• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo

হানিয়াহর পরিবারের অন্তত ৬০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ৩১ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৪
ফাইল ছবি

ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াহ নিহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ইসমাইল হানিয়াহর নিহত হওয়ার খবর প্রচার করে। টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, রাজধানী তেহরানে হামলায় ইসমাইল হানিয়াহর দেহরক্ষীদের একজনও নিহত হন। তবে তিনি কীভাবে নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

এর আগে, ঈদুল ফিতরের দিন গাজায় হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি স্বাধানতাকানী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহর তিন ছেলেকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গাজার সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত শাতি শরণার্থী শিবিরের কাছে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হন তারা। এ নিয়ে হানিয়াহর পরিবারের অন্তত ৬০ জন সদস্য ইসরায়েলি হামলায় নিহত হলো।

সে সময় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হানিয়াহ জানান, তার ছেলে হাজেম, আমির ও মোহাম্মদকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা শেহাব নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হয়।

তখন ইসমাইল হানিয়াহ বলেছেন, শহীদদের রক্ত আর আহতদের বেদনার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের জনগণ ও আমাদের জাতির জন্য মুক্তি ও স্বাধীনতা তৈরি করি।

তিনি বলেন, ভাতিজা-ভাতিজিসহ আমার পরিবারের প্রায় ৬০ জন সদস্য যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে।

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।

উল্লেখ্য, ইসমাইল হানিয়াহ হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। গত শতকের আশির দশকে হামাসের উত্থানকালে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের এই রাজনৈতিক ও সামরিক আন্দোলনের সামনের কাতারে ছিলেন ইসমাইল হানিয়াহ। ১৯৮৯ সালে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়াহকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

এক বছর নির্বাসনে থাকার পর ইসমাইল হানিয়াহ গাজায় ফেরেন। ১৯৯৭ সালে হামাসের মতাদর্শিক গুরুর কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। এতে হামাসে তার পদমর্যাদা বাড়ে।

ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস বেশির ভাগ আসনে জয় পাওয়ার পর ২০০৬ সালে ইসমাইল হানিয়াহ প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর সরকার ভেঙে দেওয়া হয়। গাজা থেকে ফাতাহের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়। গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।

২০১৭ সালে ইসমাইল হানিয়াহ হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। পরের বছর ইসমাইল হানিয়াহকে ‘সন্ত্রাসী’ অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক বছর ধরে কাতারে বসবাস করছেন ইসমাইল হানিয়াহ।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এককালীন ৫ লাখ টাকা করে পাবে আন্দোলনে নিহতদের পরিবার
যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১