উপকূলের খুব কাছে ঘূর্ণিঝড় বেরিল, আঘাত হানবে যেসব দেশে
পূর্ব আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বেরিল ক্যারিবীয় উপকূলের আরও কাছে পৌঁছে গেছে। চতুর্থ ক্যাটাগরির ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ ঝড়টি বড় হারিকেনে রূপ নিতে পারে এবং প্রায় ১০টি দেশে আঘাত হানতে পারে।
সোমবার (১ জুলাই) মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দি গার্ডিয়ান। ইতোমধ্যেই এসব দেশে এ-সংক্রান্ত সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
এনএইচসি’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বেরিল প্রবল হারিকেনে পরিণত হতে পারে এবং আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ মারাত্মক হতে পারে। মূলত, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে আসলেও এটি বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা এবং টোবাগো, মার্টিনিক, ডোমিনিকা এবং ত্রিনিদাদে হারিকেন রূপে আঘাত হানতে পারে।
বার্বাডোসের আবহাওয়া বিভাগের পরিচালক সাবু বেস্ট বলেছেন, সোমবার সকালে বেরিলের কেন্দ্রভাগ বার্বাডোসের দক্ষিণে প্রায় ১১২ কিমি বেগে অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনএইচসির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ‘বেরিল’ এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন। বেরিলের আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ১৫৫ মাইল বা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। যেখানে ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশটি আছড়ে পড়তে পারে, সেখানে এবং তার কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চলে ৬ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির হারিকেন বিষয়ক গবেষক ফিলিপ ক্লটজবাচের বলেন, রোববার (৩০ জুন) সকালে বেরিল ক্যাটাগরি থ্রি-তে উন্নীত হয়েছিল। এখন এটি আরও শক্তিশালী হয়ে অতি বিপজ্জনক ক্যাটাগরি ফোর-এ রূপ নিয়েছে।
হারিকেন ও ঝড়-বৃষ্টি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল লোরি বলেছেন, এবারের মৌসুমে ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে যাওয়া হারিকেনের মধ্যে বেরিল অত্যন্ত বিপজ্জনক ও বিরল হারিকেন। আঘাত হানার আগেই এটি আগের অনেক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে হারিকেন মৌসুম সাধারণত ১ জুন শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। আটলান্টিক মহাসাগর অঞ্চলে হারিকেন মৌসুমের শুরুতে এটি দ্বিতীয় শক্তিশালী ঝড় হতে যাচ্ছে। এর আগে প্রথম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় আলবার্টোর আঘাতে চারজনের মৃত্যু হয়।
এদিকে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানার সতর্কতা জারি করা দেশগুলোর গ্যাস স্টেশন, সুপার মার্কেট, মুদিদোকানে খাবার-পানি ও অন্যান্যসামগ্রী কেনার জন্য মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
মন্তব্য করুন