লর্ডস টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অনন্য পারফরম্যান্সের সুবাদে অসাধারণ এক রেকর্ডের ভাগীদার হয়েছেন মঈন আলি। এ টেস্টে ২ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। ৩৮টি টেস্ট খেলে এমন কীর্তি গড়লেন এ ইংলিশ অলরাউন্ডার।
এর আগে এ কীর্তি গড়েন ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেব, রিচার্ড হ্যাডলি, জ্যাক ক্যালিস, ট্রেভর গডার্ড, টনি গ্রেগ, কিথ মিলার ও সাকিব আল হাসান।
তবে এ তালিকায় সবার ওপরে আছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সবচে’ দ্রুততম সময়ে এ কীর্তি গড়েন সাকিব। মাত্র ৩১ টেস্ট খেলেই ২ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব গড়েন তিনি। এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন ট্রেভর গডার্ড। ৩৬ টেস্টে এ কীর্তি গড়েন সাবেক প্রোটিয়া অলরাউন্ডার। তৃতীয় স্থানে আছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার টনি গ্রেগ ও কিথ মিলার। ৩৭টি করে টেস্ট খেলে এ রেকর্ডের অংশীদার হন তারা।
এ তালিকায় মঈনের স্থান চতুর্থ। ৩৮ টেস্ট খেলে এ রেকর্ডের অংশীদার হলেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার।
৪২ টেস্ট খেলে ২ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেয়ার নজির গড়েন আরেক ইংলিশ অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম। এ নজির স্থাপন করতে ইমরান খান ও কপিল দেবের লাগে ৫০টি করে টেস্ট। প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস এ রেকর্ড গড়তে খেলেন ৫৩ টেস্ট। আর কিউই অলরাউন্ডার রিচার্ড হ্যাডলি খেলেন ৫৪ টেস্ট।
মঈন ৬১ রান নিয়ে লর্ডস টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেন। দ্বিতীয় দিন তা টেনে নিয়ে যান ৮৭তে। সব মিলিয়ে টেস্টে তার রান ২ হাজার ১৪। আর ৯৮ উইকেট নিয়ে লর্ডস টেস্ট শুরু করেন তিনি। দ্বিতীয় দিনই ডিন এলগার ও হাশিম আমলার উইকেট নিয়ে বসে যান বোথাম-ইমরান-কপিল-সাকিবদের কাতারে।
এ ইংলিশ অলরাউন্ডারের টেস্টে অভিষেক ঘটে ২০১৪ সালে। আর সাকিবের অভিষেক হয় ২০০৭ সালে। ৭ বছর পরে টেস্ট খেলা শুরু করলেও এরই মধ্যে ৩৮ টেস্ট খেলে ফেলেছেন মঈন। আর গেলো ১০ বছরে সাকিব খেলেছেন মাত্র ৪৯ টেস্ট।
এসব টেস্ট খেলে ৪০.৯২ গড়ে ৩ হাজার ৪৭৯ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। উইকেট শিকার করেছেন ১৭৬টি। সেঞ্চুরি রয়েছে ৫টি ও হাফ সেঞ্চুরি ২১টি। সর্বোচ্চ রানের স্কোর ২১৭। চলতি বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন তিনি।
ডিএইচ