ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান
![ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/03/image-276488-1717382512.jpg)
ফাইল ছবি
জাপানে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৩ জুন) দেশটির জাপানের মধ্যাঞ্চল ইশিকাওয়াতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) বলছে, প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্র ছিল ৫ দশমিক ৯ এবং দ্বিতীয়টি ৪ দশমিক ৮ মাত্রার। তবে, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কোনো সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
ভূমিকম্পের কারণে স্থানীয় রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে কিছু সময়রে পর আবার বেশির ভাগ রেল পরিষেবা চালু হয়।
এর আগে, গত জানুয়ারি মাসে দেশটির ইশিকাওয়া অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ভূমিকম্পে ২৪১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানা যায়।
উল্লেখ্য, জাপানে ভূমিকম্প নিত্যদিনের ঘটনা। দেশটিতে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনে থাকে।
মন্তব্য করুন
পবিত্র কাবায় স্ত্রীর সামনেই মারা গেলেন স্বামী
পবিত্র হজ করতে এসে কাবা শরীফের ভেতর স্ত্রীর সামেনেই মৃত্যুবরণ করেছেন মালয়েশিয়ার নাগরিক মোহাম্মদ জুহাইর (৫০) নামের এক হজযাত্রী। হজ করতে সৌদি আসার মাত্র ১২ ঘণ্টা পরই তার মৃত্যু হয়।
রোববার (২ জুন) এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেষ মুহূর্তে হজে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন মোহাম্মদ জুহাইরের ও তার স্ত্রী ফাওজিয়া ,দুজনই অপ্রত্যাশিতভাবে অনুমতি পেয়েছিলেন। হজে আসার আগে তার স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা ছিল না জুহাইরের। মালয়েশিয়ার অন্যান্য হজযাত্রীর সঙ্গে মক্কায় আসার পর তারা কাবা শরীফে গিয়ে প্রথমে কাবা তাওয়াফ করেন। এরপর কাবা শরীফ থেকে আল মাসরার দিকে যেতে পা বাড়ানোর পরপরই জুহাইর মাটিতে পড়ে যান। উপস্থিত চিকিৎসাকর্মীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে তিনি নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে সমর্থ হন এবং কয়েক কদম হাঁটেন। এরপর জুহাইর আবার মাটিতে পড়ে যান এবং সেখানে স্ত্রীর সামনেই তার মৃত্যু হয়।
স্ত্রী ফাওজিয়া জানান, ‘কুয়ালামপুর বিমানবন্দরে থাকা অবস্থায় জুহাইর মৃত্যু নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ আমরা হজ করতে যাচ্ছি। আমরা জানি না ফিরে আসব কিনা।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বিশ্বাস আমার স্বামী হয়তো চেয়েছিলেন জীবনটা যেন সুন্দরভাবে শেষ হয় এবং কাবায় তার মৃত্যু হয়।’
![পবিত্র কাবায় স্ত্রীর সামনেই মারা গেলেন স্বামী](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/03/image-276472-1717354759.jpg)
চুরি করতে গিয়ে এসি চালিয়ে ঘুম, জাগাল পুলিশ
ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি ফাঁকা বাড়িতে চুরি করতে এসে এসি চালু করে ঘুমিয়ে পড়ে এক চোর। ইতোমধ্যে ওই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর থানার আওতাধীন ইন্দিরা নগরের সেক্টর ২০-এ অবস্থিত সুনীল পান্ডে নামের একজন চিকিৎসকের তালাবদ্ধ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ইন্দিরানগরে তালাবদ্ধ বাড়িতে চুরি করতে ঢুকে পড়ে এক চোর। এরপর ওই বাড়িতে থাকা মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নেয় চোর। এর মধ্যে তার নজরে পড়ে এসি। তাই এসি চালু করে একটু বিশ্রাম নেওয়া শুরু করেন।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বাড়িটি ছিল এক চিকিৎসকের। ওই চোর বিশ্রামের জন্য শুয়ে পড়লে একদম সকালে জেগে ওঠে। উঠেই দেখেন তার চারপাশে পুলিশের দল।
সুনীল পান্ডে বলরামপুর হাসপাতালে কাজ করেন এবং বাড়ি ছেড়ে বারাণসীতে যান। এই সুযোগেই অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই বাড়িতে ঢুকে মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নেয়। তবে অনেক মাতাল থাকায় সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে পান্ডের প্রতিবেশীরা তার ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। আর উঁকি দিয়ে দেখতে পান, বাড়ির ভেতরে লুটপাট করা হয়েছে এবং জিনিস এদিক-সেদিক।
এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। এরপরেই পুলিশ এসে দেখতে পান, অভিযুক্ত কপিল চুরি করা মূল্যবান জিনিস নিয়ে ঘুমিয়ে আছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কপিল ওই বাড়িতে ঢুকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নেয়। সে এমনি ওয়াশবেসিন, গ্যাস সিলিন্ডার এবং ওয়াটার পাম্প চুরির চেষ্টা চালায়। তবে সে ঘুমিয়ে পড়ে।
![চুরি করতে গিয়ে এসি চালিয়ে ঘুম, জাগাল পুলিশ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/03/image-276622-1717432083.jpg)
২৯০ আসনে এগিয়ে মোদির এনডিএ, রাহুলের ইন্ডিয়া ২৩৭
ভারতের লোকসভার নির্বাচন শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোট গণনা চলছে। প্রাথমিক গণনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোট ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে। অপরদিকে রাহুলের ইন্ডিয়া ২৩৭ আসনে এগিয়ে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) কংগ্রেসের মুখপাত্র পাওয়ান খেরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, এটা একেবারে শুরুর দিকের ফল। দিনের পরের অংশে আমরা আরও ভালো ফল দেখতে পাব।
দেখা গেছে, কংগ্রেস এককভাবে ৯৭ আসনে এগিয়ে আছে। ইন্ডিয়া জোট বুথফেরত জরিপের আভাস পার করতে সক্ষম হয়েছে।
বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে প্রাথমিক তথ্যে এগিয়ে আছেন নরেন্দ্র মোদি। অমেঠী কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। অন্যদিকে গান্ধীনগরে এগিয়ে আছেন অমিত শাহ।
হামিরপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী অনুরাগ ঠাকুর, কনৌজ কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন অখিলেশ যাদব। তবে রায়বরেলী এবং ওয়েনাড় দুই কেন্দ্রেই এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
শনিবার (১ জুন) বুথফেরত জরিপের বলা হয়, মাত্র ১৪১-১৬২টি আসন পেতে পারে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। যা ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল ২১ আসনে এগিয়ে থেকে বিজয়ের আশা করছে।
এদিকে ভারতের নির্বাচন কমিশনের দাবি, প্রায় ১০০ কোটি নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৬৪ লোটি ২০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন।
দেশটিতে সরকার গঠনে লোকসভায় ৫৪৩ আসনের মধ্য ২৭২ আসনে বিজয়ী হতে হবে। দেশটিতে সাত দফার ভোটে প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা করেন কর্মকর্তারা। বর্তমানে একে একে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোট গণনা করা হচ্ছে।
এদিকে বিজয় উদ্যাপনের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে জমকালো আয়োজনের অপেক্ষায় দলের নেতাকর্মীরা।
গত আড়াই মাস ধরে মোট সাত দফায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশটির প্রধান উৎসব সাধারণ নির্বাচনে ভোট হয়েছে। এবারের নির্বাচনে নথিভুক্ত ভোটার ছিলেন প্রায় ৯৭ কোটি। এদের মধ্যে ৬৪ কোটি ২০ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন।
![২৯০ আসনে এগিয়ে মোদির এনডিএ, রাহুলের ইন্ডিয়া ২৩৭](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/04/image-276695-1717485123.jpg)
পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বুথফেরত সমীক্ষাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব হিসেব-নিকেশ উল্টে দিয়ে বাংলায় এগিয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। এই রাজ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন এই দলটি এখন পর্যন্ত ৪২টি আসনের মধ্যে ৩২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি মাত্র ১০টি আসনে এগিয়ে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ভোট গণনার শুরুতেই এগিয়ে ছিল মোদির বিজেপি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হিসেব পাল্টে গেল। আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।
আনন্দবাজারের সর্বশেষ হিসেবে দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ৩২টি আসনে। আর বিজেপি পেয়েছে ১০ আসন। কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন। এখন পর্যন্ত সিপিএমের ভাগ্যে কোন আসন জোটেনি।
বুথফেরত সমীক্ষার প্রায় প্রতিটি সংস্থা এ ইঙ্গিত দিয়েছিল, বাংলায় ২৬/২৭ আসনে এগিয়ে থাকবে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে এবার বিজেপির আসন বাড়বে। গতবারের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১৮ আসন, তৃণমূল ২২ আর কংগ্রেস পেয়েছিল ২ আসন। বাম দলের ভাগ্যে গতবারও কোনো আসন জোটেনি।
![পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/04/image-276703-1717487197.jpg)
মোদির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংশয়
ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) । সাত ধাপে টানা দেড় মাস ভোটগ্রহণ শেষে এদিন সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা পর্ব। এর আগে বুথফেরত জরিপে প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নিরঙ্কুশ জয়ের আভাস মিললেও, পাশার দান উল্টে যেতে শুরু করে ভোট গণনার দুই ঘণ্টা পেরুতেই।
প্রকৃত ফলাফলে চমক দেখিয়ে চলেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। এমনকি দুপুর গড়াতে গড়াতে এবার সংশয় দেখা দিয়েছে এককভাবে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সম্ভাবনা নিয়েই। ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৪শ’র বেশি আসন জয়ের স্লোগান নিয়ে যে প্রচারণা শুরু করেছিলেন মোদি, তা তো পূরণ হচ্ছেই না; বরং সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে যে ২৭২ আসন দরকার তা পান কি না, এবার তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
অবশ্য সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন জয়ের ব্যাপারটা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে মোদির জোট এনডিএ’র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর সবশেষ তথ্য বলছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে কম-বেশি ২৯০টি আসনে। এর মধ্যে একক দল হিসেবে বিজেপি এগিয়ে আছে ২৩৯টি আসনে। বিপরীতে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে আছে ২৩৫ আসনে। অলৌকিক কিছু না ঘটলে এখন পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান, তাতে মোদির বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সম্ভাবনা শূন্যের কোঠাতেই।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ফের একবার খেল দেখিয়ে দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। সবশেষ প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩১টিতে এগিয়ে রয়েছে তার তৃণমূল কংগ্রেস। বিপরীতে মাত্র ১০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর একটিতে এগিয়ে কংগ্রেস।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে আক্ষরিক অর্থে চমক দেখিয়ে চলেছে সমাজবাদী পার্টি। গত লোকসভা নির্বাচনে যে দলটি মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছিল, এবার তারাই কি না এগিয়ে রয়েছে ৩৮টি আসনে। বিপরীতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ত্রিশের বেশি আসনে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় এবারের লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট শেষ হয় গত ১ জুন। এরপর মঙ্গলবার ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা।
![মোদির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সংশয়](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/04/image-276720-1717494868.jpg)
বড় ব্যবধানে জিতলেন মোদি-অমিত শাহ
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। সাত ধাপে টানা দেড় মাস ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা পর্ব। এতে নিজ নিজ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
দেশটির নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ভারতের গুজরাটের বারানসী মোদি ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৩৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অজয় রায় পেয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ ভোট। অর্থাৎ, এক লাখ ৫২ হাজার ৫১৩ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন নরেন্দ্র মোদি।
অন্যদিকে, গুজরাটের গান্ধীনগর আসনে ১০ লাখ ১০ হাজার ৯৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন অমিত শাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সোনাল রামানভাই প্যাটেল পেয়েছেন দুই লাখ ৬৬ হাজার ২৫৬ ভোট। অর্থাৎ, প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় এবারের লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট শেষ হয় গত ১ জুন। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দল বা জোটের ২৭২টি আসন প্রয়োজন।
![বড় ব্যবধানে জিতলেন মোদি-অমিত শাহ](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/04/image-276748-1717503457.jpg)
২২০ আসনের ফল ঘোষণা, এগিয়ে বিজেপি
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোট ২২০টি আসনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ১১৪টিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। অন্যদিকে, ৫০টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। অন্যান্য দলগুলো বাকি আসনগুলো পেয়েছে।
১৪টি আসনে জয় পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। পাঁচটি করে আসন পেয়েছে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তিনটি আসন পেয়েছে দ্রাভিদা মুন্নেত্র কাঝাগাম (ডিএমকে) ও কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআইএম) ও আম আদমি পার্টি। দুটি করে আসনে জয় পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআইএম) ও জনতা দল (জেডি-এস)। এছাড়া একটি করে আসন পেয়েছে তেলেগু দেশাম, শিব সেনা (এসএইচএসইউবিটি), শিব সেনা (এসএইচএস), রাষ্ট্রীয় লোক দল, জম্মু এবং কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএমএস), রেভিউলেশনারী সোশালিস্ট পার্টি (আরএসপি), ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), ভয়েজ অফ দ্য পিপলস পার্টি, জোরাম পিপলস মুভমেন্ট, শিরোমনি আকালি দল, রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি, ভারত অধিবাসী পার্টি, সিকিম ক্রান্তি মোর্চা ও আজাদ সমাজ পার্টি।
ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, বিজেপি ১২২ আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৪৮ আসনে। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ২৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ২৪ আসনে।
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দল বা জোটের ২৭২টি আসন প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে এটা নিশ্চিত যে, বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারছে না। বিজেপি যেসব আসনে এগিয়ে রয়েছে, সেগুলোতে জয় ধরলেও আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৪টি। অন্যদিকে একই হিসাবে কংগ্রেসের আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ৯৮।
উল্লেখ্য, সাত ধাপে টানা দেড় মাস ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা পর্ব। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় এবারের লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট শেষ হয় গত ১ জুন।
![২২০ আসনের ফল ঘোষণা, এগিয়ে বিজেপি](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/04/image-276771-1717512924.jpg)