১৬ প্রজাতির কীটপতঙ্গ খাওয়ার অনুমতি সিঙ্গাপুরে
১৬ প্রজাতির কীটপতঙ্গ মানুষের খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুরের খাদ্য সংস্থা। এসব কীটপতঙ্গের মধ্যে রয়েছে ফড়িং, পঙ্গপাল, নানা রকম ঝিঁঝিপোকা, রেশম পোকা।
এ ঘোষণায় খুশি হয়েছে দেশটির অনেক রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। এ ঘোষণার ফলে খাওয়ার জন্য বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বা এ থেকে তৈরি পণ্য আমদানি করতে পারবে দেশটি।
সূত্র জানায়, এ ঘোষণা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ ঘোষণার ফলে আমদানি করা কীটপতঙ্গ বা এ থেকে তৈরি পণ্য মানুষের ব্যবহারের জন্য বা খাদ্য উত্পাদনকারী পশুদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্ট্রেইটস টাইমস-এর তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের খাদ্য সরবরাহকারীরা চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের নিয়ন্ত্রিত খামার থেকে কীটপতঙ্গ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বছরের শেষ বিরল সূর্যগ্রহণ, দেখা যাবে যেসব দেশ থেকে
এ বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বুধবার (২ অক্টোবর)। জ্যোতির্বিদদের বরাত দিয়ে স্পেট ডটকম জানিয়েছে, সূর্যগ্রহণের দিন চাঁদে তুলনামূলক ছোট দেখাবে। এই সূর্যগ্রহণটি পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হবে না বরং এটি একটি বলয়াকার সূর্যগ্রহণ হবে। যাকে রিং অফ ফায়ারও বলা হয়। এই সময় সূর্যগ্রহণের কারণে আকাশে কোথাও কোথাও আগুনের বলয় দেখা যাবে। খবর এনডিটিভি
সূর্যগ্রহণটি রিং অব ফায়ারে পরিণত হলে সেটি ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। আগামী ২ অক্টোবর গ্রহণটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৩ মিনিট ৬ সেকেন্ডের দিকে গ্রহণটি শুরু হবে এবং গ্রহণ শেষ হবে রাত ৩টা ১৬ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে।
বিরল এই সূর্যগ্রহণটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দেখা যাবে। বিশেষ করে দক্ষিণ চিলি এবং দক্ষিণ আর্জেন্টিনা থেকে এর দেখা মিলবে। বাংলাদেশে গ্রহণটি দেখা যাবে না।
বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী যখন একটি সরলরেখায় আসে, তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে। অর্থাৎ ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ যখন সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পড়ে না, যাকে সূর্যগ্রহণ বলে।
চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে এর দূরত্বও পরিবর্তিত হয়। কখনো চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে আবার কখনো দূরে। চাঁদ যখন পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে তখন বড় দেখায় এবং দূরে গেলে ছোট দেখায়। যদি সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে, তবে তার বড় আকারের কারণে এটি পৃথিবী থেকে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলে। একই সময়ে, যখন এটি অনেক দূরে থাকে, তার ছোট আকারের কারণে এটি কেবল সূর্যের মাঝখানের অংশকে ঢেকে রাখতে সক্ষম হয়। যার কারণে সূর্যের ধার দেখা যায়, যা আকাশে আগুনের বলয় তৈরি করে। একে বলে রিং অফ ফায়ার। আগুনের বলয়টি সম্পূর্ণ হতে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লাগতে পারে, তবে প্রকৃত রিং অফ ফায়ার কয়েক সেকেন্ড থেকে ১২ সেকেন্ডের মধ্যে দেখা যায়।
আরটিভি/এফআই
২০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিলো ভারত
ভিসার আবেদন করা ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকে উদ্দেশ্য করে ব্যাপক বিক্ষোভ ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মূলত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার ফলে এই পরিস্থিতির হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বর্তমানে শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক জরুরি ভিসার আবেদনগুলো প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। অবশ্য এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম ভিসা আবেদনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন-মেডিকেল ইমার্জেন্সি, স্টুডেন্ট ভিসা এবং তৃতীয় দেশে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ডবল-এনট্রি ভিসা।
এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষোভের জেরে ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনেকাংশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এর কারণে হতাশাগ্রস্ত আবেদনকারীদের অনেকেই ব্যাপকভাবে হাইকমিশনে ই-মেইল করছেন, এমনকি কিছু ই-মেইলে ভাঙচুরের হুমকিও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ছাড়াও আরও চারটি কনস্যুলেট আছে। যেখান থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক ভিসা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে ভারত ১৬ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছিল। এর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখই ছিল চিকিৎসা ভিসা। একইভাবে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৮ লাখ ভিসা দিয়েছে ভারত। যার মধ্যে ২ লাখই চিকিৎসা ভিসা। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে ভারতীয় ভিসা প্রদান কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
আরটিভি/আইএম/এসএ
যে প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলেন পিটার হাস
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৭তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২০২২ সালের মার্চ থেকে গত এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন পিটার হাস। এসময় বেশ আলোচনায় ছিলেন তিনি। এবার মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিকের উপদেষ্টা পদে যোগ দিয়েছেন তিনি।
গত রোববার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পিটার হাস যোগ দেওয়ার খবরটি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে অ্যাকসিলারেট এনার্জির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস বলেন, ‘কূটনৈতিক জীবনে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পিটার হাস। ভূরাজনীতি ও বাজার সম্পর্কে তার ভালো ধারণা আছে। তার অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব বিশ্বজুড়ে অ্যাকসিলারেটের গ্রাহকের জ্বালানি নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে।’
জানা গেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুরসহ বেশি কিছু দেশে ব্যবসা রয়েছে অ্যাকসিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিকের। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উডল্যান্ডে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এলএনজি সরবরাহের পাশাপাশি এলএনজি রূপান্তরের ভাসমান টার্মিনাল, অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে তারা।
আরটিভি/এসএপি
ইরানের মিসাইল হামলার পর মুখ খুললেন নেতানিয়াহু
ইরানের অভূতপূর্ব মিসাইল হামলার পর মুখ খুলেছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলে মিসাইল ছুড়ে ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে। এর মূল্য দিতে হবে তাদের।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড।
ইরানের হামলার পর নিজস্ব নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু। বৈঠক শুরুর আগে ইরানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করেন তিনি। এ ছাড়া নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইরানের হামলা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কল্যাণে ইরানের হামলা নস্যাৎ করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত।
তিনি আরও বলেন, ইরান সরকার আমাদের প্রতিরক্ষার দৃঢ় সংকল্প, আমাদের জবাব দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প বোঝে না। অতীতে একাধিকবার এর প্রমাণ দিয়েছি। যে আমাদের ওপর হামলা চালায়, আমরা তার ওপর হামলা চালাব।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার রাতের হামলা নিয়ে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পেজেশকিয়ান বলেন, ইরানের ‘বৈধ অধিকারে’র ওপর ভিত্তি করে ‘ইরান এবং এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা’র উদ্দেশ্যে, ‘ইরানের স্বার্থ ও নাগরিকদের রক্ষায় ইসরায়েলকে ‘অবধারিত’ জবাব দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্দেশে পেজেশকিয়ান বলেন, তার অবশ্যই জানা উচিত, ইরান যুদ্ধবাজ নয়, তবে যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন, আজ রাতের হামলা ইরানের সামর্থ্যের ‘ঝলক’ মাত্র। ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াবেন না।
আরটিভ/একে-টি
চলতি বছর কার হাতে উঠছে শান্তিতে নোবেল?
শুরু হয়েছে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা। কয়েক বছর ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ, এক বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধ এবং সুদানে সংঘাতে লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনার মাঝে চলতি বছর কার হাতে উঠবে নোবেল শান্তি পুরস্কার, সেদিকে দৃষ্টি সবার।
আর কয়েকদিনের ভেতরেই ঘোষণা করা হবে ২০২৪ সালের শান্তিতে নোবেলজয়ীর নাম। বিশ্বের সবচেয়ে নন্দিত এই পুরস্কার কে পাচ্ছেন সেদিকে সারা বিশ্বের মানুষের নজর থাকে। সবচেয়ে বেশি আগ্রহের বিষয় শান্তিতে নোবেল। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির তালিকায় এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, চলতি বছরের তালিকায় সম্ভাব্য নামের মধ্যে সংস্থা হিসেবে রয়েছে ইউনাইটেড ন্যাশনস প্যালেস্টিনিয়ান রিফ্যুজি এজেন্সি। আছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের নামও। আর ব্যক্তি হিসেবে যার নামটি বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সংশ্লিষ্টদের বরাতে রয়টার্স অবশ্য একটি ভিন্ন কথাও বলছে। চলতি বছর নাকি বিস্ময়করভাবে শান্তিতে নোবেলজয়ী হিসেবে কাররও নাম না-ও ঘোষণা হতে পারে। এদিকে রাশিয়ার আলেক্সি নাভালনির নাম উচ্চারিত হচ্ছে কারও কারও মুখে। কিন্তু সেটি সম্ভব নয় কারণ কাউকে মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার রেওয়াজ নেই নোবেল কমিটির।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কিকে নিয়ে আলোচনা থাকলেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। তৃতীয় বছরে পড়া ইউক্রেনের যুদ্ধ কিংবা সুদানে এক কোটি মানুষের বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে নোবেল কমিটি এ বছর এমন কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পারে যিনি বা যেই সংগঠন বিশ্বে মানবিক সংকট কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এসব বিবেচনায় ইউনাইটেড ন্যাশনস প্যালেস্টিনিয়ান রিফ্যুজি এজেন্সি হতে পারে চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দাবিদার। গাজা যুদ্ধে সৃষ্ট মানবিক সংকট কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সংস্থাটি, এমনটাই মনে করেন অসলোর পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হেনরিক উরডাল।
নোবেল কমিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৈরি হওয়া বিশ্ব্যব্যবস্থায় ওই সময়ে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক সংগঠন জাতিসংঘকে বিবেচনা করতে পারে। সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের মহাসচিব বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হতে পারেন চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল জয়ী। সেইসাথে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসও যৌথভাবে এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে বলে মনে করেন শান্তি নোবেল বিষয়ের ইতিহাস বিশারদ আসলে স্ভিন।
রয়টার্সকে এই ইতিহাসবিদ বলেন, গুতেরেস হলেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ প্রতীক। এবং ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের মূল দায়িত্ব হলো, বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করা। এরিমধ্যে রাশিয়ায় হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস। তাছাড়া গাজায় যেন কোনোভাবেই জেনোসাইডের মতো ঘটনা না ঘটে সে বিষয়েও ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে।
বলা হচ্ছে, নোবেল কমিটি এমন সিদ্ধান্তও নিতে পারে যে, চলতি বছর কেউই এই পুরস্কার পাবে না। নোবেল কমিটি যদি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেটি হবে পাঁচ দশক পর এমন কোনো ঘটনা।
সর্বশেষ ১৯৭২ সালে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নোবেল কমিটি৷ স্টেকহোমে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান ড্যান স্মিথ বলেন, চলতি বছর নোবেল পিস প্রাইজ কমিটি শান্তিতে পুরস্কার দেওয়া বন্ধ রাখতে পারে। বরং তারা বলতে পারে যে, এটি (পৃথিবী) একটি যুদ্ধে লিপ্ত গ্রহ।
উল্লেখ্য, চলতি বছর শান্তি পুরস্কারের জন্য ২৮৬ জন ব্যক্তি ও সংস্থার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জেলে বন্দি ইরানের নারী অধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মাদি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
আরটিভি/এএইচ
প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’, আঘাত হানবে যখন
মেক্সিকো উপকূলে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করেছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়টি এখন ক্যাটাগরি ৫ এ পৌঁছানোর কাছাকাছি রয়েছে।
সোমবার (৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে আবহাওয়াবিদদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার উপসাগরীয় উপকূলে বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরই মধ্যে ফ্লোরিডার মানুষকে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ ঘন্টায় ১৫৫ মাইল বেগে অগ্রসর হচ্ছে। আর ২ মাইল অতিক্রম করলে এটি হারিকেন ক্যাটাগরি ৫এ পৌঁছাবে। চলতি বছরে ‘বেরিল’ এর পর এটি হবে দ্বিতীয় হারিকেনের আঘাত।
ফ্লোরিডার গভর্নর আসে রন ডিসান্টিস টাম্পা উপকূলে হারিকেন মিল্টনের আঘাত হানার আগে উপসাগরীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে আঘাত হানা মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক হারিকেন হেলেনের তাণ্ডব এবং ক্ষয়ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য ফ্লোরিডা। হারিকেন হেলেনের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ মাইল। এরই মধ্যে আরেক হারিকেন মিল্টন এগিয়ে আসছে রাজ্যটির দিকে।
আরটিভি/এসএপি
১০০ বছরের সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ‘মিল্টন’
গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’। এটি স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ‘মিল্টন’ অঙ্গরাজ্যটির টম্পা থেকে ৫২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এরই মধ্যে এটি ক্যাটাগরি ৫ মাত্রায় ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। মানুষ যেন এটির শক্তি বুঝতে পারে এ জন্য বিভিন্ন সতর্কতা দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মিল্টনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে ফ্লোরিডার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। সর্বশেষ এটি ক্যাটাগরি ৫ এ পৌঁছেছে। ঝড়টি মেক্সিকো উপসাগর হয়ে ফ্লোরিডায় আঘাত হানবে। যদি ঝড়টির গতিপথ একই রকম থাকে, এটি হবে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী। মিল্টন এখনো ফ্লোরিডা উপকূলের জন্য বিপর্যয়কর ঝুঁকি হিসেবে অবস্থান করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানুষকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘মিল্টন গত ১০০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ফ্লোরিডাবাসীদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি এখন জীবন-মৃত্যুর বিষয়।’
এদিকে ফ্লোরিডার টম্পার মেয়র জেন ক্যাস্টর পশ্চিম উপকূলের সব মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে রাস্তায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয়।
এরপরও যারা যাচ্ছেন না তাদেরকে মেয়র জেন ক্যাস্টর বলেছেন, ‘আপনারা যদি নির্দেশনা অনুযায়ী সরে না যান, তাহলে আপনারা নিশ্চিতভাবে মারা যাবেন। মানুষকে সরে যেতে হবে। সত্যি বলতে, আমি আমার জীবনে এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি।’
আরটিভি/এসএপি