আশ্রয়শিবিরে হামলা ‘ভয়াবহ ভুল’, তবে অভিযান চলবে: নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার রাফাহ শহরে আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদলতের (আইসিজে) রায়ের পরও সম্প্রতি সেখানকার একটি আশ্রয়শিবিরে হামলার ঘটনায় ৪৫ নিরীহ ফিলিস্তিনির মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে দখলদার ইসরায়েল সরকার। এ নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও। তাতে আশ্রয়শিবিরে হামলার ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ এক ভুল’ বলে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে, হামলা-অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও অনড় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (২৭ মে) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার (২৬ মে) রাফাহর ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত তাল আস-সুলতান এলাকার একটি আশ্রয়শিবিরে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৪৫ জন অসহায় ফিলিস্তিনি। এ ছাড়া আহত হন শতাধিক। হামলার পরপরই নিন্দার ঝড় ওঠে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, রাফাহ থেকে আমরা ইতোমধ্যে ১০ লাখ সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছি। সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি না করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যবশত কিছু একটা ভুল হয়ে গেছে। আমরা এই ঘটনা তদন্ত করছি এবং কেন এমন ঘটলো, সেটি খুঁজে বের করবো। কারণ এটি আমাদের নীতি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজা সংঘাতের মধ্যে বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষার জন্য ‘সম্ভাব্য প্রত্যেকটি বিষয়ে সতর্ক’ থাকা ইসরায়েলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সংঘাতে যারা জড়িত নন, তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
তবে নেতানিয়াহু এও ঘোষণা করেন, আমাদের সব লক্ষ্য পূরণের আগে এই যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইচ্ছা আমার নেই।
এদিকে রোববারের এই বিমান হামলার পর নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সাম্প্রতিক নির্দেশনা মেনে রাফাহতে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। রাফাহতে রোববারের বিমান হামলাটিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় জোটটির প্রধান কূটনীতিক জোসেফ বোরেল।
মন্তব্য করুন