বাগেরহাটে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে ৫ শতাধিক মাছের ঘের। সেসঙ্গে শ’ শ’ পরিবার পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে অসংখ্য পানের বরজ ও বীজতলা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিয়া হায়দার জানান, টানা বর্ষণে সদর উপজেলা ও চিতলমারীতে অন্তত ৫শ’ মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। জেলার অধিকাংশ মাছের ঘের ভাসিভাসি করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ঘের তলিয়ে চাষিরা বিপুল ক্ষতির মধ্যে পড়বেন।
চাষিরা ঘেরের বাঁধ মেরামত ও বাঁধের ওপর নেট দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, গেলো এক সপ্তায় জেলায় প্রায় ৩শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ডুবে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর পানের বরজসহ আমন ধানের বীজতলা।
বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আমনের বীজতলা ও পান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।
সদর উপজেলার কাড়াপাড়া, শিংড়াই, দেওয়ালবাটি, যাত্রাপুর, বারুইপাড়া, বিষ্ণুপুর, পাটরপাড়া, ষাটগম্বুজ, বাগমারা এলাকায় কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন। বাঁধ উপচে পানি ঢুকে অসংখ্য বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। চুলায় পানি ওঠায় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, নদীর পানি রাস্তার ওপর দিয়ে এসে গ্রামে ঢুকে বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামতে পারছে না। বাড়ির উঠানে হাঁটুপানি জমে রয়েছে।
কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, তার এলাকায় অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। টানা বর্ষণে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, বাগানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়েক দিনের টানাবর্ষণে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পান ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
জেবি/এসএস