কানাডার নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে এক নির্দেশনায় নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ইস্যুতে চলমান আন্দোলনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কানাডার সরকার বলেছে, ঢাকায় সরকারি চাকরির কোটা নিয়ে হওয়া আন্দোলন চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দোলনকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে অনেক মানুষ হতাহত হয়েছে।
তারা বলেছে, যদি আপনি ঢাকায় থাকেন তাহলে অধিকসংখ্যক পুলিশি উপস্থিতি এবং কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ করতে পারেন। ট্রাফিক জ্যাম, সড় অবরোধের জন্য প্রস্তুত থাকুন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষর নির্দেশনা অনুসরণ করুন। যেখানে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিচ্ছেন সেসব জায়গা থেকে দূরে থাকুন। সরকার বিরোধী কোনো কিছু পোস্ট করবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সীমাবদ্ধতা রাখুন এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নজর রাখুন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গত রোববার মধ্যরাত থেকে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ছাত্রসমাজ। এরপর সোম, মঙ্গল ও বুধবার টানা তিনদিন সারা দেশে ছাত্র আন্দোলন জোরালো হয়ে ওঠে। আন্দোলন দমাতে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগও মাঠে নামে। এতে সোমবার ও মঙ্গলবার সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার একদিনেই ৩ শিক্ষার্থীসহ ৬ জন মারা যান। এদের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদকে পুলিশ নিরস্ত্র অবস্থায় সামনাসামনি গুলি করে হত্যা করে। এসব হত্যার ঘটনায় গতকাল বুধবারও আন্দোলন-সংগ্রামে উত্তাল ছিল রাজপথ। গতকাল সন্ধ্যায় এ নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই ভাষণেও সমস্যার কোনো ‘সমাধান’ দেওয়া হয়নি দাবি করে এবং প্রতিটি হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনকারীরা বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
