ইসরায়েলে ইরানের হামলা নিয়ে যা বলল ভারত
সিরিয়ায় নিজেদের দূতাবাসে হামলার জবাবে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান। এবার প্রতিক্রিয়া জানালো ভারত।
ভারত বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধির বিষয়ে তারা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। এই সংঘাত পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
রোববার (১৪ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ইসরায়েলে ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে (উভয় পক্ষকে) সংঘাত বন্ধ, সংযম অনুশীলন, সহিংসতা থেকে সরে আসা এবং কূটনীতির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের দূতাবাসগুলো ভারতীয় কমিউনিটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করছে। এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যাবশ্যক বলেও মনে করে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।
এর আগে, গাজায় আগ্রাসনের পাশাপাশি গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে নিহত হন বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
ওই হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ নেওেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন ইরানের কর্মকর্তারা।
গত বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদের খুতবায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ইরানি দূতাবাসে হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
ইরানি হামলার আশঙ্কায় গত কয়েকদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এদিকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালি থেকে একটি ইসরাইলি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করে ইরান।
জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিকের ১৭ জনই ভারতীয়। নাবিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে এরই ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
মন্তব্য করুন