‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ সহিংসতার শিকার গাজার শিশুরা’
সাড়ে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার সেনাদের নির্বিচার হামলা ও অভিযানে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিরা, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা হার মানিয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতাকেও। সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন শিশু অধিকার সংস্থা ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল প্যালেস্টাইনের মহাপরিচালক খালেদ কুজমার।
আজ সোমবার (২৪ জুন) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিশু অধিকারমূলক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এক জরিপের প্রেক্ষিতে জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২১ হাজার শিশু হারিয়ে গেছে, উধাও হয়েছে, আটক হয়েছে, ভাঙা পাথরের নিচে চাপা পড়েছে অথবা গণকবরে শায়িত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চালু এবং নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সেভ দ্য চিলড্রেনের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিশু অধিকার সংস্থা ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল প্যালেস্টাইনের মহাপরিচালক খালেদ কুজমার বলেন, গাজায় শিশুদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন সহিংসতা দেখানো হচ্ছে। আমরা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এই বিষয়ে কাজ করছি। গাজায় শিশুদের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও দেখা যায়নি। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার চরম মূল্য দিতে হচ্ছে শিশুদের।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা শহর থেকে তিনি বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিশুদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে এবং করেই যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন