পাঞ্জাবে বিজয়ী হলেন ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারীর ছেলে
![](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/05/image-276839-1717562882.jpg)
উত্তর ভারতের পাঞ্জাবের ফরিদকোট লোকসভা আসনে বিজয়ী হয়েছেন ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারী বিয়ন্ত সিংয়ের ছেলে সরবজিৎ সিং।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সরবজিৎ সিং প্রায় ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এএপি পার্টির প্রার্থীকে হারিয়েছেন। এই আসনে সরবজিৎ সিংয়ের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আম আদমি পার্টির (এএপি) করমজিৎ সিং অনমোল।
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী নিজ দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হন। সেই দেহরক্ষীদের একজন ছিলেন বিয়ন্ত সিং। তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে তার বাসভবনে হত্যা করেন। এ ঘটনার প্রায় চার দশক পর পাঞ্জাবের রাজনীতিতে নামেন বিয়ন্ত সিংয়ের ছেলে সরবজিৎ সিং।
এ ঘটনার প্রায় চার দশক পর পাঞ্জাবের রাজনীতিতে নামেন বিয়ন্ত সিংয়ের ছেলে সরবজিৎ সিং।
মন্তব্য করুন
কোন দেশে কবে ঈদুল আজহা
ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি এটি। এই উৎসবটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফজরের নামাযের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে ও অব্যবহিত পরে স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে।
ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায়, ঈদুল আজহা জিলহজের ১০ তারিখে পড়ে। আন্তর্জাতিক (গ্রেগরীয়) পঞ্জিকায় তারিখ প্রতি বছর ভিন্ন হয়, সাধারণত এক বছর থেকে আরেক বছর ১০ বা ১১ দিন করে কমতে থাকে। ঈদের তারিখ স্থানীয়ভাবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইতোমধ্যে সৌদি আরবে এ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে মুসলিমদের দ্বিতীয় বড় উৎসবের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটির আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে বৃহস্পতিবার জিলহজ মাসের প্রথম দিন। এর মানে হলো সৌদি আরবে আগামী ১৬ জুন (রোববার) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে এবং ১৫ জুন হবে আরাফার দিন।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এখনো চাঁদ দেখা যায়নি। তাই এই দুই দেশে শনিবার থেকে জিলহজ মাস শুরু হবে এবং সৌদি আরবের পরের দিন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তার মানে হলো এ দুই দেশে আগামী ১৭ জুন ঈদ হবে।
বৃহস্পতিবার কাতার, কুয়েত, জর্ডান, সিরিয়া, ইরাক এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জিলহজের চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হলেও চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী ১৭ জুন দেশগুলোতে ঈদ উদযাপন করবেন মুসলিম নাগরিকরা।
এদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, মালয়েশিয়া, জাপান, হংকং, ব্রুনাইসহ অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশে চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকের তোড়জোড় শুরু করেছে। আজ এসব দেশে জিলহজের চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হবে। আজ এসব দেশে আজ চাঁদ দেখা গেলে ১৭ জুন ঈদ উদযাপিত হবে। আর যদি আজ চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ১৮ জুন ঈদ উদযাপন করা হবে।
![কোন দেশে কবে ঈদুল আজহা](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/07/image-277189-1717737603.jpg)
হজের তারিখ ঘোষণা করল সৌদি আরব
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় পবিত্র হজের তারিখ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। আগামী ১৪ জুন শুক্রবার থেকে দেশটিতে শুরু হচ্ছে হজ।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা যাওয়ায় এই ঘোষণা দেন সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট।
সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ এবং সারা বিশ্ব থেকে দেশটিতে জড়ো হওয়া হজযাত্রীরা শুক্রবার থেকে হজের যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান শুরু করবেন। এরপর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পালন করবেন ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। আর ঈদুল আজহার দু’দিন আগে থেকে শুরু হয় হজের কার্যক্রম।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সৌদির সর্বোচ্চ আদালত বলেন, বৃহস্পতিবার সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ১৬ জুন দেশটিতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সেই হিসেবে আগামী ১৪ জুন শুক্রবার থেকে শুরু হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
প্রচলিত সৌর বর্ষপঞ্জির মতো আরবের চান্দ্র বর্ষপঞ্জিতেও ১২টি মাস রয়েছে। এই মাসগুলোর মধ্যে চারটি মাসকে বিশেষভাবে পবিত্র (আশুর আল হুরম) হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো মহররম, জিলক্বদ, রজব এবং জিলহজ।
সৌদি আরবের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেশটিতে হজ করতে গিয়েছেন প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৮ লাখের কিছু বেশি।
উল্লেখ্য, ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি। প্রত্যেক সামর্থ্যবান এবং প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নরনারীর জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ আদায় করা ফরজ।
সূত্র : দ্য ন্যাশনাল
![হজের তারিখ ঘোষণা করল সৌদি আরব](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/07/image-277209-1717750925.jpg)
শত বছর বয়সে প্রেম, অতঃপর...
পাত্রের বয়স ১০০, পাত্রী ৯৬। প্রেমের কোনো বয়স হয় না। গল্প-উপন্যাসে কিংবা বাস্তবে এর আগে বহুবার তা প্রমাণিত হয়েছে। ফের একবার সে কথা মনে করিয়ে দিলো নিউইয়র্কের বাসিন্দা হ্যারোল্ড টেরেন্স এবং জেনি শার্লিনের প্রেমকাহিনি। প্রেমের পর এবার বিয়ে করলেন দুজনে।
শনিবার (৮ জুন) ফ্রান্সের নরমন্ডির ক্যারেন্টান-লেস-মারাইস টাউন হলে নবদম্পতি তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে ডি-ডে বার্ষিকীতে তারা বিয়ে সারেন। ফ্লোরিডার বাসিন্দা টেরেন্স ও সয়েরলিনের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।
বিয়ের পর টেরেন্স বলেন, বিয়ের এ দিনটি আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা দিন।
উৎফুল্ল সয়েরলিন বলেন, জেনে রাখুন ভালবাসা কেবল তরুণ-তরুণীদের জন্য নয়, এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এখন প্রজাপতিতে পরিণত হয়েছি বলে মনে হচ্ছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টেরেন্স মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের পর তিনি তিনি থেলমা নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। থেলমা ২০১৮ সালে মারা যান। পরে ২০২১ সালে সয়েরলিনের সঙ্গে টেরেন্সের পরিচয় হয়।
পড়াশোনা চলাকালীন বিমানবাহিনীতে যোগ দেন হ্যারোল্ড। হ্যারল্ডের বয়স তখন ২০। চাকরি সূত্রে পাড়ি দেন ইংল্যান্ড। কয়েক বছর সেখানেই ছিলেন।
হঠাৎই ইংল্যান্ড ছেড়ে যাযাবর হয়ে যান। ইউক্রেন, বাগদাদ, তেহরানসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে কাজ করতে থাকেন।বেশ কয়েক বছর এভাবে চলার পর জীবনে থিতু হতে চান তিনি। তাই আবার আমেরিকায় ফিরে আসেন।
নিজের মাটিতে ফিরে শুরু করেন নতুন জীবন। দীর্ঘ দিনের বন্ধু থেলমার সাথে সংসার পাতেন। বছর দুয়েকের মধ্যে তাদের ঘরে আসে দুই সন্তান।
স্ত্রী, সন্তানকে ছেড়ে কাজে ফেরার ইচ্ছা ছিল না হ্যারোল্ডের। কিন্তু স্ত্রীর জোরাজুরিতেই আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। হ্যারল্ড চলে যাওয়ার পর সংসার এবং সন্তানের সমস্ত দায়িত্ব গিয়ে পড়ে থেলমার ওপর। অবশ্য দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি রাখেননি তিনি। সন্তানেরা বড় হয়ে নিজেদের মতো জীবন গুছিয়ে নেয়।
জীবনের বেশিভাগ সময় পরিজনদের সঙ্গ পাননি। জীবনের শেষটা এমন হোক, তা চাননি হ্যারল্ড। ২০২১ সালে চাকরি থেকে পুরোপুরি অবসর নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু নিয়তিতে যা লেখা থাকে, তার অন্যথা হওয়ার জো নেই।
হ্যারল্ড বাড়ি ফেরার মাসখানেকের মধ্যে মারা যান থেলমা। দুই ছেলে কাজের সূত্রে ভিন্দেশে। স্ত্রীর মৃত্যুর আবার একা হয়ে যান বৃদ্ধ হ্যারল্ড। তার এই নিঃসঙ্গ জীবনে হঠাৎই আলাপ জেনির সাথে।
জেনি ছিলেন অবিবাহিত মনের মতো কাউকে পাননি, তাই সংসারও পাতা হয়নি। ৯৬ বছর বয়সে হ্যারল্ডের সাথে আলাপ হওয়র পর জেনির মনে হয়েছিল, এ মানুষটিরই জন্যই তিনি অপেক্ষা করছিলেন। তাই সময় নষ্ট না করে নিজেই মনের কথা বলে দেন তিনি। দেরি করেননি হ্যারল্ড, জেনির সাথে জীবনের বাকি দিনগুলো হেসেখেলে কাটিয়ে দিতে চেয়ে নতুন করে শুরু করেন। সেই থেকে শুরু। অবশেষে দু’জনে বিয়ে করেন।
![শত বছর বয়সে প্রেম, অতঃপর...](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/09/image-277561-1717938195.jpg)
হজের আগেই কপাল পুড়ল ৩ লাখের বেশি হজযাত্রীর
সৌদি আরবে আগামী ১৪ জুন শুরু হচ্ছে মুসলিমদের পবিত্র হজ পালন। এর আগেই কপাল পুড়েছে ৩ লাখের বেশি অবৈধ হজযাত্রীর। ইতোমধ্যে মক্কা নগরী থেকে কয়েক লাখ অনিবন্ধিত হজযাত্রীকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে রোববার (৯ জুন) এ তথ্য জানায় আল-আরাবিয়া।
সৌদি আরবের মক্কা নগরী থেকে যাদের বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯৮ জনই বিদেশি ছিলেন। তারা ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া হজ পালনের জন্য তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
হজের অনুমতি ব্যতীত সৌদি আরবের অন্যান্য শহর থেকে মক্কায় আসা ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৭ জনকে মক্কা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত শনিবার পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি নিবন্ধিত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে মক্কার স্থানীয় প্রশাসন।
প্রতিবছরই বার্ষিক হজ অনুষ্ঠানে জনসমাগম ব্যবস্থাপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। অফিশিয়াল তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করেছিল।
সৌদি আরবের মক্কা এবং এর আশপাশের অঞ্চলে অন্তত চার দিন ধরে চলে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা। তাই অনেকেই অবৈধ উপায়ে এই আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণের চেষ্টা করেন। কেননা বৈধ উপায়ে হজের অনুমতি পাওয়া ও এ সম্পর্কিত ভ্রমণ প্যাকেজগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। এ ছাড়াও প্রতিটি দেশেই হজ পালনকারীদের জন্য কোটা সীমাবদ্ধ থাকে।
উল্লেখ্য, ইসলামের পাঁচটি প্রধান স্তম্ভের মধ্যে একটি হলো, হজ পালন করা। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্যই জীবনে অন্তত একবার হজ পালন আবশ্যক।
![হজের আগেই কপাল পুড়ল ৩ লাখের বেশি হজযাত্রীর](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/09/image-277567-1717940725.jpg)
পবিত্র কাবায় স্ত্রীর সামনেই স্বামীর মৃত্যু, হজে আসার আগে যা বলেছিলেন
‘কুয়ালামপুর বিমানবন্দরে থাকা অবস্থায় জুহাইর মৃত্যু নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ আমরা হজ করতে যাচ্ছি। আমরা জানি না ফিরে আসব কিনা। আমার বিশ্বাস আমার স্বামী হয়তো চেয়েছিলেন জীবনটা যেন সুন্দরভাবে শেষ হয় এবং কাবায় তার মৃত্যু হয়।’
পবিত্র হজ করতে এসে কাবা শরীফের ভেতর স্ত্রীর সামেনেই মৃত্যুবরণ করেছেন মালয়েশিয়ার নাগরিক মোহাম্মদ জুহাইর (৫০) নামের এক হজযাত্রী। হজ করতে সৌদি আসার মাত্র ১২ ঘণ্টা পরই তার মৃত্যু হয়। হজে আসার আগে ওই ব্যক্তি স্ত্রী ফাওজিয়ার সঙ্গে উপরোক্ত আলোচনা করেন।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেষ মুহূর্তে হজে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন মোহাম্মদ জুহাইরের ও তার স্ত্রী ফাওজিয়া ,দুজনই অপ্রত্যাশিতভাবে অনুমতি পেয়েছিলেন। হজে আসার আগে তার স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা ছিল না জুহাইরের। মালয়েশিয়ার অন্যান্য হজযাত্রীর সঙ্গে মক্কায় আসার পর তারা কাবা শরীফে গিয়ে প্রথমে কাবা তাওয়াফ করেন। এরপর কাবা শরীফ থেকে আল মাসরার দিকে যেতে পা বাড়ানোর পরপরই জুহাইর মাটিতে পড়ে যান। উপস্থিত চিকিৎসাকর্মীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে তিনি নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে সমর্থ হন এবং কয়েক কদম হাঁটেন। এরপর জুহাইর আবার মাটিতে পড়ে যান এবং সেখানে স্ত্রীর সামনেই তার মৃত্যু হয়।
![পবিত্র কাবায় স্ত্রীর সামনেই স্বামীর মৃত্যু, হজে আসার আগে যা বলেছিলেন](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/11/image-277880-1718104763.jpg)
কুয়েতে নিহতদের বেশিরভাগই ভারতীয়, বাংলাদেশিদের বিষয়ে যা জানা গেল
কুয়েতের দক্ষিণ আহমেদি গভর্নরেটের মানগাফ শহরে শ্রমিকদের থাকার একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অর্ধ-শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতের নাগরিক বলে জানা গেছে। এদিকে নিহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী নেই বলে নিশ্চিত করেছে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বুধবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় ভোরের দিকে মানগাফ এলাকার ছয় তলা ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেটি শ্রমিকদের জন্য ব্যবহার করা হতো। অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে অনেক শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয় নাগরিক। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওনমানোরামার তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ ভারতীয় নাগরিক আছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনই কেরালার বাসিন্দা। ওই ভবনে ১৯৫ শ্রমিক ছিলেন; যাদের বেশিরভাগই কেরালা ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা।
কুয়েতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘আজকের অগ্নিকাণ্ডে আহত ৩০ জনেরও বেশি ভারতীয় শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইদ আল ওয়াইহান প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডে ৩৫ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরে আহতদের মধ্যে আরও ছয়জন একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।’
এদিকে, কুয়েতের মানগাফের আগুন লাগা ওই ভবনটিতে নিহত ৪৩ জনের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আবদুল হোসেন। তিনি ওই ভবনটি পরিদর্শন করেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবদুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই যে ওই আবাসিক ভবনে কোনো বাংলাদেশি কর্মী থাকতেন। ওই ভবনে থাকা বেশির ভাগ কর্মীই নির্মাণ খাতে কাজ করেন। আর বাংলাদেশি কর্মীরা মূলত পরিচ্ছন্নতা খাতে কাজ করে থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়েতের ওই ভবনে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করা বিদেশি কর্মীরা থাকেন সেই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত কোনো চাকরির চাহিদাপত্র নেই। এর মানে হলো, আগুন লাগা ভবনে কোনো বাংলাদেশি নেই এবং বাংলাদেশি কর্মীরা আগুনে আহত বা নিহত হননি। তার পরও দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে আরো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় ভবনটির মালিককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা শেখ ফাহাদ বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে রিয়েল এস্টেট মালিকদের লোভই এসব বিষয়ের দিকে পরিচালিত করে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটি শ্রমিকদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এবং সেখানে প্রচুর শ্রমিক ছিলেন। কয়েক ডজন লোককে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগুনের ধোঁয়ায় নিশ্বাসের ফলে অনেক লোক মারা গেছে।
![কুয়েতে নিহতদের বেশিরভাগই ভারতীয়, বাংলাদেশিদের বিষয়ে যা জানা গেল](https://www.rtvonline.com/assets/news_photos/2024/06/12/image-278079-1718199182.jpg)
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে অসম্মত ইসরায়েল
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হওয়ার পর ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে, সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। তবে এই প্রস্তাবের বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনটি বলছে, তারা চুক্তিটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে; এ নিয়ে তারা এগোতে চায়। কিন্তু ইসরায়েলকে অবশ্যই স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে। ইসরায়েল সরকার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ইসরায়েল চুক্তিতে সম্মত নয়।
এদিকে বুধবার (১২ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন কাতারে পৌঁছান। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় কাতারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসরও রয়েছে। ব্লিংকেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিন বিষয়ে ‘স্থায়ী সমাধানে’র কথা বলেন।
ব্লিংকেন মঙ্গলবার বলেছিলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তির বিষয়ে তার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন।
তবে সিএনএন জানায়, নিরাপত্তা পরিষদে চুক্তি পাস হওয়ার পরই জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। বাইডেনের এ প্রস্তাবের প্রতি আনুষ্ঠানিক কোনো সমর্থনও জানাননি নেতানিয়াহু।
অপরদিকে, দ্য গার্ডিয়ান লিখেছে, জাতিসংঘের কমিশন অব ইনকোয়ারির (সিওআই) এক প্রতিবেদনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের জন্য হামাস ও ইসরায়েল উভয়কে দায়ী করা হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর সময় পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী, কৃত্রিম উপগ্রহের ছবি ও স্বাস্থ্যসেবা তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন করা হয়।
হামাসের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যে পরিণত করা এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র বানানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। এ সময় আরও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা।
এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, আট মাস ব্যাপী এই হামলায় ইসরায়েলের হাতে ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা।