ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল নাইজেরিয়া। উপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসক ওই মূর্তি লুট করে জার্মানিকে বিক্রি করেছিল।
মঙ্গলবার নাইজেরিয়ায় রীতিমতো অনুষ্ঠান করে ২০টি ব্রোঞ্জ মূর্তি ফেরত দিয়েছে জার্মানি। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বেনিন ব্রোঞ্জ নামে পরিচিত ওই মূর্তিগুলো আগামী বছর নাইজেরিয়ার জাদুঘরে প্রদর্শন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আপাতত ২০টি মূর্তি দেওয়া হয়েছে। জার্মানির একাধিক শহরের জাদুঘরে এমন আরও অনেক মূর্তি আছে। সেগুলোও ধীরে ধীরে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জার্মান প্রশাসন।
১৮৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের উপনেবেশিক শাসক নাইজেরিয়া থেকে প্রায় এক হাজার ১৩০টি বেনিন ব্রোঞ্জ মূর্তি লুট করেছিল। ঠিক যেভাবে ভারত থেকে তারা লুট করেছিল কোহিনূর। কোহিনূর এখনও ব্রিটিশ জাদুঘরে আছে। বেনিন ব্রোঞ্জগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয় জার্মানিকে। জার্মানির বিভিন্ন শহরের জাদুঘরে ওই মূর্তিগুলো আছে।
মঙ্গলবার তার ২০টি মূর্তি ফেরত দিয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মূর্তিগুলো যাদের, তাদের ফেরত দিতে পেরে আমরা খুশি। একসময় যে ভুল হয়ে গেছিল, আমরা তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
শুধু তা-ই নয়, বেয়ারবক বলেন, এগুলো কেবল মূর্তি নয়, এগুলো এক সংস্কৃতির অঙ্গ। নাইজেরিয়ার ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই মূর্তিগুলোর সঙ্গে।
জার্মান সংস্কৃতিমন্ত্রী ক্লডিয়া রথও নাইজেরিয়া গেছেন। তিনি জানান, বাকি মূর্তিগুলোও ফেরত দেওয়া হবে।
নাইজেরিয়ার তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আলহাজি লাই মোহাম্মদ বলেন, ১০ বছর আগেও এমনটা আশা করা যায়নি। মূর্তিগুলো যে ফেরত পাওয়া যাবে, এমনটা ভাবাই যায়নি। জার্মানিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের গোড়ায় নাইজেরিয়ার জাদুঘরে এই মূর্তিগুলো প্রদর্শন করা হবে বলে জানান জাদুঘরের প্রধান।