মোসাদপ্রধানের কাতার সফর, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশার আলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪ , ০৪:৫৭ পিএম


মোসাদপ্রধানের কাতার সফর, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশার আলো
ফাইল ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদেরপ্রধান ডেভিড বার্নিয়ার আলোচনাকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তির ক্ষেত্রে ‘বড় অগ্রগতি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ জুলাই) ডেভিড বার্নিয়ার কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য দোহায় সফর করেছেন।

গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেটি নিয়ে হামাস প্রতিক্রিয়া জানানোর পর চুক্তির জন্য সবশেষ আশার আলো হিসেবে দেখা হচ্ছে মোসাদপ্রধানের সফরকে।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির বিষয়ে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যে মতপার্থক্য আছে তা নিরসনে একে জটিল আলোচনার প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, বাইডেনের প্রস্তাবের মূল কথা হামাস মেনে নিয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলছে। তার মানে স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে প্রথম পর্বে ছয় সপ্তাহের জন্য যে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনায় যাবে গোষ্ঠীটি।

হামাস চুক্তির প্রশ্নে বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে অসম্মতির কথা জানিয়েছে। এখন যদি তারা ছাড় দিয়েছে বলে স্পষ্ট হয়, তাহলে ধরেই নিতে হবে বল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে চলে আসবে।

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধবিরতির পরও হামাস নির্মূল এবং গাজা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে ছাড় দেবেন, এমন কোনো কথা নেতানিয়াহু এখনো প্রকাশ্যে বলেননি। এই অবস্থান পরিবর্তনের জন্য ইসরাইলের ভেতর ও বাইরে থেকে চাপ এলেও তাতে গা করেননি তিনি। কিন্তু সব পক্ষ থেকেই তার ওপর চাপ বাড়ছেই।

সর্বশেষ চাপটি তার সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্তমান ও সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যদি ক্ষমতায় থাকেও, তার পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু করতে চান ইসরাইলের শীর্ষ জেনারেলরা।

এই খবরকে ইসরাইলের পরাজয় বর্ণনা করে উড়িয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু তিনি হয়তো এমন চাপ সবসময় সামাল দিতে পারবেন না; ইতোমধ্যেই জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে ইসরাইলের সড়কে বিক্ষোভের ঘটনা বেড়েছে।

অন্যদিকে হামাসের ওপরও গাজার বেসামরিক মানুষের চাপ বাড়ছে; যাদের মধ্যে অব্যাহত যুদ্ধ নিয়ে হতাশা বাড়ছে। আর আন্তর্জাতিকভাবে যারা মধ্যস্থতা করছে, সেই মিশর, কাতারের ধৈর্য হয়তো ফুরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গত ৭ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

অতর্কিত সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই ফিলিস্তিনিদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission