোর ব্যাপারটা মাথায় রাখতেই হচ্ছে হাথুরুসিংহকে। আর বড় ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেয়ার রং- ফিল্ডিংটা নিখুঁত করার বিকল্প তো নেই-ই।
এ ম্যাচে চাপটা অবশ্য বেশি ভারতের ওপরই। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এখনো কোনো বৈশ্বিক আসরে সেমিফাইনাল না খেলা দলের বিপক্ষে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে বিরাট কোহলি-শিখর ধাওয়ানদের। তবে বিশ্বের সেরা ব্যাটিংলাইন নিয়ে টাইগার বোলিংকে বর্ণহীন করে দেয়ার পরিকল্পনা সেরে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। আর ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরা, উমেশ যাদবদের নিয়ে ভারতের পেস আক্রমণটা ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি বর্ণময়। অশ্বিন-জাদেজার স্পিন তো রয়েছেই।
এমন মঞ্চে রং ছড়াতে টাইগারদেরকে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে-তারা এ প্রাপ্তিতেই খুশি, নাকি আরো ক্ষুধা ও আকাঙ্ক্ষা আছে-নতুন ধাপে পদার্পণের।
ডিএইচ
