গাধার দুধ বিক্রি করে কোটিপতি, গড়ে তুলেছেন খামার (ভিডিও)
কথায় আছে টাকা থাকলে মেলে বাঘের দুধও। প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত গরু, ছাগল, মহিষের দুধ। অন্যান্য প্রাণীর মতো মানুষের খাবার উপযোগী গাধাও যে দুধ দেয় সে সম্পর্কে কজনেরই বা জানা।
যদিও গাধা নাম শুনলেই মনে হয়, এটি শুধুই বোঝা বহনকারী একটি প্রাণী। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান যতই উন্নত হচ্ছে ততই এই প্রাণীর কদর বাড়ছে।
বিজ্ঞান জানান দিচ্ছে, গাধার দুধের নানা গুণের কথা। তাই হয়তো নতুন করে এর কদর দেখা যাচ্ছে। যার প্রতি লিটার ৫-৭ হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। টাকায় যা প্রায় ৯ হাজারের বেশি। এই গাধা দিয়েই ভাগ্য ফিরিয়েছেন ভারতের গুজরাটের এক যুবক।
ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, গুজরাটে ধীরেন নামে যুবকের ভাগ্য খুলেছে এই দুধ বিক্রির মাধ্যমে। মাসে ২-৩ লাখ রুপি ইনকাম করছেন তিনি। গরুর দুধের প্রায় ৭০-৮০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাধার দুধ।
সব রেখে এই ব্যবসায় কেন ধীরেন? উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি চাকরির আশায় পড়াশোনা শেষে সেই দিকে মনোযোগ দেয়। না পেয়ে বেসরকারি চাকরির প্রতি ঝোঁক বাড়ায়। যখন সেখান থেকেও তেমন ইনকাম আসছিল না, তখন মাথায় আঁকেন ব্যবসার ছক। তখন তিনি ভাবলেন গাধার দুধ বিক্রি করবেন। ব্যাস, যেমনই পরিকল্পনা তেমনি কাজ শুরু।
ধীরেন নিজের গ্রামেই গাধার গোয়াল করেন। ২২ লাখ টাকায় ২০টা গাধা কেনেন। শুরুটা ভালো না গেলেও ৮ মাসের ব্যবধানে, আজ তার মাসিক ইনকাম লক্ষাধিক। এখন ৪২টি গাধার মালিক ধীরেন। বর্তমানে ৩৮ লাখ বিনিয়োগ আছে এই খাতে।
নিজের গ্রাম ছাড়িয়েও আরও কয়েকটি গ্রামে তার ব্যবসা সফলতার সঙ্গে চলছে। যা ছিল একসময় অতীত, তা এখন এই যুবকের জন্য ফের শিরোনামে।
একসময় গাধার দুধ ছিল বেশ জনপ্রিয়। গল্প আছে, রানি ক্লিওপেট্রা গাধার দুধে গোসল করে সৌন্দর্যের অপসরা হয়েছিলেন।
গ্রীকের একদল চিকিৎসকরা মনে করতেন যকৃতের অসুখ থেকে বিষপ্রয়োগ সবই সারিয়ে দিতে পারে এই গাধার দুধ।
মার্কিন সংস্থার বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, এই দুধ শিশুর জন্য অনেক উপকারী কোনো শিশুর গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকলে গাধার দুধ ভরসার জায়গা হতে পারে।
মন্তব্য করুন