বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় পরীক্ষাগারে ভ্রুণ নষ্ট হলে মামলা করা যাবে!
বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে হাসপাতালের পরীক্ষাগারে মানবভ্রুণ নষ্ট হলে মামলা করা যাবে এখন থেকে। কারণ, হিমায়িত মানবভ্রূণকেও বিবেচনা করা হবে শিশু হিসেবে।
সম্প্রতি এমনই এক রুল জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছেন, দুর্ঘটনাক্রমে হিমায়িত মানবভ্রূণ নষ্ট বা ধ্বংসের জন্য ব্যক্তিকে আইনগতভাবে দায়ী করা যাবে। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, প্রজনন চিকিৎসা নিয়ে তর্কবিতর্কের নতুন একটি ক্ষেত্রের সূত্রপাত ঘটিয়েছে আলাবামার সুপ্রিম কোর্টের এই রুল। আদালতের এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আইভিএফ সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বার্মিংহাম হাসপাতালের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অক্ষরাজ্যটির বৃহত্তম হাসপাতাল এটি। ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা থেকেই তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞসহ প্রজনন অধিকার গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে বলছে, আলাবামা অঙ্গরাজ্য ও তার বাইরে বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আদালতের এই রুল।
আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, তারা কৃত্রিম গর্ভধারণ পদ্ধতি আইভিএফ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে। তবে, তারা নারীদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু পুনরুদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাবে।
রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলো অবশ্য আদালতের এই রুলকে স্বাগত জানিয়েছে। ক্ষুদ্রতম ভ্রূণও আইনি সুরক্ষা পাওয়ার দাবি রাখে বলে অভিমত তাদের।
মন্তব্য করুন